ফ্রান্স ও জার্মানির প্রতিক্রিয়া নির্বাচনে জনমতের দুর্বল প্রতিফলন ঘটেছে

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কম ভোটারের উপস্থিতির কারণে এতে জনমতের দুর্বল প্রতিফলন ঘটেছে। ফ্রান্স ও জার্মানি পৃথক বিবৃতিতে এ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বিবৃতিতে ইউরোপের এই দুই প্রভাবশালী দেশ বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিবিড় পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানায়। ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানান, 'বাংলাদেশের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে ফ্রান্স'। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'সহিংসতা এবং খুব কম সংখ্যক ভোটার উপস্থিতির মধ্য দিয়ে
অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পর বাংলাদেশের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে ফ্রান্স।'
এতে বলা হয়েছে, 'আমরা বাংলাদেশের সব পক্ষকে শান্ত ও সংযমী হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে প্রধান রাজনৈতিক শক্তিগুলোকে দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্যে থেকেই পুনরায় সংলাপ শুরুর আহ্বান জানাচ্ছি।'
জার্মানির বিবৃতি :জার্মানির বিবৃতিতে বলা হয়, 'বাংলাদেশের সংসদীয় নির্বাচন ঘিরে তার পরিবেশকে খুবই দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করেছে জার্মানি। এই নির্বাচনে নির্বাচকমণ্ডলীর ইচ্ছার খুব দুর্বল প্রতিফলন ঘটেছে।'
বিবৃতিতে বলা হয়, 'প্রচারের সময়ে এবং নির্বাচনের দিনে যত মানুষ হতাহত হয়েছে, তার সংখ্যা অনেক বেশি। আমরা নির্বাচনকে ঘিরে সহিংসতার নিন্দা জানাই এবং সব রাজনৈতিক শক্তিকে যে কোনো প্রকার বিশেষ করে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহিংসতা এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই।'
ভ্রমণ সতর্কতা বাড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়া :অস্ট্রেলিয়া তাদের দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সতর্কতার মাত্রা বৃদ্ধি করেছে। নির্বাচনকে ঘিরে সহিংস পরিস্থিতির কারণে 'সর্বোচ্চ মাত্রায় সতর্কতা অবলম্বন' পর্যায় থেকে 'ভ্রমণের প্রয়োজনীয়তা পুনর্বিবেচনা করুন' পর্যায়ে উন্নীত করা হয়েছে। দেশটির চার স্তরবিশিষ্ট ভ্রমণ সতর্কতার মধ্যে 'ভ্রমণের প্রয়োজনীয়তা পুনর্বিবেচনা করুন' হলো দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা। ফলে এই মুহূর্তে কার্যত অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। তবে বাংলাদেশে বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার ৭৭৯ জন নাগরিক অবস্থান করছেন।

No comments

Powered by Blogger.