টাইডাই ফ্যাশন by তৌহিদা শিরোপা

আবার চল এসেছে টাইডাই, বাটিক পোশাকের। নানা নকশায় রংবেরঙের পোশাকগুলো গরমে বেশ আরামদায়ক। সালোয়ার-কামিজ, কুর্তা, টপস, স্কার্ট, শাড়িতে তো আছেই;এমনকি ব্যাগ, স্যান্ডেলের কাপড়েও দেখা যাচ্ছে টাইডাই নকশা।যাত্রার ডিজাইনার মাধুরী সঞ্চিতা বলেন, একরঙের হারেম প্যান্ট,


পাতিয়ালা বা ধুতি-সালোয়ারের সঙ্গে বাহারি শেডের টাইডাইয়ের টপস মানানসই। কয়েক শেডের চুড়িদার সালোয়ারও অনেক ট্রেন্ডি এখন।
কয়েক স্তরের একটু ঘেরওয়ালা টাইডাইয়ের স্কার্ট, জিপসি স্কার্টের সঙ্গে বৈচিত্র্যময় কাটের টপস আপনাকে স্টাইলিশ করে তুলবে। হাতার ক্ষেত্রে গরমে চিরায়িত হাতাকাটা, ঘটি হাতা, খাটো হাতার চল তো রয়েছেই। ভিন্ন আঙ্গিকে চায়নিজ ম্যাগি হাতা, ডিভাইডার হাতা, চুড়িদার হাতাকে উপস্থাপন করতে পারেন। গলায়-হাতায় লেইস বা পাইপিং ব্যবহার করা যেতে পারে। এসবের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে ওড়না, সালোয়ার বা স্কার্ট বেছে নিতে পারেন। টপস বা কুর্তার হেম কিছুটা চাপা, জিগজ্যাগ বা কোনা বের করে দেওয়ার ফ্যাশন এখন চলছে। কোনার দিকে নূপুরের ঝুনঝুনি বা ছোট পুঁতি ব্যবহার করতে পারেন। টপসের কোমরের দিকে একই কাপড়ের বেল্টের মতো করে নকশা করলে একটু আলাদা হবে আপনার পোশাকটি। গলার কাছে ফিতা নকশা, নকশিকাঁথা বা বিডস ব্যবহার করতে পারেন। হালফ্যাশনের লম্বা কামিজ করতে চাইলে তাতেও অসুবিধা নেই। চওড়া করে পাইপেন গলায়-হাতায় ও হেমের নিচে লাগিয়ে নিতে পারেন।
দোকানে কেনা পোশাক শুধু নয়, আপনি চাইলে নিজের মতো করে বাড়িতে বসেও তৈরি করতে পারেন। স্বাগতা ক্র্যাফটসের স্বত্বাধিকারী মাহমুদা মালেক বলেন, ‘রং, পোশাকের উপাদান, কয়টি রং ব্যবহূত হবে ও নকশা কী রকম হবে—এর ওপর নির্ভর করে পোশাকের দাম। টাইডাই ও বাটিক দেখতে কাছাকাছি হলেও তৈরির পদ্ধতি ভিন্ন। সুতি কাপড় টাইডাই বা বাটিকের জন্য বেশ উপযোগী। টাইডাইয়ে সহজে নানা রঙের ব্যবহার করা যায়। নকশার মধ্যেও বৈচিত্র্য আনা যায়। বাটিকের মধ্যে সাধারণত ফুল, লতাপাতা নকশার ব্যবহার করা হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে চুন্দ্রি প্রিন্টও করা হয়ে থাকে। ব্লাউজে চুন্দ্রি প্রিন্টের টাইডাই করা হলে শাড়ি একরঙের হলে ভালো দেখাবে। শাড়ির পাড়ে বাটিক করাতে পারেন। এতে দুইয়ের সমন্বয় থাকল।
তবে বাড়িতে ছাড়াও বাটিক, টাইডাই করার জন্য পরিচিত স্থান হলো ঢাকার নিউমার্কেট। এ ছাড়া ঢাকার প্রিয়াঙ্গন, গাউছিয়ার পাশাপাশি পাড়ার অনেক ছোটবড় বুটিকে এসব করা হয়।

মিলিয়ে অনুষঙ্গ
বাটিক বা টাইডাই করা পোশাকের সঙ্গে পাশ্চাত্য ধাঁচের সাজ যেমন মানানসই, একইভাবে আটপৌরে সাজও মন্দ নয়। বিষয় হলো, আপনি নিজেকে কোন রূপে দেখতে চান। লম্বা মালা, হাতে কাঠ বা সুতার বালা, ফ্ল্যাট স্যান্ডেল, একটু এলোমেলো চুল। ব্যস, স্কার্ট টপস বা কুর্তা পাতিয়ালার সঙ্গে এই সাজ মানিয়ে যাবে। পরিপাটিভাবে নিজেকে উপস্থাপন করলে সাধারণ টাইডাই বা বাটিকের পোশাকে অসাধারণ দেখাবে আপনাকে।

No comments

Powered by Blogger.