এই সময়ের ট্রেন্ডি পোশাক by শারমিন নাহার

বৈশাখের প্রথম দিন লাল-সাদা শাড়ির ফ্যাশন তো চিরকালীন। তবে বৈশাখের পরও রেশ থেকে যায় উৎসবের। বিভিন্ন নিমন্ত্রণ বা বাড়িতে আপ্যায়ন তো থাকেই। এই গরমে যাঁরা শাড়ি পরতে চান না, তাঁরা পরতে পারেন বাহারি সব ট্রেন্ডি পোশাক। ফ্যাশন হাউসগুলোয় মিলছে টপস, কুর্তা, কামিজ, ফতুয়া, পঞ্চো আর কাফতানের মতো ট্রেন্ডি পোশাক। এসব পোশাক দেখতে যেমন আধুনিক, তেমনি আরামদায়কও।


অনলাইন ফ্যাশন হাউস অ্যাডাম-ইভের ব্যবস্থাপনা অংশীদার শতাব্দী ইকবাল বলেন, বৈশাখের রৌদ্রোজ্জ্বল দিনগুলোয় আরামের কথা মাথায় রেখেই এমন পোশাকের ডিজাইন করা হয়েছে। সারা দিন আরামদায়ক আর ঢিলেঢালা পোশাক কিশোরী থেকে তরুণী—সবাই পরতে পারবেন। ফতুয়া হাতা ছাড়া ও হাতাসহ—উভয় ধরনের ডিজাইন করা হয়েছে। আছে ফ্রক, ফ্রকের নিচের অংশের কাটে আছে বৈচিত্র্য। কোনোটা ঘেরে বেশি, কোনোটা ত্রিকোনা আবার কোনোটা গোল কাটের। ফ্রকের গলায় নকশা করতেই বসানো হয়েছে কাপড়ের ফুল। আরও আছে কাফতান ও পঞ্চো। কাফতানের সুবিধা হলো, ওড়না সামলাতে হয় না। আবার পোশাকটা হালফ্যাশনের। প্রতিটি পোশাকেই আছে রঙের বৈচিত্র্য। তিনি আরও বলেন, ‘বৈশাখ মানেই লাল-সাদা; তাই লাল-সাদার সঙ্গে আরও রেখেছি চোখ ধাঁধানো কমলা, হলুদ, সবুজ, নীলসহ নানা রং। গরমের কথা মাথায় রেখে সুতি ও নেট কাপড়ের পোশাক তৈরি করা হয়েছে। আবার সামনে আসছে বৃষ্টির মৌসুম; তাই আছে শিফন, সিল্ক, শাটিন ও জর্জেট কাপড়ের পোশাক। কাফতানের গলায় আর হাতায় আছে পাইপিং। এ ছাড়া সুতার কাজ, ব্লক প্রিন্ট, বাহারি ফুল, নেটের লেইস, কুরুশ কাঁটার নকশা আর কোমরে ফিতা ব্যবহার। এই পোশাক লেগিংস, জিনস এমনকি ক্যাপ্রি দিয়েও পরা যায়।’ অ্যাডাম-ইভ থেকে লেগিংসসহ পোশাক কেনা যাবে এক হাজার ৪০০ থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকায়। চাইলে লেগিংস ছাড়াও কিনতে পারবেন।
ফ্যাশন হাউস আড়ংয়ে মিলছে টাইডাই করা সুতি ও অ্যান্ডি কাপড়ের ফতুয়া। শার্টের আদলে কলার দেওয়া ফতুয়া ও কাফতান মিলবে এখানে। আড়ং থেকে পোশাকগুলো কেনা যাবে ৭০০ থেকে দুই হাজার টাকায়। ফ্যাশন হাউস যাত্রায় বর্ণিল ও হালকা—উভয় ধরনের ফতুয়া ও টপস মিলছে। গলা, হাতা আর ঝুলের মধ্যে আছে বৈচিত্র্য। কেনা যাবে ৭৫০ থেকে দুই হাজার ২০০ টাকার মধ্যে। এ ছাড়া হালফ্যাশনের আরামদায়ক পোশাক কেনা যাবে ড্রেসিডেল থেকে।

No comments

Powered by Blogger.