আমাদের উন্নয়ন ভাবনায় প্রান্তিক প্রযুক্তিবিদদের স্থান কোথায়? by সালাহ্ উদ্দিন নাগরী

কয়েকদিন আগে মোটরপার্টসের দোকানে গাড়ির ইঞ্জিন অয়েল, ফিল্টার পাল্টানোর জন্য গেলাম। ১৯-২০ বছরের এক কিশোর এবং ১১-১২ বছরের এক শিশু খুব অল্প সময়ে কাজটি করে দিল। কাজের ফাঁকে ফাঁকে শিশুটিকে জিজ্ঞেস করলাম, লেখাপড়া করো না? বলল, ‘না।’ কেন করো না? ‘বাপ নেই, মা কাজ করতে পারে না। স্কুলে গেলে খামু কী?’ কতদিন এখানে কাজ করছো? ‘ছয় মাস-এক বছর হইব।’ এ কয়দিনেই বাচ্চা ছেলেটি গাড়ির সব যন্ত্রাংশের নাম শিখে গেছে। হাত দিয়ে ধরে বলে দিতে পারে কোন্টা ব্রেক অয়েল, কোন্টা পাওয়ার অয়েল বা কোন্টা ইঞ্জিন অয়েল। বড় হয়ে কী হতে চাও? ‘এ রকম ওয়ার্কশপের মালিক, আর মালিক হতে না পারলে হেড মেকানিক হবো।’ আমাদের দেশের প্রায় সব শহরে এ ধরনের মোটরপার্টসের দোকান, সাইকেল, মোটরসাইকেল, রিকশা, অটোরিকশার গ্যারেজ-ওয়ার্কশপে অসংখ্য ছোট ছোট ছেলে কাজ করছে। নতুন মডেলের কোন্ গাড়িতে কী সুবিধা-অসুবিধা আছে সবকিছুই যেন তাদের নখদর্পণে। একইভাবে মোবাইল ফোনসেট, টিভি, ফ্রিজ এয়ারকুলার, ওভেনসহ বিভিন্ন গার্হস্থ্য যন্ত্রপাতি, আসবাবপত্র, কম্পিউটার মেরামত, জুতা ও চামড়ার দ্রব্যাদি প্রস্তুত ও মেরামতের কাজ ওরা করে যাচ্ছে। প্রযুক্তি সম্পর্কে তাদের যথেষ্ট ধারণা আছে। একটা যন্ত্র দেখে সেটার চেয়ে উন্নত প্রযুক্তিসম্পন্ন ও মূল্যসাশ্রয়ী কোনো কিছু তৈরি করার যোগ্যতাও আছে। বিদেশ থেকে আমদানি করা ওইসব সামগ্রী কীভাবে তৈরি হলে বা ডিজাইনে কী পরিবর্তন আনলে জিনিসটি আরও টেকসই ও ব্যবহারবান্ধব হতো এ বিষয়গুলোতে রীতিমতো বিশেষজ্ঞের মতামত দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এ ধরনের চিন্তার প্রয়োগ ঘটানোর সুযোগ তাদের থাকে না। নৈমিত্তিক কাজ করতেই দিন শেষ হয়ে যায়, প্রতিভার বিকাশ ঘটানোর সুযোগ কোথায়? কে দেবে প্রণোদনা, কে দেবে উৎসাহ? বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০১৩ সালের অর্থনৈতিক শুমারি মতে, মেইনটেনেন্স ও রিপেয়ারিং কার্যক্রম এবং এ সম্পর্কিত স্থাপনার সংখ্যা ২,১২,৭২৪ এবং এতে জড়িত জনবলের সংখ্যা ৫,২৬,৮৪৪।
ধরে নেয়া যায়, পরবর্তী পঞ্চম বছরের মাথায় অঙ্কের হিসাবটা আরেকটু বেড়েছে। এসব প্রান্তিক ও ক্ষুদে প্রযুক্তিবিদ প্রযুক্তি-ভাবনায় আমাদের অলক্ষ্যেই থেকে যাচ্ছে। প্রযুক্তিগত বিষয়ের সঙ্গে জড়িত ব্যাপক এ জনবলকে আমাদের ভাবনায় ঠাঁই না দিলে কীভাবে আমরা দেশকে প্রযুক্তিতে এগিয়ে নিয়ে যাব? প্রযুক্তি একটি আর্ট বা কলা। বিজ্ঞানের উদ্ভাবনীকে মানুষের ব্যবহারযোগ্য করাই হল প্রযুক্তি। সময়ের আবর্তনে প্রযুক্তি সহজ ব্যবহারযোগ্য হচ্ছে। যে প্রযুক্তি যত সহজ সেটা তত জনপ্রিয়। মানবকল্যাণের জন্য প্রযুক্তি, মানুষের জীবনযাত্রাকে সহজ করার জন্য প্রযুক্তি। আমরা জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেসব প্রযুক্তি গ্রহণ ও ব্যবহার করছি, তার অধিকাংশই অন্য দেশ থেকে আসা। আমাদের আর্থিক সামর্থ্য, মূল্যবোধ ও চাহিদার সঙ্গে ওই প্রযুক্তিগুলো