জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে বিজয় দিবস পেতাম না: আমেরিকা বিএনপি

আমেরিকা বিএনপির নেতারা বলেছেন, ১৯৭১ সালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে আমরা বিজয় দিবস পেতাম না আর এ দিবস পালন করাও সম্ভব হতো না। ১৯৭১ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের কেউই মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়নি। এমনকি বর্তমান আওয়ামী লীগের ৯৫ ভাগ সদস্যও যুদ্ধে যায়নি। জিয়া নিজের পরিবারকে বিসর্জন দিয়ে এবং জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। সে কথা আওয়ামী লীগ বেমালুম ভুলেই গেছে। শেখ হাসিনার পরিবারের কেউ যুদ্ধে অংশ না নিলেও এখন তিনি সেই মুক্তিযুদ্ধকে পুঁজি করে ক্ষমতায় দীর্ঘায়িত করার ষড়যন্ত্র করছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটেসের একটি রেস্তোঁরায় আমেরিকা বিএনপি আয়োজিত মহান বিজয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা বাংলা প্রেস। আমেরিকা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিশেষ উপদেষ্টা ও বৈদেশিক দূত ডা. মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার ৪৪ বছর পর নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। কারণ ১৯৭১ সালেও আওয়ামী লীগ চায়নি বাংলাদেশ স্বাধীনতা হোক। ১৯৭১ সালে যারা আওয়ামী লীগ করেনি তাদেরকে হত্যা করার জন্য মুজিব বাহিনী তৈরি করা হয়েছিল। যেসব মুক্তিযোদ্ধা মুজিব বাহিনীতে যোগ দেয়নি, সেসব মুক্তিযোদ্ধাদের আওয়ামী লীগ হত্যা করেছে। নেতারা আরো বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের প্রধান শক্তি ছিল জনগণের ঐক্য। আর আওয়ামী লীগ তাতেও ফাটল ধরানোর চেষ্টা করেছিল। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে শেখ হাসিনা তার ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে রেখেছে। ১৯৭১ সালে শহীদ জিয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছাড়া বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। বরং দেশ গৃহযুদ্ধের দিকে চলে যেতো। গত নির্বাচন প্রসঙ্গে বক্তারা বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে প্রমাণিত হয়েছে আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু হতে পারে না। ৫ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচন করে সরকার দেশে রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। বর্তমান সরকার ও সংসদ অবৈধ। এখানে জনগণের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে প্রবাসের সকল নেতা-কর্মিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার আন্দোলনে অংশ নেয়ার আহবান জানান। সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সফিক রহমান দুলালের সঞ্চালনায় উক্ত বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সর্বসাবেক সহ-সভাপতি ইলিয়াস আহমেদ মাস্টার, প্রফেসর দেলোয়ার হোসেন, মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী, শামসুল ইসলাম মজনু, আনোয়ার হোসেন, নিয়াজ আহমেদ জুয়েল, আবুল কাসেম, মমিনুল হক, সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুস সবুর,সাবেক যুগ্ম সা.সম্পাদক রফিকুল মাওলা, গিয়াস উদ্দিন, ছৈয়দুল হক, রকিব উদ্দিন দুলাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সেলিম, সাবেক ছাত্রনেতা ডা. জাহিদ দেওয়ান শামীম, বিএনপি নেতা আমিনুল ইসলাম কচি, মোশারফ হোসেন, শাজাহান হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুরুজ্জামান, অ্যাড. খায়রুল বাসার, জাফর তালুকদার, আব্দুর রাজ্জাক, আমিনুল হক চৌধুরী ও বদরুল হক আজাদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন নাজমুল হাসান মানিক, আলী হোসেন, ডা. মাহবুর রহমান রিপন, জাহাঙ্গীর হোসেন হাওলাদার, আশরাফ খোকন, মঞ্জুর মোর্শেদ, জাঈদ বিশ্বাস, ইউসুফ আলী, সুলতান মিয়া, আব্দুর রহিম, কামাল উদ্দিন, শাহাদত হোসেন রাজু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আকবর ও সুলতান মিয়া প্রমুখ।

No comments

Powered by Blogger.