ব্যাংকিং-ব্যাংক নজরদারিতে আসছে নতুন কৌশল by আতিউর রহমান

বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকিং খাতের নজরদারিতে কৌশলগত পরিবর্তন আনতে শুরু করেছে। ঝুঁকিকে মুখ্য বিবেচনায় নিয়ে নতুন নতুন পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমে ব্যাংকিং খাতের সার্বিক অবস্থা আমরা নিরন্তর তদারক করছি। ডেস্কে পরোক্ষ (অফসাইট) এবং মাঠে সরেজমিন (অনসাইট) উভয় পরিদর্শনের ক্ষেত্রে নজরদারিকে আরও উন্নত করার জন্য আমরা কাজ

করে যাচ্ছি। এরই অংশ হিসেবে মাঠপর্যায়ের পরিদর্শন কর্মকর্তাদের কাছ থেকে বাস্তবতা জানতে এবং তার আলোকে ব্যাংকিং নজরদারিকে আরও শক্তিশালী করতে প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়নের উদ্দেশ্যে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে জাতীয়ভাবে এবং আঞ্চলিক পর্যায়ে টাউন হল সভা করছি।
আমরা জানি, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বজুড়ে আর্থিক বাজারে বেশ কিছু নাটকীয় পরিবর্তন ঘটেছে। বিশ্ব আর্থিক খাত বিপর্যয়, ইউরোপীয় ঋণসংকট এবং শিল্পোন্নত অর্থনীতিগুলোতে মন্দাজনিত কারণে পড়ন্ত প্রবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে এবং দেউলিয়া অবস্থায় দাঁড়ানো ব্যাংকগুলোর জন্য নজরদারিতে কৌশলগত পরিবর্তন আনা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। সাম্প্রতিক বৈশ্বিক বিপর্যয়গুলো বাংলাদেশের ব্যাংক-ব্যবস্থাকে এখনো বিপন্ন করেনি। এর মানে এই নয়, বাইরের বিশ্বে চলমান সংস্কার ও পরিবর্তনগুলো আমাদের আমলে নেওয়ার দরকার নেই। বরং বাইরের বিপর্যয়গুলো থেকে সুরক্ষা পেতে নজরদারি ব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো দ্রুততর করা আরও বেশি প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। আঞ্চলিক বা জাতীয় পর্যায়ে ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সংকটের ঝুঁকি এড়াতে নজরদারি কার্যক্রমে নতুন নতুন মাত্রা যোগ করতে হবে। নিম্ন আয়ের দেশ হিসেবে ব্যাংকিং খাতের বিপর্যয় সামলানোর আর্থিক সংগতি আমাদের সীমিত। তাই বিপর্যয় ঠেকাতে আমাদের আরও সৃজনশীল ও উদ্ভাবনমুখী হতে হবে। প্রতিটি ব্যাংকিং খাত বিপর্যয়ের উৎসও ভিন্ন ভিন্ন। স্থাবর সম্পত্তি খাতে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আশির দশকের সেভিংস ব্যাংক বিপর্যয় ঘটে। দুর্বল তারল্য ব্যবস্থাপনা থেকে আসে নব্বইয়ের দশকে এশীয় আর্থিক খাতের বিপর্যয়। সচরাচর অতি নিরাপদ বিবেচিত একক পরিবারভিত্তিক গৃহায়ণ ঋণে মাত্রাহীন বিনিয়োগ গত দশকে যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক খাতে গুরুতর বিপর্যয় ডেকে আনে। উন্নত বিশ্ব এখনো এই সংকটের বিরূপ প্রভাব থেকে মুক্ত হতে পারেনি। সম্প্রতি সরকারি খাতে মাত্রাতিরিক্ত ঋণ ইউরোপের বড় বড় ব্যাংকের তারল্য ও আর্থিক সংগতি বিপন্ন করেছে।

