শান্তিরক্ষীরা কঙ্গোয় গণধর্ষণ ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে

জাতিসংঘের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা বলেছেন, কঙ্গোর ধারাবাহিক গণধর্ষণ ঠেকাতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরা ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেছেন, প্রাথমিকভাবে সেখানে ২০০ নারী ও শিশু-কিশোর ধর্ষণ ও বলাৎকারের শিকার হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হলেও প্রকৃতপক্ষে এর সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়ে গেছে। ঘটনাস্থল ঘুরে এসে নিরাপত্তা পরিষদের কাছে পেশ করা এক প্রতিবেদনে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষাবিষয়ক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অতুল খের এ কথা বলেন।
অতুল খের বলেন, প্রাথমিকভাবে যত জন ধর্ষণ ও বলাৎকারের শিকার হয়েছে বলে মনে করা হয়েছিল, প্রকৃত সংখ্যা তার দ্বিগুণেরও বেশি। তিনি বলেন, প্রজাতান্ত্রিক কঙ্গোর নর্দ ও সাদ কিভু প্রদেশের মোট ১৩টি গ্রামে রুয়ান্ডার হুতু বিদ্রোহীগোষ্ঠী এফডিএলআর এবং পূর্ব কঙ্গোর মাই মাই গেরিলারা হানা দেয় বলে বিভিন্ন সূত্র তাঁদের নিশ্চিত করেছে।
অতুল খের বলেন, শুধু দক্ষিণ কিভু প্রদেশের মিকি গ্রামেই তারা গত দুই মাসে ৭৪টি হামলা চালিয়েছে। সেখানে যারা ধর্ষণ ও বলাৎকারের শিকার হয়েছে, তাদের মধ্যে সাত বছরের শিশু-কিশোরও রয়েছে।
অতুল খের বলেন, প্রাথমিকভাবে এ গণধর্ষণের দায় কঙ্গো সরকারের ওপর বর্তালেও জাতিসংঘকেও ব্যর্থতার দায় স্বীকার করতে হবে।
শান্তিরক্ষা মিশনের দায়িত্ব সম্পর্কে বলতে গিয়ে অতুল খের বলেন, ‘কঙ্গো সরকারের পাশাপাশি পরিষ্কারভাবে আমরাও ব্যর্থ হয়েছি। সেখানে আমাদের যথাযথ তৎপরতা না থাকায় এ পাশবিক ঘটনা ঘটেছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে এ নির্যাতনের শিকার হওয়া নারী ও শিশুদের জন্য নিজেকে অপরাধী মনে করছি।’
অতুল খের বলেন, মাই মাই গ্রুপের নেতা কর্নেল মাইয়েলে এবং এফডিএলআরের নেতা কর্নেল সেরাফিমের বিরুদ্ধে এসব ধর্ষণের ঘটনায় মদদ জোগানোর সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে। তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে তাঁদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করার আহ্বান জানান।
প্রজাতান্ত্রিক কঙ্গো সরকার জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের আরও বেশি প্রত্যক্ষ সহযোগিতা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
এর আগে জাতিসংঘের অন্য এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শুধু ২০০৯ সালেই কঙ্গোতে কমপক্ষে আট হাজার ৩০০ ধর্ষণের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.