সন্ত্রাস করলে পুলিশে দিন : বদনাম হয় এমন কাজ করবেন না

ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিরাপদ রাখতে হবে। কোনো ক্যাম্পাসে কেউ সন্ত্রাস করলে তাকে পুলিশে ধরিয়ে দেবেন। উচ্ছৃঙ্খলতা, সন্ত্রাস ও নির্যাতন আওয়ামী লীগ সহ্য করে না, ছাত্রলীগও করবে না। ছাত্রলীগের বদনাম হয় এমন কোনো কাজ না করার পরামর্শও দেন সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বলেন, আমি চাই ছাত্রলীগের সব সদস্য, বাংলাদেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রী ভালোভাবে পড়ালেখা করে নিজের পায়ে দাঁড়াবে। তাহলে চাঁদাবাজি করার কোনো প্রয়োজন হবে না। জয় বলেন, তিনি চান বাংলাদেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিরাপদ থাকবে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকবে। আর ছাত্রলীগে মেধাবী ছেলেমেয়েরা যোগ দেবে। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি, ঢাকা মহানগর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতাদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগ সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও সাবেক ছাত্রনেতা মাহবুবুল হক শাকিল, প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন প্রমুখ। মতবিনিময় সভা পরিচালনা করেন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম।
গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতিতে জয়ের সূচনা বক্তৃতার পর অনুষ্ঠিত রুদ্ধদ্বার বৈঠকে ছাত্রলীগের প্রতিটি ইউনিটে প্রচার সেল গঠন, কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগকে আলাদা ডাটাবেজ তৈরি এবং রাজনৈতিক ইস্যুতে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদকে গণমাধ্যমের মুখোমুখি (সংবাদ সম্মেলন) হওয়ার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা। ১ থেকে ৭ ডিসেম্বর সারা দেশে ‘ক্লিন অ্যান্ড সেইফ ক্যাম্পাস’ কর্মসূচি পরিচালনার পরামর্শও দেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। বৈঠকের শুরুতে জয় ডিজিটাল বাংলাদেশ সম্পর্কে ছাত্রলীগ নেতাদের ধারণা দেন। এখান থেকে মানুষ কি কি সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে তা তুলে ধরেন। তিনি ছাত্রলীগ নেতাদের অনলাইনে সক্রিয়তা বাড়ানোর তাগিদ দেন। বলেন, সত্য ঘটনা তুলে ধরে বিএনপি-জামায়াতের অপপ্রচারের জবাব দিতে হবে। তৃণমূল পর্যন্ত এ বার্তা পৌঁছে দেয়ার আহ্বানও জানান তিনি। জয় বলেন, বিএনপি-জামায়াত যদি ৫টা অপপ্রচার চালায় তাহলে জবাবে ৫ হাজার অপপ্রচার চালাতে হবে। তাদের ছাড় দেয়া উচিত হবে না। সভায় শারমিন সুলতানা লিলি, ইমামুল হক সরকারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তৃতা দেয়া শুরু করলে এক পর্যায়ে জয় বিরক্তি প্রকাশ করে সভা শেষ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে জয় আরও বলেন, যখন দল ক্ষমতায় থাকে, তখন সবাই ছাত্রলীগ আর আওয়ামী লীগার হয়ে যায়। নিজেদের দুর্নীতি ও লাভের জন্য আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালাতে থাকে। আমাদের দেশে একশ্রেণীর মানুষ আছে, যারা পাকিস্তানের এজেন্ট। তারাও অপপ্রচার চালাতে থাকে। এই ধরনের প্রচারে কান দেয়ার দরকার নেই। তিনি বলেন, আমরা যদি সৎ থাকি, তবে চিন্তার কিছু নেই। কেউ সঠিক শিক্ষা নিলে তার দুর্নীতি, চাঁদাবাজি করার দরকার হয় না।

No comments

Powered by Blogger.