তারেক ও মামুনের অর্থপাচার মামলার সাক্ষ্য ২২ নভেম্বর

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে দায়ের করা অর্থপাচার মামলার সপ্তম সাক্ষী মুগদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ করিমের সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা শেষ হয়েছে।

ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ মোজাম্মেল হোসেইন আগামী ২২ নভেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধারর‌্য করেছেন।
বৃহস্পতিবার মামলার সপ্তম সাক্ষী মুগদা থানার ওসি মাসুদ করিমসহ চার সাক্ষী আদালতে হাজির ছিলেন।

এ দিন আসামিপক্ষে এক দরখাস্ত দিয়ে বলা হয়, গত ১৮ অক্টোবর বিচারকের এখতিয়ার চ্যালেঞ্জ করা আবেদন খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা হাইকোর্টে যাবেন। ইকোর্টে যাওয়ার জন্য নকলের কপি ইতোমধ্যে তারা হাতে পেয়েছেন। বর্তমানে হাইকোর্ট বন্ধ। তাই সাক্ষ্যগ্রহণ স্থগিত রেখে আসামিদের হাইকোর্টে যাওয়ার জন্য তিন সপ্তাহের সময়  চান।

শুনানি শেষে আদালত মুগদা থানার ওসি মাসুদ করিমের অসমাপ্ত জেরা শেষ করার নির্দেশ দেন এবং মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ আগামী ২২ নভেম্বর ধার্য করেন। বাকি সাক্ষীদের ওই দিন সাক্ষ্য দিতে আদালতে আসার নির্দেশ দেয়া হয়।

এ মামলায় এর আগে আরও ৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। তারা হলেন, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেসটিগেশনের (এফবিআই) এজেন্ট মিস ডেবরা লেপরোভেটি, মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম,   মামলার নিবন্ধন কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হোসনে আরা বেগম, মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন পরিদর্শক বর্তমানে ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর আলীমুজ্জামান, গুলশান থানার সাবেক ওসি কামাল উদ্দিন ও নির্মাণ কনস্ট্রাকশন কোম্পানির চেয়ারপারসন খাদিজা ইসলাম।

রাষ্ট্রপক্ষে দুদকের বিশেষ পিপি মোশারফ হোসেন কাজল এ সময় উপস্থিত ছিলেন। 

আসামিপক্ষে মামলার শুনানি করেন ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, টঙ্গীর বিসিক শিল্প এলাকায় একটি ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কার্যক্রম শুরু হলে গিয়াস উদ্দিন আল মামুন তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও ব্যবসায়িক পার্টনার তারেক রহমানের মাধ্যমে কার্যাদেশ পাইয়ে দেয়ার কথা বলে নির্মাণ কনস্ট্রাকশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক খাদিজা ইসলামের কাছ থেকে ২০০৩ সালের ১ জানুয়ারি  থেকে ২০০৭ সালের ৩১ মে  পর্যন্ত ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা গ্রহণ করে তা বিদেশে পাচার করেন।

No comments

Powered by Blogger.