ওয়াশিংটনে জিএসপি নিয়ে ফের পর্যালোচনা ডিসেম্বরের মধ্যে

জিএসপি সুবিধা ফিরে পেতে শর্ত পূরণে বাংলাদেশ কতটা অগ্রগতি সাধন করেছে তা ডিসেম্বরের মধ্যে খতিয়ে দেখবে যুক্তরাষ্ট্র। এই পর্যালোচনাকে সামনে রেখে বাংলাদেশ শর্ত পূরণের অগ্রগতি প্রতিবেদন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে দাখিল করেছে। ঢাকায় বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ও ব্যবসাবিষয়ক সহকারী মন্ত্রী চার্লস এইচ রিভকিনের সঙ্গে বৈঠকের পর পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক এই তথ্য জানিয়েছেন। রিভকিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এই বৈঠকে মিলিত হওয়ার আগে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনার বাসভবনে পোশাক শিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ, মার্কিন সাহায্যপুষ্ট এনজিও সেন্টার ফর ওয়ার্কার্স সলিডারিটি, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থাসহ (আইএলও) সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে প্রাতঃরাশ বৈঠকে মিলিত হন।ফ্লাইট জটিলতায় নির্ধারিত সিডিউলের একদিন পর ঢাকায় পৌঁছার কারণে বেশ কিছু কর্মসূচি বাতিল করে রিভকিনের সফর সংক্ষিপ্ত করা হয়। পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠকের পর মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এই কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেছেন, তিনি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির পক্ষ থেকে অর্থনীতি ও ব্যবসা নিয়ে কাজ করে থাকেন।রিভকিন বলেন, বাংলাদেশে এটা আমার প্রথম সফর। এই সফর সংক্ষিপ্ত হলেও সফল হয়েছে। আমি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করি। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে আমার চমৎকার আলোচনা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য হল- বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক গভীর ও শক্তিশালী করা। আশা করি, এই লক্ষ্যে এগিয়ে গিয়ে লক্ষ্য বাস্তবায়ন করব। তিনি বৈঠকের বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছুই বলেননি।বৈঠকের বিষয়ে পরে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, জিএসপি সুবিধা ফিরে পাওয়ার ইস্যুটি আমরা বৈঠকে তুলেছি। এই লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া শর্ত পূরণে অগ্রগতির কথাও জানিয়েছি। রিভকিন আমাদের বলেছেন, নভেম্বরের শেষে কিংবা ডিসেম্বরের শুরুতে জিএসপি পর্যালোচনা করে দেখবে যুক্তরাষ্ট্র।সচিব আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া শর্ত পূরণে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি অগ্রগতি প্রতিবেদন ওয়াশিংটনে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধির দফতরে বৃহস্পতিবার জমা দেয়ার কথা রয়েছে।রানা প্লাজা ধসের ঘটনার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ২০১৩ জুনে বাংলাদেশকে দেয়া জেনারালাইজসড সিস্টেম অব প্রিফারেন্সেস (জিএসপি) সুবিধা স্থগিত করেন। তারপর একই বছরের জুলাই মাসে জিএসপি সুবিধা ফিরে পেতে বাংলাদেশের জন্য করণীয় শর্ত নির্ধারণ করে অ্যাকশন প্ল্যান ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র।অ্যাকশন প্ল্যানে উল্লেখিত শর্তে বাংলাদেশকে পোশাক শিল্পে ভবন ও অগ্নিনিরাপত্তা এবং শ্রমিক ইউনিয়ন নিশ্চিত করার বিষয়টিই গুরুত্ব পায়। বাংলাদেশ দাবি করছে, এই রোডম্যাপ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ অগ্রগতি করেছে। তবে শ্রমিক স্বার্থ সুরক্ষা সংক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রের একটি গ্রুপ সম্প্রতি মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধির দফতরকে জানিয়েছে, বাংলাদেশ শ্রমিক ইউনিয়নের অধিকার রক্ষায় যথেষ্ট অগ্রগতি করেনি।

No comments

Powered by Blogger.