ড্রাগনের মহাকাশ যাত্রা

শাটল যুগের সমাপ্তির পর প্রথমবারের মতো ব্যক্তিমালিকানাধীন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স নির্মিত ‘ড্রাগন’ কার্গো যানটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের পথে (আইএসএস) রওনা হয়েছে। রোববার রাত আটটা ৩৫ মিনিটে ফ্লোরিডা থেকে ফ্যালকন রকেটে করে এ কার্গো যানটিকে পাঠানো হয়েছে।


১০ অক্টোবর বুধবার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছাবে ড্রাগন আর ফিরবে চলতি মাসের শেষ নাগাদ। খবর বিবিসির।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের ছয়জন নভোচারীর জন্য প্রয়োজনীয় খাবার, পোশাকসহ অন্যান্য সরঞ্জাম বয়ে নিয়ে যাবে স্পেসএক্স নির্মিত ড্রাগন। এ মহাকাশযানাটি ৪০০ কেজি পর্যন্ত মালামাল বহন করতে সক্ষম।
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সঙ্গে চুক্তিতে স্পেসএক্স ড্রাগন নামের এ কার্গো যানটি তৈরি করেছে। এ জন্য নাসার পক্ষ থেকে স্পেসএক্সের সঙ্গে ১০৬ কোটি ডলারের চুক্তি করা হয়েছিল। চলতি বছরের মে মাসে পরীক্ষামূলকভাবে স্পেসএক্সের ‘ড্রাগন’ আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছিল।
স্পেসএক্স ছাড়াও নাসার হয়ে অরবিটাল সায়েন্সেস করপোরেশন (ওসিএস) নামের একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান কার্গো যান তৈরির জন্য কাজ করছে। এ প্রতিষ্ঠানটি আগামী বছর নাগাদ ‘অ্যান্টারেস’ রকেট ও রোবোটিক যান ‘সিগনাস’ পরীক্ষা চালাবে। পরীক্ষা সফল হলে নাসা ওসিএসের সঙ্গে ১৯০ কোটি ডলারের চুক্তি করবে।
বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের তৈরি কার্গো যান ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে সরঞ্জাম পৌঁছে দেওয়ার কাজ ছাড়াও মহাকাশ ভ্রমণসংক্রান্ত ব্যবসার বিষয়টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের হাতেই ছেড়ে দিচ্ছে নাসা। এ সুযোগ নিয়ে স্পেসএক্স তাদের ড্রাগন কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করেছে। ড্রাগনে নিরাপত্তাব্যবস্থা ও টিকে থাকার উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করে কয়েক বছরের মধ্যে নিয়মিত মহাকাশ সার্ভিস হিসেবে ড্রাগনকে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেছে মহাকাশযান নির্মাতা স্পেসএক্স।
নাসার প্রশাসনিক কর্মকর্তা চার্লস বোলডেন এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের হাতে যাতায়াত ব্যবস্থার ভার ছেড়ে দিলে নাসা সৌরজগতের বাইরে অনেক বিষয় নিয়ে ভাবার সুযোগ পাবে।

No comments

Powered by Blogger.