ভারতের চেয়ে তামাকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে বাংলাদেশ

বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা তামাকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ ও তামাকের কারণে মৃত্যুর হারের দিক থেকে পেছনে ফেলেছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতকে। গত মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দেয়া হয়েছে। ২০০৮ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে সিগারেটের দাম বাড়ানোয় অর্থাৎ পূর্বের তুলনায় কম সাশ্রয়ী করার কৌশল গ্রহণের ফলে তামাক ব্যবহারের হার কমেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ বিশ্বের ৭টি দেশের একটি, যেখানে সিগারেটের প্রতি প্যাকেটের খুচরা মূল্যের ওপর ৭৫ শতাংশের বেশি করারোপ করা হয়েছে। শ্রীলঙ্কায় তা ৭০ শতাংশ। আর ভারতে সেটা ৬০ শতাংশের ওপরে, তাও শুধু বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডেকান হেরাল্ড। বিশ্বের অল্প কয়েকটি দেশের মধ্যে ভারত একটি, যেখানে এখনও সিগারেট সর্বসাধারণের নিয়মিত ক্রয়সীমার মধ্যে। ফলে, তামাকের মতো মরণ নেশা তাদের প্রতিনিয়তই হাতছানি দিচ্ছে। প্রতি বছর বিশ্বে তামাকের কারণে প্রায় ৬০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু হয়। এর মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তামাকের কারণে মৃত্যু হয় ২০ শতাংশ বা প্রায় ১২ লাখ মানুষের। বিশ্বে মোট ধূমপায়ীর সংখ্যা ২৪ কোটি ৬০ লাখ এবং ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২৯ কোটি। এর মধ্যে ২৫ শতাংশেরই বসবাস দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়। ভারতে প্রতি বছর তামাক ব্যবহারে ১০ লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয় এবং সে সংখ্যা বাড়ছেই। কর আরোপের মাধ্যমে ধূমপায়ীদের ধূমপানে নিরুৎসাহিত করা সম্ভব। কিন্তু, ভারতের অধিকাংশ বিড়ি, সিগারেট প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান কর প্রদানের আওতাভুক্ত নয়। বড় প্রতিষ্ঠানগুলো এর আওতায় হলেও, ছোট প্রতিষ্ঠানগুলো নয়।

No comments

Powered by Blogger.