২.
ইউরোপীয় অনেক রাষ্ট্রের দেশজ উৎপাদনের তুলনায় সরকারের নেওয়া ঋণের উচ্চমাত্রা (কোনো কোনো দেশে দ্বিগুণেরও বেশি) এসব ঋণের দায় শোধে সরকারগুলোর সামর্থ্যের বিষয়ে সংশয় সৃষ্টি করেছে। বিপুল ঋণভারের বিপরীতে দায় শোধে গ্রিস সরকারের খেলাপি হওয়ার উপক্রম ইতিমধ্যে ইউরোপের বড় বড় ব্যাংকের উপার্জন ক্ষমতা ও মূলধন পর্যাপ্ততাকে বিপন্ন করেছে। বিশ্বজুড়ে ব্যাংকিং খাতের চেহারা বদলে যাচ্ছে। সে কারণে ব্যাংকিং ব্যবস্থার তত্ত্বাবধায়কের ভূমিকায় আমাদেরও বদলে যেতে হবে। সনাতনী ধারণা ও পদ্ধতিগত প্রক্রিয়াগুলো নতুন প্রেক্ষাপটে যথেষ্ট নয়। অন্যান্য দেশের মতো আমাদের ব্যাংকগুলোতেও বহু ঝুঁকি ও দুর্বলতা রয়েছে। নিবিড় শ্রম ও মনোনিবেশে এই ঝুঁকি ও দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় প্রতিরোধমূলক ‘সর্বোত্তম চর্চা’ (নবংঃ ঢ়ৎধপঃরপবং) আমাদের অবলম্বন করতে হবে। ব্যাংক ঋণ জোগান কার্যক্রমে ‘সর্বোত্তম চর্চা’ বলতে বোঝায়, বৈধ ও অর্থনীতির স্বার্থে বাঞ্ছনীয় খাতে ঋণ মঞ্জুরির আগে ঋণ দায় শোধে গ্রহীতার সামর্থ্য ও সদিচ্ছার সতর্ক মূল্যায়ন এবং ঋণ দেওয়ার পর থেকে তা পুরোপুরি আদায় হওয়া পর্যন্ত প্রতিটি ঋণ হিসাবের সতর্ক তদারকি। ঋণগ্রহীতাদের ঋণ পরিশোধ, সদিচ্ছা ও সামর্থ্যের বিষয়ে নজরদারির জন্য ব্যাংকগুলোতে অভ্যন্তরীণ ঝুঁকি রেটিং প্রক্রিয়া চালু থাকবে, গ্রাহকের পরিশোধ সামর্থ্য সম্পর্কে সংশয় উদ্ভব হলে ব্যাংকের সম্ভাব্য লোকসানের বিপরীতে চলতি আয় থেকে প্রভিশন করতে হবে। ঋণঝুঁকির পাশাপাশি তারল্যঝুঁকি, বাজারমূল্য পরিবর্তনের ঝুঁকি এবং পদ্ধতিগত ঝুঁকির যথাযথ ব্যবস্থাপনা ও অসত্য তথ্য-উপাত্তভিত্তিক আর্থিক বিবরণী পরিবেশন প্রতিরোধে সুরক্ষা ব্যবস্থাসম্পন্ন দক্ষ ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থাপনা ব্যাংকিং কার্যক্রমে ‘সর্বোত্তম চর্চা’র গুরুত্বপূর্ণ মাত্রা যোগ করেছে। ব্যাংকিং কার্যক্রমে ‘সর্বোত্তম চর্চা’র শীর্ষে রয়েছে কার্যকর অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ও কঠোর পরিপালন শৃঙ্খলাসম্পন্ন সুষ্ঠু ও শক্তিশালী করপোরেট সুশাসন সংস্কৃতি। এই বহুবিধ মাত্রাগুলোর প্রবর্তন ও অনুসরণের দায়িত্ব ব্যাংক ব্যবস্থাপনার। তত্ত্বাবধায়কের ভূমিকায় আমরা এগুলোর পরিপালন ও মূল্যায়নসহ পরিদৃষ্ট শৈথিল্যের প্রতিকার ও প্রতিরোধ করব। ব্যাংকিং কার্যক্রমে ‘সর্বোত্তম চর্চা’র পূর্ণাঙ্গ প্রবর্তন ও পরিপালনকেই আমরা বলব নৈতিকতাবোধসম্পন্ন ব্যাংকিংয়ের উৎকর্ষচর্চা। এর লক্ষ্য হবে ব্যাংকের স্বত্বাধিকারী পরিচালক, ঊর্ধ্বতন নির্বাহী এবং অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীর দিক থেকে বিদ্যমান আইন, বিধিবিধান ও সর্বোত্তম চর্চা বিশ্বস্ততার সঙ্গে পরিপালন করা।
চলতি বছর বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরদারি কার্যক্রমের বিভিন্ন দিকে বেশ কিছু উৎকর্ষ আনার জন্য আমরা কাজ করছি। টাউন হল সভায় উপস্থিত কর্মকর্তাদের প্রায় সবাই শাখা পর্যায়ে সরেজমিন পরিদর্শন কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট। এ জন্য সরেজমিন পরিদর্শনে পরিবর্তনগুলোর বিষয় জানতে পরিদর্শনকারীরা বেশি আগ্রহী থাকবেন। সরেজমিন পরিদর্শনের পুনর্বিন্যস্ত ব্যবস্থায় ব্যাংকিং কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ঝুঁকিগুলোর দিকে আমরা গভীর মনোনিবেশ রাখব। এখনকার ব্যবস্থায় লক্ষ করেছি, পরিদর্শন শেষ করে প্রতিবেদন তৈরি ও অনুমোদনের পর ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বরাবরে পাঠাতে বেশ লম্বা সময় লেগে যায়; এতে পরিদর্শনের পর্যবেক্ষণ ও সংশোধনমূলক সুপারিশগুলো শাখায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে অনেক ক্ষেত্রেই হালনাগাদ তথ্যভিত্তিক থাকে না। এ অবস্থার পরিবর্তন এনে পরিদর্শন প্রতিবেদন দ্রুত প্রণয়ন ও প্রেরণ নিশ্চিত করতে হবে।

