শুরু হলো গণিতের মহারণ by মুনির হাসান

যথাযথ রাজকীয় ভাবগাম্ভীর্য ধরে রেখে গত বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো ৫৬তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াড। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছিল পুরোপুরি আনুষ্ঠানিক ও রাজকীয়। কারণ অনুষ্ঠানে ছিলেন থাইল্যান্ডের রাজকুমারী মহা ছাকরি সিরিনধর্ন।
৬০ বছর বয়সী রাজকুমারী চিয়াং মাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মেলন কেন্দ্রে ১১৪টি দেশের গণিতবিদ, প্রতিযোগী ও দলনেতাদের বিশ্বের নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের প্রতিকার বের করার আহ্বান জানান। এরপর তিনি আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলন করে অলিম্পিয়াডের সূচনা ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠানে থাইল্যান্ডের উপ-শিক্ষামন্ত্রী কৃষ্ণাপং কীর্তিকারা প্রতিযোগী ও অন্যদের ভ্রাতৃত্বের মাধ্যমে নতুন সম্ভাবনা উন্মোচনের জন্য অনুরোধ করেন।
রাজকুমারীর উপস্থিতির কারণে আইএমওর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্ব প্রতিযোগীদের প্যারেডকে সংক্ষিপ্ত করে ফেলা হয়। এমনকি ছিল না কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। হোটেল থেকে প্রতিটি দলকে পুলিশি পাহারায় অনুষ্ঠানস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। নিরাপত্তা-তল্লাশিও করা হয়েছে। প্রতিবছরই প্রতিযোগীরা মঞ্চে নিজেদের ঐতিহ্যগত কিছু না কিছু পরিবেশনের চেষ্টা করলেও এবার তা করা যায়নি। ভিন্ন ভিন্ন দেশের আলাদা প্যারেডের পরিবর্তে একসঙ্গে পাঁচটি দেশের প্রতিযোগীরা উপ-দলনেতাদের সঙ্গে মঞ্চে দাঁড়িয়ে প্যারেড শেষ করে। আইএমওর উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতি জিওফ স্মিথ প্রতিযোগীদের শপথবাক্য পড়ে শোনান।
এবারের প্রতিযোগীদের মধ্যে মেয়েদের সংখ্যা আগের বছরের চেয়ে বেশি। আফ্রিকার বেশির ভাগ দেশের প্রতিযোগীদের মধ্যে কমপক্ষে একজন মেয়ে রয়েছে। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব দলেও মেয়ে রয়েছে। বাংলাদেশ দলে কোনো মেয়ে নেই।
আজ শুক্রবার প্রথম দিনের পরীক্ষায় প্রতিযোগীদের তিনটি গাণিতিক সমস্যার সমাধান করতে দেওয়া হবে। এ জন্য তারা সময় পাবে সাড়ে চার ঘণ্টা। পাঁচ শতাধিক প্রতিযোগীর সঙ্গে অলিম্পিয়াডে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশের ছয়জন প্রতিযোগী।
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতায় ও প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি দেশজুড়ে গণিত উৎসবের মাধ্যমে এই ছয়জনকে নির্বাচিত করেছে।

No comments

Powered by Blogger.