আলীগ স্বাধীনতার চেতনা মুখে বলে বিশ্বাস করে না

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার চেতনা ও গণতন্ত্রের কথা মুখে বলে। কিন্তু তারা এসব বিশ্বাস করে না। তারা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বাইরে একটি দল। জানি এ কথা বললে বিতর্কের সৃষ্টি হবে। তিনি দাবি করেন, স্বাধীনতার চেতনা থেকেই ৭ নভেম্বর সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্ত আওয়ামী লীগের সঙ্গে ৭ নভেম্বরের বৈরী সম্পর্ক। আসলে ৭ নভেম্বর থাকলে আওয়ামী লীগ থাকে না। সেজন্য ৭ নভেম্বরে কর্মসূচি করতে তারা দেয় না।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবক দল এ আলোচনার আয়োজন করে। ফখরুল বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের মার্চে দেশবাসীকে কোনো দিকনির্দেশনা না দিয়ে বিপদে ফেলে পাকিস্তানিদের হাতে বন্দি হয়ে পাকিস্তান চলে যান। তিনি স্বাধীনতার কোনো দিকনির্দেশনা দেননি। সে সময় জিয়াউর রহমান দেশবাসীর পাশে ছিলেন।ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের চাকরি নিয়ে সরকারের উপদেষ্টা এইচটি ইমামের বক্তব্য উদ্ধৃত করে ফখরুল বলেন, এটা সরকারের দলীয়করণের চরম বহির্প্রকাশ। সুপারিশ না থাকলে, ছাত্রলীগ না করলে বিসিএসসহ সরকারি কোনো চাকরি পাওয়া যায় না। চাকরি হলে যাচাই-বাছাই করা হয়, প্রার্থীর গোষ্ঠীতে কেউ বিএনপি বা বিরোধী রাজনীতি করে কি না।জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমালোচনা প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, দেশে নতুন মুক্তিযোদ্ধার জন্ম হয়েছে, তিনি এরশাদ। তাকে নিয়ে কথা বলতে ইচ্ছা হয় না।স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব উন নবী খানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, অর্থবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সরাফত আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল বারী, মুনীর হোসেন, ইয়াছিন আলী, আলী রেজাউর রহমান রিপন, কেন্দ্রীয় নেতা আনু মোহাম্মদ শামীম, লিটন মাহমুদ, রফিক হাওলাদার প্রমুখ বক্তব্য দেন।এদিকে গ্রেফতারকৃত যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার ও তার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন। বৃহস্পতিবার সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন ও সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এক যৌথ বিবৃতিতে আলালের মুক্তি দাবি করেন।এদিকে বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, তৎকালীন সরকারকে বিপদে ফেলতেই ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল ।তিনি বলেন, ওয়ান ইলেভেনের মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দীন সরকার, যারা বিএনপি ও তারেক রহমানকে ঘায়েল করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিল, তারেক রহমানের মেরুদণ্ড যারা ভেঙে দিয়েছিল, তারাও তদন্ত করে ওই মামলায় তারেক রহমানের জড়িত থাকার প্রমাণ পাননি। কিন্তু বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে ২১ আগস্টের মামলার চার্জশিট পাল্টে নতুন করে সম্পূরক চার্জশিট গঠন করার মাধ্যমে প্রকৃত আসামিদের আড়াল করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে তারেক রহমানকে জড়িয়েছে। এটা বর্তমান সরকারের একটি বর্বর পরিকল্পনারই অংশ।সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর সরাফত আলী সফু প্রমুখ।

No comments

Powered by Blogger.