৩.
ব্যাংকগুলোর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নিজ নিজ পরিচালনা পর্ষদ ও নির্বাহী ব্যবস্থাপকদের। তাঁরাই ব্যাংকের বিভিন্ন কার্যক্রমে জড়িত বহুবিধ ঝুঁকির মাত্রা ও গতি-প্রকৃতির সঠিক নিরূপণ, তদারকি ও নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা প্রবর্তন ও পরিপালন নিশ্চিত করবেন বলে আমরা প্রত্যাশা করছি। ব্যাংকিং কার্যক্রমে প্রধান প্রধান ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে ঋণঝুঁকি, বাজারঝুঁকি (সুদহার ও বিনিময় হার পরিবর্তন ঝুঁকিসহ), পরিচালনঝুঁকি (ব্যাংকের ভেতর বা বাইরে থেকে প্রতারণামূলক কার্যক্রমের ঝুঁকিসহ) এবং তারল্যঝুঁকি। ঝুঁকিগুলোর ব্যবস্থাপনায় ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থার কার্যকারিতা নজরদারির দায়িত্ব ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা বিভাগের। বাংলাদেশ ব্যাংকের সরেজমিন পরিদর্শনদল এ বিষয়ে ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষার কার্যক্রমও মূল্যায়ন করবে।
এ বছর পরিদর্শনের বিধিগত কাঠামোতেও উৎকর্ষ আনার আশা করছি। ঋণ শ্রেণীকরণ ও প্রতিবিধান ব্যবস্থার (প্রভিশনিং) বিদ্যমান ব্যবস্থাকে আমরা আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ সংগতিতে আনব। ব্যাংকের ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ঋণগ্রহীতাদের দায় শোধে অপারগতা বা অনীহাজনিত সম্ভাব্য সব লোকসানের বিপরীতে পর্যাপ্ত প্রতিবিধান ব্যবস্থা সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে। এটি পরিপালনের সঙ্গে পরিদর্শনকারীদের পরিদর্শন কাজের প্রত্যক্ষ সংযোগ রয়েছে। তাঁরাই শাখা পর্যায়ে ব্যাংকগুলোর ঋণ শ্রেণীবিন্যাসের যথার্থতা পর্যালোচনা করবেন।
আসছে দিনগুলোতে আমরা ব্যাংকগুলোর তারল্যের গতিধারার পরিমাপ ও ব্যবস্থাপনায় নজরদারিও জোরদার করব। তারল্যঝুঁকির ব্যবস্থাপনা ব্যাংকগুলোর নিজ নিজ দায়িত্ব, সরেজমিন পরিদর্শনে এ বিষয়ে তাদের যথাযথ ভূমিকা পালনের ওপর আমরা নজর রাখব। তারল্য পর্যাপ্ততার দুটি নতুন পরিমাপের (লিকুইডিটি কভারেজ রেশিও এবং নিট স্টেবল ফান্ডস রেশিও) প্রবর্তন এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ বিষয়ে ব্যাংকগুলো থেকে প্রাসঙ্গিক উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। খুব শিগগির এ বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।
বিশ্ব বিপর্যয়-উত্তর প্রেক্ষাপটে আর্থিক খাতকে ঝুঁকিমুক্ত রাখতে আর্থিক খাতব্যাপী পরোক্ষ ও সরেজমিন উভয় ধরনের নজরদারিতেই বর্ধিত দায়িত্ব আমাদের। অর্থনীতির অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা গভীরতর ও প্রশস্ততর আর্থিক সেবাভুক্তির বা ফিন্যান্সিয়াল ইনক্লুশনের যেসব নতুন উদ্যোগ নিয়েছি, সেগুলোর সঙ্গে জড়িত ঝুঁকির যথাযথ তদারক ও নিয়ন্ত্রণও গুরুত্বপূর্ণ। সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে ব্যাংকিং ব্যবস্থার ওপর জনসাধারণের আস্থা সুদৃঢ় করতে আমরা নজরদারি কার্যক্রমের মানে উৎকর্ষ সাধনের উদ্যোগ এরই মধ্যে নিয়েছি। ব্যাংকিং সেবার মান সম্পর্কে গ্রাহক পর্যায়ে ক্ষোভ বা অভিযোগের ত্বরিত প্রতিকারের লক্ষ্যে আমরা ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও শাখা অফিসগুলোতে গ্রাহক স্বার্থ সংরক্ষণ কেন্দ্র (ঈঁংঃড়সবৎংী ওহঃবৎবংঃ চৎড়ঃবপঃরড়হ ঈবহঃৎব) খুলেছি। এই কেন্দ্র ১৬২৩৬ হটলাইনও চালু করেছে। ব্যাংকিং সেবার মানোন্নয়নে এই হটলাইন খুবই ফলপ্রসূ প্রমাণিত হচ্ছে।
আমাদের নিজেদের, পরিবারবর্গের ও প্রতিবেশীসহ ব্যাংক আমানতকারীদের স্বার্থ সুরক্ষা করে ব্যাংকিং সেবার মানে উৎকর্ষ আনতে যথাযথ ভূমিকা নিতে হবে। ব্যাংকের শাখাগুলোতে ঋণ মঞ্জুরি এবং ঋণের সদ্ব্যবহার ও ঋণ আদায়ের সমুদয় প্রক্রিয়ায় নজরদারির ওপর পরিদর্শনে সতর্ক মনোযোগ রাখতে হবে।

৪.
পরিশেষে, আমি দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে কয়েকটি কথা বলতে চাই। আমরা জানি, প্রধানত আমদানির চাপ হ্রাসের সূত্রে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার এখন স্থিতিশীল। অন্যদিকে, রপ্তানি প্রবৃদ্ধিও উৎসাহব্যঞ্জক। রেমিট্যান্স প্রবাহ ১২ শতাংশেরও বেশি হারে প্রবৃদ্ধির সূত্রে আমরা আশা করছি অর্থবছর শেষে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স প্রবাহ দেশে আসবে। অপরদিকে, মুদ্রানীতির কুশলী বাস্তবায়নের সূত্রে খুব শিগগির মূল্যস্ফীতিও উল্লেখযোগ্য হারে কমার ধারায় ফিরে আসবে বলে আমরা আশা করছি। রাজস্বনীতি ও মুদ্রানীতির চলমান সমন্বয়ের ধারা অব্যাহত রাখা গেলে বর্তমান অর্থবছরের শেষে মূল্যস্ফীতি স্বস্তিদায়ক ‘এক অঙ্কে’ নেমে আসবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি। বাস্তবে আমরা ইতিমধ্যে ফেব্রুয়ারি ২০১২ মাসে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতির নিম্নমুখী ধারা লক্ষ করেছি। সামষ্টিক অর্থনীতির এই স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে ব্যাংকিং তত্ত্বাবধায়কদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আশা করি, এই ভূমিকা পালনে তাঁরা মোটেও পিছপা হবেন না।

১৮ মার্চ চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত ‘ব্যাংকিং সুপারভিশন কার্যক্রমের আঞ্চলিক পর্যায়ে টাউন হল সভায় দেওয়া বক্তব্যের আলোকে নিবন্ধটি রচিত
ড. আতিউর রহমান: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর।

No comments

Powered by Blogger.