সিলেটে শমসের মবিনকে প্রতিহতের ঘোষণা- মহানগর কমিটি প্রত্যাখ্যান

সিলেট মহানগর নতুন আহ্বায়ক কমিটি প্রত্যাখ্যান করে সিলেটে বিক্ষোভ করেছেন বিদ্রোহী গ্রুপের নেতারা। এ সময় তারা বিএনপির শমসের মুবীন চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিষোদগার করেন। একই সঙ্গে শমসের মুবীন চৌধুরীকেও সিলেটে প্রতিহত করার ঘোষণা করেন। এর আগে কমিটি ঘোষণার পরপরই তারা ঝাড়ু মিছিল বের করে সিলেটে শমসের মুবীন চৌধুরীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছিলেন। ঘোষিত মহানগর কমিটিতে সদস্য পদে থাকা অধ্যাপক মকসুদ আলী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাইয়ুম জালালী পংকি ও সাবেক কোষাধ্যক্ষ ফরহাদ চৌধুরী শামীমের নেতৃত্বে বিকালে শুরু হওয়া মিছিলে সাবেক কমিটির অর্ধশতাধিক নেতা উপস্থিত ছিলেন। সিলেট সিটি পয়েন্টে সমাবেশ শেষে মিছিলটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌহাট্টা পয়েন্টে এসে শেষ হয়। মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি অধ্যাপক সৈয়দ মকসুদ আলীর সভাপতিত্বে এবং মহানগর বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ কাউন্সিলর ফরহাদ চৌধুরী শামীমের পরিচালনায় সিটি পয়েন্টে মিছিল পূর্ববর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাইয়ুম জালালী পংকী বলেন, দলের নিবেদিতপ্রাণ ও আন্দোলন-সংগ্রামের পরীক্ষিত সৈনিকদের বাদ দিয়ে ওয়ান-ইলেভেনের যৌথবাহিনীর দালাল সুবিধাবাদী বর্ণচোরা, ভূমিখেকোদের দিয়ে গঠিত সিলেট মহানগর বিএনপির পকেট কমিটি তৃণমূলের নেতাকর্মীরা মানে না, মানবে না। তিনি বলেন, অবিলম্বে এই পকেট কমিটি বাতিল করে দলের নিবেদিত প্রাণ আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী ত্যাগী নেতাকর্মীদের দিয়ে কমিটি ঘোষণা করা না হলে নতুন পকেট কমিটিকে রাজপথে প্রতিহত করা হবে। সভাপতির বক্তব্যে সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি অধ্যাপক সৈয়দ মকসুদ আলী বলেন, দলের জন্য ইলিয়াস আলীর প্রশংসনীয় ভূমিকাকে খাটো করতে এবং এম. ইলিয়াস আলীর নাম মুছে ফেলার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এ ধরনের ‘ফালতু পকেট কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা এই কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। সভায় বক্তারা বলেন, বিএনপিকে ধ্বংস করতে আওয়ামী দালালরা দলের নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সিলেট মহানগর বিএনপির একটি পঙ্গু কমিটি গঠন করা হয়েছে। বক্তারা বলেন, এই পকেট কমিটির নেপথ্যের খলনায়ক শমসের মুবিনকে যেখানে পাওয়া যাবে, সেখানেই প্রতিরোধ করা হবে। সভায় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন- মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি তারেক আহমদ চৌধুরী। মহানগর বিএনপি অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে সালেহ আহমদ খসরু, এডভোকেট আবদুল ওয়াছেহ চৌধুরী জুবের, নাজিম উদ্দিন লস্কর, ফয়েজ আহমদ দৌলত, সাবেক কমিশনার কামাল মিয়া, কাউন্সিলর দিনার খান হাসু, সুলেমান হোসেন, মকবুল হোসেন, আবদুল জব্বার তুতু, হাজী শওকত আলী, হোসেন আহমদ, নুরুল মোমিন খোকন, আরিফ ইকবাল নেহাল, হাবিব আহমদ চৌধুরী শিলু, শেখ ইলিয়াস আলী, খসরুজ্জামান খসরু, আজমল হোসেন, আবুল হোসেন, শরফ রাজ আহমদ চৌধুরী, জিয়াউর রহমান দ্বিপন, আলী আহমদ, জসিম উদ্দিন, মাওলানা নুররুল হক, মহিলা দল নেত্রী কাউন্সিলর এডভোকেট রোকসানা বেগম শাহনাজ, কাউন্সিলর সালেহা কবির শেপী, কাউন্সিলর আমেনা বেগম রুমি, এডভোকেট জোহরা জেসমিন, শহীদ আহমদ চেয়ারম্যান, একেএম তারেক কালাম, সৈয়দ জয়নুল হক, জাকির হোসেন, ফয়জুল কয়েস, আবদুল গফফার, এডভোকেট জাফর ইকবাল তারেক, দুলাল আহমদ, তোফাজ্জল আলী, সেলিম আহমদ, শেখ মোহাম্মদ কবির আহমদ, কাজী মুহিবুর রহমান, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহসভাপতি আবদুল আহাদ খান জামাল, মহানগর ছাত্রদল সভাপতি নুরুল আলম সিদ্দিকী খালেদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি এডভোকেট সাঈদ আহমদ, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মতিউল বারী চৌধুরী খুর্শেদ, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রাহাত চৌধুরী মুন্না, লায়েছ আহমদ, হুমায়ুন আহমদ, এম.এ. মান্নান, কয়েস আহমদ সাগর, পিয়ার উদ্দিন পিয়ার, সিরাজ খান, মঈনুল হক স্বাধীন, আবুল বাশার মেম্বার, জহির হোসেন পীর, এমডি কাবুল, শাহান খান, শাহনুর আহমদ, জাহিদুর রহমান জাহেদ, মাসুক আহমদ, আব্দুর রহিম প্রমুখ। মিছিল শেষে চৌহাট্টা পয়েন্টে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা শমসের মুবিনের ছবি সম্বলিত কুশপুত্তলিকা দাহ করে।

No comments

Powered by Blogger.