সবসময় খাপ খায় না। তাই বিদেশনির্ভরতা কমিয়ে আমরা যত বেশি আমাদের নিজস্ব উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি অবলম্বন করতে পারব দেশের উন্নয়নও ঘটবে তত বেশি। দেশীয় প্রযুক্তি, লাগসই ও টেকসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের উপায় আমাদের বের করতে হবে। বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তিসংক্রান্ত কাজকর্মের সঙ্গে আমাদের যে সাড়ে পাঁচ লাখ জনবল জড়িত আছে, তাদের সার্বিক প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ওইসব প্রান্তিক প্রযুক্তিবিদ আমাদের কাছে আসবে না, তাদের কাছে আমাদের যেতে হবে। ওদের পেশার সঙ্গে প্রযুক্তি-ভাবনা, প্রযুক্তির উৎকর্ষের চেষ্টা মিলেমিশে একাকার হয়ে আছে। ওদের আমরা ডাকলাম না, ওদের কথা শুনলাম না, উদ্ভাবনমূলক কোনো কিছু করার সুযোগ তৈরি করে দিলাম না, কোনো দায়িত্ব দিলাম না, তা তো হতে পারে না। প্রযুক্তিনির্ভর জাতি গঠনে ‘ট্যালেন্ট হান্টিং’ করতে হবে। ওদের কাছ থেকে মেধা, অভিজ্ঞতার সর্বোচ্চ আউটপুট নিংড়ে নিতে হবে। ১২ বছরের যে শিশু শ্রমিকটি অল্পদিনেই গাড়ির সব যন্ত্রপাতির নাম ও কাজ জেনে গেছে, বড় হয়ে কবে সে ‘হেড মেকানিক’ হবে সে অপেক্ষায় থাকব, নাকি তার সামনে সম্ভাবনার অসংখ্য দরজা উš§ুুক্ত করার ব্যবস্থা করব? সারা বছর ধরে আমাদের দেশের কোথাও না কোথাও বিজ্ঞান মেলা, বিজ্ঞান প্রদর্শনী, প্রযুক্তি মেলা, ডিজিটাল মেলা, শিল্প মেলা ইত্যাদি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জনগণের মধ্যে ওইসব বিষয়ে সচেতনতা ও আগ্রহ সৃষ্টি এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উৎকর্ষ সাধন করার জন্য মেলাগুলোর আয়োজন করা হয়। এতে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, এনজিও, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ক্লাব ও সংগঠন তাদের উদ্ভাবিত সামগ্রী প্রদর্শন করে থাকে। সমাজের একশ্রেণীর মানুষ ওইসব মেলা পরিদর্শন করে মেলার সৌন্দর্য বৃদ্ধি ঘটিয়ে থাকেন। আমাদের লাখো জনবল যারা প্রতিদিন, প্রতিমুহূর্তে যন্ত্রপাতি কলকব্জা ও প্রযুক্তিসংক্রান্ত কাজ করে যাচ্ছে, তাদের কাছে ওই মেলার খবর পৌঁছে না। তারা জানে না কখন কবে ওই মেলা, প্রদর্শনীগুলো শুরু হয়ে শেষও হয়ে যাচ্ছে। এত ব্যাপকসংখ্যক প্রযুক্তিকর্মীকে বিবেচনায় না নিয়ে দেশকে আমরা কীভাবে লাগসই ও টেকসই প্রযুক্তি উপহার দেয়ার চেষ্টা করতে পারি? এ কর্মযজ্ঞে সবার আগে সরকার, সরকারি প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে, বিভিন্ন এনজিও এবং প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানকে সরকারের এ উদ্যোগে সম্পৃক্ত করতে হবে। লাগসই প্রযুক্তি উন্নয়ন ও বিকাশের জন্য প্রতিনিয়ত সেমিনার, সিম্পোজিয়াম বা ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হচ্ছে। কর্মপন্থার ফিরিস্তি প্রণয়ন করা হচ্ছে। এ অনুষ্ঠানগুলোতে প্রান্তিক প্রযুক্তিবিদদের অংশগ্রহণ আছে কি? উত্তর হল, নেই। আমরা কখনই তাদের ওইসব অনুষ্ঠানের কার্ড ও দাওয়াত দেইনি। ওইসব অনুষ্ঠানের আলোচক, প্রশ্নকারী, উত্তরদানকারী সবাই শিক্ষিত শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত। তাদের প্রযুক্তির চর্চাও হয়তো শুধু কাগজে-কলমে। এ ধরনের অনুষ্ঠানগুলোকে আরও অর্থবহ করার জন্য রাস্তার পাশের ওইসব ওয়ার্কশপ, লেদমেশিনের কারখানা, মোবাইল ফোন মেকানিক বা এ ধরনের কার্যক্রমে যারা জড়িত তাদের দাওয়াত দিতে হবে, তাদের কথা শুনতে হবে।
