থাইল্যান্ডে ক্ষমতাসীন ৩০০ এমপির বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে

থাইল্যান্ডের অন্তত ৩০০ আইনপ্রণেতার বিরুদ্ধে মামলা করতে যাচ্ছে দেশটির দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা। তাদের প্রায় সবাই ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে যুক্ত। সংবিধানে সংশোধনী আনার চেষ্টায় ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ আনা হবে তাদের বিরুদ্ধে। খবর এএফপি ও বিবিসি অনলাইনের। পুরো সিনেটকেই নির্বাচিত করে আনতে থাইল্যান্ডে সংবিধান সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এ চেষ্টাকে গত নভেম্বরে অসাংবিধানিক আখ্যা দেন দেশটির সাংবিধানিক আদালত। সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে সেনাবাহিনীর উৎখাতের পর ২০০৭ সালে গৃহীত নতুন সংবিধান অনুসারে সিনেটের বেশ কিছু সদস্য অনির্বাচিত হিসেবে নিয়োগ পান। এ সংবিধানকে থাকসিনের প্রভাব রুখতে মোক্ষম দাওয়াই হিসেবে বিবেচনা করেন তার বিরোধীরা। সংবিধান সংশোধন করে সিনেট সদস্যদের নির্বাচিত হওয়ার বিধান যুক্ত করার চেষ্টার জের ধরেই এ মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ন্যাশনাল অ্যান্টিকরাপশন কমিশন (এনএসিসি)। সংস্থাটির এ ঘোষণার পর ফের অভিযোগ বিষয়ে তদন্ত হবে। যার জেরে ৩০৮ জন আইনপ্রণেতা রাজনীতিতে নিষিদ্ধ হতে পারেন। তবে থাই প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হবে না বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। আগেও দেশটিতে আদালতের ভূমিকায় রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হয়েছিল। বিরোধী দলের আপত্তি সত্ত্বেও আগামী ২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠানের চেষ্টার মধ্যেই এ ঘোষণা এলো। কয়েক মাস ধরেই থাইল্যান্ডে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ হচ্ছে। প্রধান বিরোধী দল সমর্থিত হলুদ শার্টধারী আন্দোলনকারীরা ইংলাক সরকারকে হটিয়ে অনির্বাচিত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে একটি 'গণপরিষদ' গঠন করতে চাচ্ছে। তাদের আন্দোলনের মুখে গত মাসে পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে ২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন ইংলাক। বিরোধীরা নির্বাচন বয়কট করে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে।
১৫ হাজার পুলিশ মোতায়েন : আগামী সপ্তাহে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের রাজধানী ব্যাংকক অচল করে দেওয়ার কর্মসূচি ঠেকাতে ১৫ হাজার পুলিশ ও সেনা মোতায়েন করছে সরকার। গতকাল বুধবার সরকারি কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন। বিরোধীরা বলেছে, ১৩ জানুয়ারি থেকে সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজধানী দখল করে রাখবে।

No comments

Powered by Blogger.