কিং প্যারটের ছানা

অস্ট্রেলিয়ান কিং প্যারট বাংলাদেশে এই প্রথমবারের মতো বাচ্চা দিয়েছে। কিং প্যারট দুর্লভ ও বিলুপ্ত প্রজাতির পাখি। এদের আদি নিবাস পূর্ব অস্ট্রেলিয়া ও কুইন্সল্যান্ডে। এরা দৈর্ঘ্যে ১৭ থেকে ১৮ ইঞ্চি হয়ে থাকে এবং বাঁচে ১৮ থেকে ২০ বছর।

পুরুষ পাখির গলা, ঘাড় ও বুক টকটকে লাল এবং গায়ের বাকি অংশ গাঢ় সবুজ। পাখনার ওপর সাদা ডোরাকাটা দাগ। কিন্তু মেয়ে পাখির বুকের অর্ধেক অংশ গোলাপি এবং শরীরের বাকি অংশ হালকা সবুজ। এরা সাধারণত শান্ত প্রকৃতির এবং এদের অঙ্গভঙ্গি খুব চমৎকার। বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এ প্রজাতির পাখি এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে।
এদের প্রধান খাদ্য বিভিন্ন ধরনের ফল ও বীজ, যেমন: আপেল, গাজর, শসা, ছোলা, ভুট্টা, আখ, আঙুর, সূর্যমুখী ফুলের বিচি, গম, ধান, বাদাম প্রভৃতি।
বাংলাদেশের আবহাওয়া এদের বসবাস ও প্রজননের জন্য যথেষ্ট উপযোগী নয়। এ দেশের আবহাওয়া ও তাপমাত্রার সঙ্গে বিদেশি পাখিদের খাপ খাওয়ানোর এবং দেশি পাখির সঙ্গে সংকর জাত উদ্ভাবনে গবেষণা করে যাচ্ছেন পাখি বিশেষজ্ঞ আবদুল ওয়াদুদ। তাঁরই প্রচেষ্টায় মার্চের প্রথম দিকে তাঁর মিনি চিড়িয়াখানায় বাংলাদেশে এই প্রথম ডিম থেকে বাচ্চা ফোটে অস্ট্রেলিয়ান কিং প্যারটের।
রাজধানীর ২২/২ হাতিরপুলে প্লাটিনাম জিমসংলগ্ন মিনি চিড়িয়াখানায় অস্ট্রেলিয়া কিং প্যারট ছাড়াও বিশ্বের ৮৭টি দেশের পাঁচ শতাধিক দুর্লভ পাখি রয়েছে। এর আগে দক্ষিণ আমেরিকার ব্লু-গোল্ড ম্যাকাও, নিউজিল্যান্ডের কাকারাকি, ব্রাজিলের কাইক, আফ্রিকার গ্রে প্যারট, ভিয়েতনামের লেডি আমহাস্ট, ইন্দোনেশিয়ার কাকাতুয়া, ক্যামেরুনের ওয়াক্সবিল, অস্ট্রেলিয়ার ইলেক্টাস, রোজেলা, পিন্যান্টের ব্রিডিংয়ে এ সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
এখানে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা দিয়ে এসব বাচ্চার বেড়ে ওঠা এবং গতিবিধি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ চলছে। আগ্রহী দর্শকেরা এখানে এসব দুর্লভ প্রজাতির পাখি দেখতে পারবেন।

No comments

Powered by Blogger.