জন্মদিনে হুমায়ূনের একক বইমেলা

কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৬৬তম জন্মদিনে একক বইমেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল বিকালে রাজধানীর পাবলিক লাইব্রেরি চত্বরে ৭দিনব্যাপী এ মেলার উদ্বোধন করেন লেখকপত্নী মেহের আফরোজ শাওন। হুমায়ূন আহমেদের বইয়ের প্রকাশকবৃন্দের উদ্যোগে ৭ম বারের মতো এ মেলা শুরু হয়েছে। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান, অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, জাদুশিল্পী জুয়েল আইচ প্রমুখ। মেলায় ‘হুমায়ূন আহমেদ রচনাবলী’র অষ্টম খণ্ডের মোড়ক উন্মাচন করেন অতিথিরা। মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, হুমায়ূন আহমেদ অসাধারণ এক ব্যক্তি ছিলেন। তার অসামান্য জনপ্রিয়তার কারণে অনেকে তাকে ঈর্ষা করে। বাঙালিরা বরাবরই ঈর্ষাকাতর। তিনি বলেন, আমাদের মাঝে হুমায়ূন না থাকা সবচেয়ে বড় কষ্টের। তারচেয়ে বেশি কষ্ট তার নতুন বই হাতে পাবো না। তিনি পাঠকদের পক্ষ থেকে ওঠা দুইটি দাবি- হুমায়ুনের নামে রাস্তা ও জাতীয়ভাবে জন্মদিন পালনের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে মন্তব্য করেন। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বলেন, হুমায়ূনের অসাধারণ নিষ্ঠা ও দায়িত্ববোধ তাকে অনেক উঁচুতে নিয়ে যায়। তিনি মধ্যবিত্ত ও সমকালীন জীবনের কথা বলে গেছেন। সাহিত্যে নতুন ধারা সৃষ্টি করেছেন। তার বড় গুণ গল্প খুব গুছিয়ে বলতে পারেন। অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, হুমায়ূন একজন নিবিষ্ট মনের মানুষ ছিলেন। ভাবনা করার অসম্ভব শক্তি রয়েছে। লেখকপত্নী মেহের আফরোজ শাওন বলেন, প্রকাশকবৃন্দ হুমায়ূনের জন্মদিনকে জন্মোৎসবে পরিণত করেছেন। যদি এটা জাতীয়ভাবে ছোট করে হলেও করা যায় তাহলে আরও ভাল লাগবে। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে স্মৃতিচারণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উল্লেখ্য, হুমায়ূন আহমেদের ৬০তম জন্মদিন থেকে এ মেলা শুরু হয়। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই মেলা চলবে। সন্ধ্যায় মেলার মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে বলে আয়োজকরা জানান।

No comments

Powered by Blogger.