জন কেরির পরিকল্পনায় পরিবর্তন চায় ফিলিস্তিন

পশ্চিম তীরে গতকাল ফিলিস্তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে
হাস্যোজ্জ্বল প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ষ এএফপি
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তি আলোচনা আবার শুরু করার ব্যাপারে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির পরিকল্পনা পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি নেতারা। গতকাল বৃহস্পতিবার পশ্চিম তীরের রামাল্লায় এক জরুরি বৈঠক শেষে নেতারা এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। জন কেরির পরিকল্পনা অনুযায়ী পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি সম্প্রসারণ চলতে থাকলেও দুই পক্ষের আলোচনা শুরু করতে হবে। এ বিষয়টি মানতে নারাজ ফিলিস্তিনিরা। তাঁদের মূল দাবি, শান্তি আলোচনা শুরু হলে অবশ্যই বসতি স্থাপন বন্ধ করতে হবে। ফিলিস্তিনের ক্ষমতাসীন ফাতাহ মুভমেন্টের রেভল্যুশনারি কাউন্সিলের সেক্রেটারি জেনারেল আমিন মকবুল বলেন, ফাতাহ কেরির পরিকল্পনায় কিছু পরিবর্তন চায়... মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে পরিকল্পনা পেশ করেছেন, তা ফিলিস্তিনের জন্য উৎসাহব্যঞ্জক নয়। এর আগে ফিলিস্তিনের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, কেরির উদ্যোগে আলোচনা শুরুর প্রস্তাবে ইহুদি বসতি সম্প্রসারণের কাজ বন্ধের বিষয়টি নেই।’ তিনি বলেন, ইসরায়েল যদি বসতি সম্প্রসারণের কাজ চালিয়ে যায়, তাহলে ফিলিস্তিন আবারও আন্তর্জাতিক সংস্থায় বিষয়টি তুলে ধরবে এবং এ ব্যাপারে ইহুদি রাষ্ট্রটির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাবে। চলতি সপ্তাহে জর্ডানে মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে দুই দফায় বৈঠক করেন জন কেরি। ওই বৈঠকে তিনি শান্তি আলোচনা আবার শুরুর প্রস্তাব দেন। কেরির প্রস্তাবের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে ভোটের কথা বিবেচনা করেন আব্বাস। তবে ফিলিস্তিনিরা এখনো আগের অবস্থানেই অনড়। আলোচনা শুরুর আগে অধিকৃত ভূখণ্ডে ইসরায়েলের বসতি সম্প্রসারণ প্রক্রিয়া বন্ধ করতে হবে। এদিকে আরব লিগের প্রধান নাবিল আল-আরাবি ও উপসাগরীয় কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিরা কেরির শান্তির উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। জর্ডানে অবস্থানরত জন কেরি গত বুধবার বলেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি ছয়বার মধ্যপ্রাচ্য সফর করেছেন। তাঁর এই সফর ‘ফলপ্রসূ’ হয়েছে। নেতানিয়াহুর মন্তব্য প্রত্যাহার: এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের আগের সীমানা মেনে নিতে রাজি বলে যে কথা বলেছিলেন, তা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। নেতানিয়াহুর মুখপাত্র মার্ক রেগেভ বলেন, যে প্রতিবেদনে ওই মন্তব্য করা হয়েছে তা ‘অসত্য’। এএফপি ও রয়টার্স।

No comments

Powered by Blogger.