শেয়ারে নিটিং রাখার প্রস্তাব দেবে ডিএসই

 দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ একই কোম্পানির শেয়ার নিটিং সুবিধার প্রস্তাব দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কাছে। শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসি’র কাছে এমন প্রস্তাব দিতে যাচ্ছে ডিএসই। জানা গেছে, একই কোম্পানির শেয়ার নেটিং সুবিধার প্রস্তাব দিতে যাচ্ছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ। এ সুবিধা দেয়া হলে বিনিয়োগকারীরা একই দিনে একই কোম্পানির শেয়ার একাধিকবার কেনাবেচা করতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রে শেয়ার ও অর্থ ম্যাচিউরড (পরিপক্ব) থাকতে হবে। শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসির কাছে এমন প্রস্তাব দিতে যাচ্ছে ডিএসই। ডিএসইতে চালু হওয়া নতুন লেনদেন যন্ত্রে একই দিনে একই শেয়ারের নেটিং করার সুবিধা রয়েছে। গত আগস্টে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বিএসইসিতে এ-সংক্রান্ত লিখিত প্রস্তাব জমা দেয় আরেক শেয়ারবাজার সিএসই। গত বুধবার ডিএসই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে ব্রোকারেজ অ্যাসোসিয়েশনও শেয়ার নেটিংয়ের সুবিধা বাস্তবায়নে উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানায়। এ সুবিধা বাস্তবায়ন হলে স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন বাড়বে। ডিএসই’র পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, স্টেকহোল্ডারদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে স্টক এক্সচেঞ্জের পরবর্তী বোর্ডসভায় প্রস্তাবটি উত্থাপন করা হবে। বোর্ডের অনুমতি পেলে বিএসইসিতে লিখিত প্রস্তাব জমা দেয়া হবে। তিনি বলেন, আমাদের নতুন স্বয়ংক্রিয় লেনদেন ব্যবস্থায় শেয়ার নিটিংয়ের সুবিধা রয়েছে। তাই কমিশনের অনুমোদন পেলে যথাসময়ে বাস্তবায়ন করা যেতে পারে। জানা গেছে, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীর অংশগ্রহণ কমে যাওয়ায় লেনদেনে নেতিবাচক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এদিকে ২০১০ সালে ডিএসইতে সর্বোচ্চ ৩,০০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হলেও পরবর্তী সময়ে গড় লেনদেন ৪০০ কোটি টাকার নিচে নেমে আসে। এতে স্টক এক্সচেঞ্জের দৈনন্দিন ব্যয় নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় একই কোম্পানির শেয়ার নেটিং সুবিধা প্রবর্তনের উদ্যোগ নিচ্ছে দুই স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে নিটিং সুবিধার মাধ্যমে কোন কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করে ওই দিনই সমপরিমাণ মূল্যের অন্য কোন কোম্পানির শেয়ার কেনা যায়। বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বিএসইসি শুধু ‘জেড’ ক্যাটিগরি ছাড়া অন্যসব ক্যাটিগরিভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে আর্থিক সমন্বয় সুবিধার মাধ্যমে নিটিং অনুমোদন করে।

No comments

Powered by Blogger.