ঢাকা-ওয়াশিংটন অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের তাগিদ

ঢাকা-ওয়াশিংটন অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও বিস্তৃত, গভীর ও শক্তিশালী করার তাগিদ দিয়েছেন ঢাকা সফর করে যাওয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ও ব্যবসায় বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী চার্লস রিভকিন। গতকাল সকালে পররাষ্ট্র সচিব এম. শহীদুল হকের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ তাগিদ দেন। পররাষ্ট্র ভবনে প্রায় এক ঘণ্টার বৈঠক শেষে বেরিয়ে যাওয়ার মুহূর্তে মার্কিন মন্ত্রী গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন। বলেন, ঢাকায় এটি আমার প্রথম সফর। সফরটি সংক্ষিপ্ত হলেও তাৎপর্যপূর্ণ। পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে ‘বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ’ বৈঠক হয়েছে দাবি করে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও বিস্তৃত, গভীর থেকে গভীরতর এবং শক্তিশালী করাই আমাদের লক্ষ্য। সচিবের সঙ্গে বৈঠক এবং গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সার্বিকভাবে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বাড়াতে রাষ্ট্রদূত এবং তার টিম কাজ করছে উল্লেখ করে চার্লস রিভকিন বলেন, আশা করি আগামী দিনে চলমান প্রয়াস অব্যাহত থাকবে। ক্রমাগত আমরা সামনে অগ্রসর হতে পারবো। দু’দিনের সফরে চার্লস রিভকিন মঙ্গলবার রাতে আসার কথা থাকলেও ফ্লাইট জটিলতার কারণে বুধবার রাতে ঢাকায় পৌঁছান। বিলম্বে ঢাকায় পৌঁছার কারণে বুধবার বিকালের তার সব কর্মসূচি বাতিল করতে হয়েছে। বৃহস্পতিবারের সূচিতেও কাটছাঁট করা হয়েছে। মার্কিন দূতবাস সূত্র জানিয়েছে, সময় সংক্ষিপ্ততার জন্য তিনি মাত্র দু’টি কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। দিনের শুরুতে তৈরী পোশাক শিল্পের সঙ্গে বিভিন্নভাবে যুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে ব্রেকফাস্ট মিটিং এবং পরে সেগুনবাগিচার পররাষ্ট্র ভবনে সচিবের সঙ্গে বৈঠকের পর দুপুরেই ওয়াশিংটনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন তিনি। মন্ত্রী পররাষ্ট্র ভবন ছাড়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে পররাষ্ট্র সচিব তার সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠক অত্যন্ত ফলপ্রসূ বলে উল্লেখ করেন। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের জিএসপি সুবিধা ফিরে পাওয়ার পথে যে অগ্রগতি হয়েছে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, আশা করি ডিসেম্বরের রিভিউতে বাংলাদেশের বিষয়টি ইতিবাচকভাবে বিবেচিত হবে। গতকালই জিএসপি’র অগ্রগতি নিয়ে মার্কিন বাণিজ্য সচিবের দপ্তরে ঢাকার তরফে একটি সাবমিশন জমা দেয়া হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.