৫ই জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান স্পষ্ট

বাংলাদেশের ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের কথা সবারই জানা বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেন পাসাকি। ১২ই নভেম্বর মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ব্রিফিংয়ে মানবজমিন-এর যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি কাউসার মুমিনের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, গত জানুয়ারিতে যে নির্বাচন হয়েছে বা গণতন্ত্র নিয়ে আমাদের যে উদ্বেগ, তা সবাই জানেন এবং আমরা প্রায়ই তা বলে আসছি। এ বছরের শুরুর দিকে আমরা নির্বাচনের ব্যাপারে একটি বিবৃতি দিয়েছিলাম, যেখানে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশের সরকার ও বিরোধীদলগুলোকে একটি সংলাপে বসার জন্য আমরা উৎসাহিত করেছি, যেন জনগণের মতামত দেয়ার একটি উপায় তারা খুঁজে বের করতে পারেন এবং অন্যরা তা শ্রদ্ধা করতে পারেন। আমরা উস্কানিমূলক সহিংসতার বিরুদ্ধে কথা বলেছি। এনজিওগুলো ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের বিপক্ষে কথা বলেছি এবং এগুলো আমরা নিয়মিতই করে থাকি। আমরা এটা অব্যাহত রাখবো, যতদিন পর্যন্ত আমরা তা ন্যায্য বলে বোধ করবো। জেন পাসাকিকে উদ্দেশ্যে করে কাউসার মুমিন বলেন, আমি বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ‘দৈনিক মানবজমিন’-এর প্রতিনিধি হিসেবে গত তিন বছর ধরে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের খবর সংগ্রহ করছি। আমার আজকের প্রশ্নটি মূলত বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগের ব্যাপারে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যকার যে সংলাপটি হয়, সেখানে একটি যৌথ বিবৃতি দেয়া হয়। কিন্তু, সেখানে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ব্যাপারে কোন জোর দেয়া হয়নি। কয়েকটি প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র আর মান-নির্ভর কূটনীতির ওপর গুরুত্ব আরোপ করছে না। আমি বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে উদ্বুদ্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপের ব্যাপারে আপনার মতামত জানতে চাই। তবে প্রশ্নটি করার আগে আমি চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে গতকাল যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, তাকে অভিনন্দন জানাই। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকেও অভিনন্দন জানাই। কারণ, বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমরা বিশ্বাস করি জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক চুক্তি বাংলাদেশের মতো অরক্ষিত দেশগুলোর জন্য সুফল বয়ে আনবে। জবাবে জেন পাসাকি বলেন, আপনার প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ এবং অবশ্যই অভিনন্দনের জন্যও। আমি প্রথমেই বলতে চাই যে, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র অঙ্গীকারবদ্ধ। বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম জনসংখ্যা নিয়ে মধ্যপন্থি, ধর্মনিরপেক্ষ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ গণতান্ত্রিক এবং মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতার বিচারে তৃতীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সাফল্য ওই অঞ্চল এবং তার বাইরেও ইতিবাচক ও দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব রাখবে। যৌথ বিবৃতিতে বাংলাদেশ সরকার ও দেশটির জনগণের সঙ্গে আমাদের বৃহৎ পরিসরের সম্পর্কের বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.