নাগঞ্জে র‌্যাবের ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ

সোনারগাