তুরস্কের গণভোটে সংবিধান সংশোধনীর প্রস্তাব জয়ী

তুরস্কের সংবিধান সংস্কারের ওপর গৃহীত গণভোটে জয়ী হয়েছে সরকারি দল জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (একেপি)। ৫৮ শতাংশ ভোটার এই সংবিধান সংশোধনীর পক্ষে ভোট দিয়েছেন।
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তায়িপ এরদোগান বলেছেন, ‘এটা আমাদের জন্য একটা গণতান্ত্রিক উৎসবের দিন। দেশের মানুষ তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে সংবিধান সংশোধনীর জন্য আমাদের সমর্থন দিয়েছেন। আশা করি, এটা দেশের জন্য সুফল বয়ে আনবে।’ শিগগিরই সরকার নতুন সংবিধান রচনার কাজ শুরু করবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
১৯৮০ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তুরস্কের বর্তমান সংবিধান রচিত হয়েছিল। নাগরিক অধিকার বৃদ্ধি ও সামরিক ক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন অনেক দিন ধরেই তুরস্ককে সংবিধান সংশোধনীর জন্য তাগাদা দিয়ে আসছিল।
তুরস্কের বিচার বিভাগ অনেকগুলো আইন পাস করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে অভিযোগ করে সরকারি দল জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি বলেছে, দেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকারকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পর্যায়ে উন্নীত করার লক্ষ্যে বর্তমান সংবিধান সংশোধন করাটা জরুরি।
এদিকে সরকারের এই সংবিধান সংস্কারের উদ্যোগের তীব্র বিরোধিতা করেছে দেশটির বিচার বিভাগ ও বিরোধীদলীয় রাজনৈতিক দলগুলো। সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে বিচার বিভাগ ও অন্যান্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সরকার আরও বেশি ক্ষমতা দখল করতে চায় বলে দাবি করেছে তারা।
বিশ্লেষকেরা এই গণভোটকে সরকারি দলের প্রতি জনগণের সমর্থনের স্মারক হিসেবে মূল্যায়ন করছেন। ২০০২ সালে ক্ষমতা গ্রহণ করে একেপি।
তুরস্কের সংবিধান সংশোধনের পক্ষে গণভোটের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে ইউরোপিয়ান কমিশন।

No comments

Powered by Blogger.