তাদের আস্থায় নিতে হবে। আরও বড় ও বিস্তীর্ণ কর্মক্ষেত্রের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে। তাদের সঙ্গে আইডিয়া শেয়ার করতে হবে। ‘টু-ওয়ে কমিউনিকেশনের’ পথ উš§ুক্ত করতে হবে। অনুলেখক দিয়ে তাদের চিন্তাভাবনা লিখিয়ে নিতে হবে। কি-নোট স্পিকার তাদের মধ্য থেকে বানাতে হবে। মোটকথা, তাদের ওইসব অনুষ্ঠান, আলোচনা, কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী বানাতে হবে। তারা গায়ে গাড়ির কালি ও মবিলের তেল চিটচিটে শার্ট পরে মঞ্চে উঠে বলুক তার ভাবনার কথা, বাস্তব অভিজ্ঞতার কথা, প্রযুক্তি নিয়ে তাদের স্বপ্নের কথা। গাড়ি সংযোজন প্রতিষ্ঠান প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, মেশিন-টুলস ফ্যাক্টরি, ডিজেল প্লান্ট, সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা, খুলনা শিপইয়ার্ডসহ এ ধরনের আরও যেসব প্রতিষ্ঠান আছে সেগুলোতে তাদের ভ্রমণ করানোর ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের চিন্তার খোরাক দিতে হবে। বিদেশ থেকে যত ধরনের যন্ত্রপাতি আসছে, তাদের অন্তত সেগুলো দেখার সুযোগ করে দিতে হবে। যোগ্যদের প্রয়োজনে পৃথিবীর বড় বড় শিল্প প্রযুক্তি কারখানার অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য বিদেশে নিয়ে যেতে হবে। আমাদের কতজন কতভাবেই বিদেশে যাচ্ছে, তাদের ক’জনের কাছ থেকে যথোপযুক্ত আউটপুট এসেছে? সেগুলো তো অনেক ক্ষেত্রে ‘শপিং ও প্লেজার ট্রিপ’ হয়েই থেকে গেছে। বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি সংগ্রহ বা ওই ধরনের কেনাকাটায় প্রাক-মূল্যায়নের জন্য বিদেশ ভ্রমণ টিমে সরেজমিন কাজ করা ওইসব প্রান্তিক প্রযুক্তিবিদের অন্তর্ভুক্তির একটু উদ্যোগ নিয়ে দেখি না কেন, একটু চেষ্টা করি না তাদের চিন্তার পরিধিকে আরেকটু বড় করার। আমাদের দেশে বেশকিছু সরকারি, আধাসরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আছে, যারা কারিগরি প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের মাধ্যমে দক্ষ জনবল তৈরিতে অবদান রেখে চলেছে। যেমন, বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক)। ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত এ সংস্থার মূল কাজ আমদানি বিকল্প যন্ত্রপাতি তৈরি, সরকারি-বেসরকারি যে কোনো প্রতিষ্ঠানের কারিগরি কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত বা আগ্রহী ব্যক্তিকে বাস্তবভিত্তিক ও কারিগরি সহায়তা প্রদান। একইভাবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইউসেপ দরিদ্র কিশোর-কিশোরীদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কারিগরি প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। আমাদের ওই প্রান্তিক প্রযুক্তিবিদদের উপরোক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে জিও-এনজিও যৌথ উদ্যোগে উন্নততর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। ১৯৬৫ সালের ২৬ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর দেশের জনগণকে, বিশেষত তরুণ সমাজকে বিজ্ঞান শিক্ষায় উৎসাহ দেয়া ও বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গঠনে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জাদুঘর পরিদর্শন, বিজ্ঞান মেলা, বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড, সেমিনার, চিত্রাঙ্কন ও কুইজ প্রতিযোগিতায় দেশের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েরা অংশগ্রহণ করছে। আমাদের খেটে খাওয়া মেকানিক, ক্ষুদে ও প্রান্তিক প্রযুক্তিবিদদের ওইসব কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। জাদুঘরের সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও অর্থায়নে জাদুঘরের নিজস্ব ওয়ার্কশপে প্রজেক্ট ডেভেলপ করার ব্যবস্থা করে দিতে হবে। এতে বঞ্চিত ওই শ্রমজীবী প্রযুক্তিবিদরা নিজেদের মেলে ধরার ও উপস্থাপন করার সুযোগ পাবে। বেশকিছু দিন থেকে শুনে আসছি জিনজিরা এলাকার প্রায় সব বাসাবাড়ি একেকটি ক্ষুদে শিল্পপ্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। বিদেশি যে কোনো মেশিন বা জিনিসপত্র ওরা হুবহু বানাতে পারে। এটাকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে নিতে হবে। যাদের প্রতিভা আছে, যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি বিষয়ে জ্ঞান আছে, তাদের প্রতি সহযোগিতার হাত প্রসারিত করতে হবে। খেটে খাওয়া ওইসব প্রযুক্তিবিদকে একটু সুযোগ দিলে, একটু মূল্যায়ন করলে, উৎসাহ দিলে তাদের কাছ থেকে অনেক বড় কিছু প্রাপ্তি ঘটতে পারে, যার উদাহরণ ভারতের উত্তর প্রদেশের বিবেক নামের একজন মোটরবাইক প্রযুক্তিবিদ। মোটরবাইকের কারবোরেটরে পরিবর্তন এনে এক লিটার পেট্রলে ১৫০ কিলোমিটার চলার সক্ষমতা দেখিয়েছেন তিনি। এ পরিবর্তনে খরচ হচ্ছে মাত্র ৫০০ ভারতীয় রুপি। ‘যেখানে দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখ তাই, পাইলেও পাইতে পার অমূল্য রতন’ প্রবাদটিকে মাথায় রেখে আমাদের ক্ষুদে ও প্রান্তিক প্রযুক্তিবিদরা যে যেখানে আছে তাদের সবাইকে খুঁজে এক ছাতার নিচে নিয়ে আসতে হবে। তাদের যে অপার সম্ভাবনা আছে, সেটাকে জাগিয়ে তুলতে হবে। কে জানে হয়তো তাদের ভেতরেই ঘুমিয়ে আছে অটোমেশন ও রোবটিক্সের উন্নয়নে ভিন্ন মাত্রা প্রদানকারী এবং ক্র্যাংকশ্যাফ্ট ও ফ্লাশ টয়লেটের উদ্ভাবক ১৩ শতকের প্রযুক্তিবিদ ইসমাইল আল-জাজারি এবং টিউব স্ট্রাকচারাল সিস্টেম ফর টল বিল্ডিংয়ের প্রযুক্তিবিদ জগৎ বিখ্যাত স্থপতি আমাদের দেশের কৃতী সন্তান ড. এফ আর খান।
সালাহ্ উদ্দিন নাগরী : সরকারি চাকরিজীবী
snagari2012@gmail.com

No comments

Powered by Blogger.