ড্রোন নিয়ে সমঝোতা দরকার যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তানের

ড্রোন (চালকবিহীন বিমান) হামলার বিষয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে নতুন করে সমঝোতায় যাওয়া উচিত যুক্তরাষ্ট্রের। নওয়াজ শরিফের সরকার এই মুহূর্তে ড্রোনের বিপক্ষে যতটা কঠোর ততটা ভবিষ্যতে হয়তো থাকবে না।
নতুন সমঝোতাটি হতে হবে পাকিস্তানের স্বার্থ ও উদ্দেশ্যকে গুরুত্ব দিয়ে। যুক্তরাষ্ট্রের একটি গবেষণা ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এক প্রতিবেদনে এ কথা বলেছে।
ওয়াশিংটনভিত্তিক বৈদেশিক সম্পর্কবিষয়ক গবেষণা সংস্থা কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনসের প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয় গত বুধবার। এতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র যে ধারায় পাকিস্তানে ড্রোন হামলা চালিয়ে আসছে তাতে নতুন সমঝোতা ছাড়া এ ধারা অব্যাহত রাখলে ভবিষ্যতে ড্রোনও পাল্টা হামলার শিকার হতে পারে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৪ সালের জুনে প্রথম ড্রোন হামলা চালানোর আগে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ও সেনাপ্রধান পারভেজ মোশাররফের ব্যক্তিগত অনুমোদন নেওয়া হয়। তার বেশ কয়েক বছর পর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ড্রোন হামলার দায় স্বীকার করে, তবে জনসমক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের সমালোচনা করে। এরপর পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতৃত্বাধীন সরকার এবং জেনারেল আশফাক পারভেজ কায়ানিও ড্রোন কর্মসূচিকে সবুজ সংকেত দিয়ে গেছেন। প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেন গবেষণা সংস্থাটির জ্যেষ্ঠ গবেষক ড্যানিয়েল মারকি। তিনি জানান, যেহেতু পাকিস্তানের নতুন সরকার এই হামলা চলতে দেবে না, তাই বর্তমান পদ্ধতিতে এ কর্মসূচি চালিয়ে নেওয়া সম্ভব না। নতুন সমঝোতা হতে হবে পাকিস্তানের স্বার্থ ও উদ্দেশ্যের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে। আগামী সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানে নতুন প্রেসিডেন্ট ও সেনাপ্রধান দায়িত্বে থাকবেন। নতুন সমঝোতা ছাড়াই ওয়াশিংটন তখনো যদি ড্রোন হামলা অব্যাহত রাখে, নতুন সেনাপ্রধান হয়তো আকাশসীমায় ড্রোনের ওপর হামলা চালাবে। নতুন সমঝোতায় নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু ও অঞ্চলে হামলার আগে ইসলামাবাদের অনুমতি নেওয়ার বিষয়টি থাকা দরকার। এ ছাড়া সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তুর একটি তালিকা এবং বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়নের একটি কর্মকৌশলও তৈরি করতে হবে। সেই সঙ্গে আফগানিস্তান ও ইরাকের মতো পাকিস্তানেও যথাযথ ক্ষতিপূরণের বিষয়টি সমঝোতায় যুক্ত করতে হবে।
নওয়াজ-হেগ বৈঠক : পাকিস্তান সফররত যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ গতকাল বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদে প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে হেগ বলেছেন, আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাকিস্তানের প্রচেষ্টা প্রশংসনীয় এবং সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আফগানিস্তানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনতে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে আছে বলে জানান নওয়াজ। সূত্র : ডন।

No comments

Powered by Blogger.