পেছাবে না বিসিএল

দুই দিন বিসিএল (বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগ) পেছানোর দাবী করেছিলেন একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি প্রতিনিধি। কিন্তু সে দাবীতে কর্ণপাত করার কোনো সুযোগ নেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। গতকাল বিসিএল ফ্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে বৈঠকে বসার আগেই বিসিবি গেম ডেভলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ জানিয়ে দিলেন, টুর্নামেন্ট পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। ১২ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে এবং ২১ জানুয়ারির মধ্যে দুই রাউন্ড শেষ করতে হবে। ২২ জানুয়ারি থেকে শ্রীলংকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের জন্য জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দেবেন ক্রিকেটাররা। ফ্র্যাঞ্চাইজি প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শুরুর আগেই চার দল গঠন করে ফেলেন নির্বাচকরা। প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ জানান, 'প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য আমরা ২০ করে ক্রিকেটারের তালিকা করে দিয়েছি। সেখান থেকে পছন্দ মতো ১৫ জন বেছে নেবেন ফ্র্যাঞ্চাইজিরা।' গত প্রথম আসরের খেলোয়াড় তালিকা অনেকটা প্রথম আসরের মতোই থাকছে। বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন আনেননি নির্বাচকরা। ফারুক আহমেদের মতে, বিসিএলের দলগুলো অঞ্চল ভিত্তিক। তাই এক অঞ্চলের ক্রিকেটারের অন্য অঞ্চলের টিমে খেলার সুযোগ নাই। তবে ব্যতিক্রমও আছে। কোনো অঞ্চলে যদি ছয় জন পেসার থাকে তাহলে তো সবাই খেলার সুযোগ পাবে না। তখন সেরা তিন জনকে ওই অঞ্চলে রেখে বাকিদের অন্য দলে দেওয়া হবে। একই পদ্ধতি ব্যাটসম্যানদের বেলায়ও। যেন সেরা ক্রিকেটাররা কেউ বসে না থাকে তারা সেভাবেই দল সাজিয়েছেন নির্বাচকরা। ফ্র্যাঞ্চাইজি প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে গেম ডেভলডমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ওই খেলোয়াড় তালিকা থেকে দল গুছানোর কাজটি গতকাল সেরেছেন। ১২ জানুয়ারি থেকে বিকেএসপিতে শুরু হবে চার দলের এ টুর্নামেন্ট। ১২ থেকে ১৪ জানুয়ারি প্রথম রাউন্ড, এরপর দুই দিনের বিশ্রাম। ১৭ জানুয়ারি থেকে দ্বিতীয় রাউন্ড। ফ্র্যাঞ্চাইজি প্রতিনিধিরা জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে মাঠে নামতে চাওয়ায়ই টুর্নামেন্ট পেছানোর সুযোগ নেই।
তিন ফ্র্যাঞ্চাইজিতে এবার নতুন মুখ বেশি দেখা না গেলেও মধ্যাঞ্চলকে কমপক্ষে দুই জন নতুন ক্রিকেটার মাঠে নামাতে হবে। মধ্যাঞ্চলের ফ্যাঞ্চাইজি ওয়ালটনের প্রতিনিধি উদয় হাকিম গতকাল বৈঠক শুরুর আগে জানান, গত আসরে তাদের সেরা একাদশে থাকা মোহাম্মদ আশরাফুল এবং মোশাররফ হোসেন রুবেল এবার খেলতে পারবেন না। দু'জনই বিপিএল ফিক্সিংয়ে অভিযুক্ত হওয়ায় সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ। এখন তাদের বিচার কাজ চলছে। এ দু'জন ক্রিকেটারকে হারানোয় তাদের শক্তি অনেক কমে গেছে বলে মনে করছেন ফ্র্যাঞ্চাইজি প্রতিনিধি।
চার দিনের বিসিএলে খেলবেন পেসার মাশরাফি মর্তুজা। প্রায় ১৬ কেজি ওজন কমিয়ে তিনি এখন দারুণ ফিট। তার সঙ্গে কথা বলেই তাকে বিসিএলের দলে রেখেছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচক। তাই বলে মাশরাফিকে এখনি টেস্টের জন্য বিবেচনা করছেন না তারা। প্রধান নির্বাচকের মতে, মাশরাফির শরীর লম্বা দৈর্ঘ্যের ম্যাচের ধকল নিতে পারে কিনা সেটা দেখার বিষয়। আর দেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এ বোলার ওয়ানডে এবং টি২০ এখনো দলের অন্যতম ভরসা। নির্বাচকরা মাশরাফিকে বলেছেন, তার প্রমাণের কিছু নেই। মাশরাফির শরীর কতটা চাপ নিতে পারে সেটাই তাদের দেখার বিষয়। ইনজুরিকে প্রায় নিত্য সঙ্গী বানিয়ে ফেলা এ পেসার গত মৌসুমে একটি চারদিনের ম্যাচ খেলেছিলেন। আর সর্ব শেষ টেস্ট খেলেছিলেন ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে।

No comments

Powered by Blogger.