সহিংসতায় ১৮ দলের নেতা-কর্মীদের সংশ্লিষ্টতা নেই

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অবরোধ কর্মসূচিতে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে প্রমাণ হয়েছে এই সরকারের ওপর জনগণের আর আস্থা নেই। নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া এই দেশে নির্বাচন হবে না।
তিনি সংঘাত পরিহার করে গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসার আহ্বান জানান।
আজ রোববার সকাল ছয়টা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত আট ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি শেষে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেরনে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল দাবি করেন, অবরোধকে কেন্দ্র করে চার নেতা-কর্মী নিহত হয়েছেন; এদের মধ্যে একজন শিবিরের কর্মী। এ ছাড়া সারা দেশে ৪৪০ জনের বেশি গ্রেপ্তার এবং ছয় শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তবে হামলা-গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে নতুন কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়নি। সন্ধ্যায় ১৮ দলের বৈঠক শেষে নতুন কর্মসূচি জানানো হবে বলে তিনি জানান। একইসঙ্গে তিনি অবরোধ সফল করায় দেশবাসী ও নেতা-কর্মীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।
এর আগে দুপুর একটার দিকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, স্বতস্ফূর্তভাবে মানুষ অবরোধে অংশ নিয়েছেন। সব রাজপথ অচল হয়ে গেছে। একেই বলে সত্যিকারের গণ-অভ্যুত্থান। তিনি অভিযোগ করেন, সরকার নির্যাতন-নিপীড়ন করছে, পুলিশ গুলি করছে আর আওয়ামী লীগের গুন্ডাবাহিনী হামলা করছে। তারপরও জনগণ অবরোধ সফল করেছে বলে তিনি দাবি করেন।
বিএনপি নেতা এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ গ্রেপ্তার নেতাদের মুক্তির দাবি জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব। গ্রেপ্তার নেতাদের মুক্তি না দিলে পরিণতি আরও খারাপ হবে বলেও তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। আন্দোলন অব্যাহত রাখতে দলীয় নেতা-কর্মীরে প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আর একেবারে সকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে মির্জা ফখরুল দাবি করেছিলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মতো সহিংস ঘটনায় ১৮ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। সরকারের এজেন্টরাই এসব সহিংস কর্মকাণ্ড ঘটাচ্ছে।

No comments

Powered by Blogger.