তাহলে বাতিস্তাই তো ভালো

তিনি নিজেই বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক কোচের তকমাটা খুলে ফেলে স্থায়ী কোচের আসনে বসতে চান। গত ১১ আগস্ট ডাবলিনের প্রীতি ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয়টা ছিল তার প্রথম বার্তা। পরশু রিভার প্লেটের মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন স্পেনকে ৪-১ গোলে হারানোর পর সার্জিও বাতিস্তা হয়তো মুখে আর কিছু বলবেনই না। যা বলার বলবে আর্জেন্টিনার মিডিয়া এবং একই সুরে কথা বলবেন তাঁর খেলোয়াড়েরা। এর পরও কি এ বছরের শেষ পর্যন্ত ম্যারাডোনার শূন্য চেয়ারে স্থায়ীভাবে বসার জন্য পরীক্ষা দিয়ে যেতে হবে বাতিস্তাকে?
প্রীতি ম্যাচে স্পেনের বিপক্ষে বড় জয়ের পর বাতিস্তার পক্ষে সবচেয়ে সরব পাওয়া গেল হাভিয়ের জানেত্তিকে। ‘এখন সমর্থনটা বাতিস্তার প্রাপ্য। তিনি তাঁর কাজ করে যাচ্ছেন এবং ভালোই করছেন’—বলেছেন গত মৌসুমে ইন্টার মিলানকে ঐতিহাসিক ট্রেবল জেতানোয় নেতৃত্ব দেওয়া জানেত্তি। তবে বাতিস্তার পূর্বসূরি, যাঁর জন্য তাঁর খেলা হয়নি গত বিশ্বকাপ, সেই ডিয়েগো ম্যারাডোনাকেও শ্রদ্ধাই জানিয়েছেন ৩৭ বছর বয়সী ডিফেন্ডার, ‘ম্যারাডোনাও ভালো করেছেন। বিশ্বকাপেও খুব একটা খারাপ করেননি তিনি।’
জানেত্তির সমর্থন পেলেন। মাত্রই এক সপ্তাহ আগে বড় সমর্থন পেয়েছেন আর্জেন্টিনার সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী খেলোয়াড় লিওনেল মেসির। আগামী কিছুদিন ধরে আর্জেন্টিনায় অবধারিতভাবে যা পাওয়া যাবে, তা হলো মিডিয়ায় বিরামহীন বাতিস্তা-বন্দনা। ট্যাকটিক্যালি ম্যারাডোনার চেয়ে বাতিস্তা কতটা ভালো এই নিয়ে চলতে থাকবে আলোচনা।
২০০৬ সালের পর ৫৮ ম্যাচে এই নিয়ে মাত্র তৃতীয়বার চার গোল খেল স্পেন। এমন পরাজয়ের পর স্পেন কোচ ভিসেন্তে দেল বস্ক আর্জেন্টিনার খেলাটা ব্যাখ্যা করেছেন সরলভাবেই, ‘ওপরের দিকে কয়েকজন খুবই গতিসৃমদ্ধ খেলোয়াড় আছে তাদের। চারদিকে ছড়িয়ে খেলেছে তারা এবং এটাই স্বাভাবিক যে তাদের হাতেই ছিল খেলার নিয়ন্ত্রণ।’ তবে বাতিস্তার ট্যাকটিকস প্রশংসা পেয়ে যায় দেল বস্কের পরের কথাতেই, ‘বড় দলের সঙ্গে কীভাবে খেলতে হয়, এই পরাজয় থেকে সেটি আমরা শিখতেও পারব।’ তাহলে বলতেই হচ্ছে, বিশ্বকাপ বিপর্যয়ের পর বাতিস্তা আর্জেন্টিনার বড় দলের অহংকার অন্তত ফিরিয়ে এনেছেন।

No comments

Powered by Blogger.