নীরবেই কাটল ম্যান্ডেলা-ম্যাশেলের বিবাহবার্ষিকী

অন্তরঙ্গ মুহূর্তে নেলসন ম্যান্ডেলা ও গ্রাসা ম্যাশেল
বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের কিংবদন্তিতুল্য নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার ৯৫তম জন্মদিন পালিত হলো গতকাল বৃহস্পতিবার। একই দিন ছিল গ্রাসা ম্যাশেলের সঙ্গে তাঁর বিয়ের ১৫তম বার্ষিকী। দিনটি নীরবেই উদ্যাপন করলেন এ দম্পতি। একই সঙ্গে জন্মদিন আর বিবাহবার্ষিকীর মতো আনন্দের দিনটি ম্যান্ডেলার কেটেছে হাসপাতালের শয্যায়। কিন্তু খুব খারাপ কাটেনি। কারণ প্রিয়তমা স্ত্রী গ্রাসা ম্যাশেল গভীর নিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গ দিয়েছেন তাঁকে। ছয় সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে প্রায় ২৪ ঘণ্টাই ম্যান্ডেলার পাশে রয়েছেন ম্যাশেল। এ সময়ে তিনি ম্যান্ডেলার অসুস্থতাকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত কোনো কর্মসূচিতেও যোগ দেননি। জোহানেসবার্গের বাসায় পর্যন্ত যাননি। ম্যান্ডেলার চেয়ে বয়সে ২৭ বছরের ছোট মোজাম্বিকের মেয়ে ম্যাশেল। তাঁদের বিয়ে হয় ১৯৯৮ সালের ১৮ জুলাই ম্যান্ডেলার জন্মদিনে। ম্যাশেলেরও এর আগে বিয়ে হয়েছিল। তাঁর প্রথম স্বামী মোজাম্বিকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সামোরা ম্যাশেল রহস্যজনক বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান। সে দুঃখজনক ঘটনার ১২ বছর পর ম্যান্ডেলাকে বিয়ে করেন ম্যাশেল। অন্যদিকে, দ্বিতীয় স্ত্রী উইনি ম্যান্ডেলার সঙ্গে ছাড়াছাড়ির পর ম্যান্ডেলা একা কাটিয়েছিলেন দুটি বছর। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট ম্যান্ডেলা ২০০৭ সালে ম্যাশেলকে নিয়ে বলেছিলেন, ‘যখন আমি একা থাকি, তখন নিজেকে খুব দুর্বল লাগে।’ এ জন্যই হয়তো ম্যাশেল-ম্যান্ডেলার বিবাহবার্ষিকীর আগ মুহূর্তে তাঁদের নিয়ে ম্যান্ডেলার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও আইনজীবী জর্জ বিজোসের মন্তব্য: ‘তারা এক প্রেমিক দম্পতি।’ এএফপিকে তিনি বলেন, ‘ম্যান্ডেলা ও ম্যাশেল একত্রে থাকতে পেরে খুবই সুখী। ম্যাশেল স্বামীর জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছেন।’ এ জুটির বিয়ের পর দক্ষিণ আফ্রিকার আর্চবিশপ শান্তিতে নোবেলজয়ী ডেসমন্ড টুটু বলেছিলেন, ম্যান্ডেলার জন্য ম্যাশেল যে আনন্দ বয়ে এনেছেন, সে জন্য তাঁর কাছে দক্ষিণ আফ্রিকাবাসী চিরঋণী। এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.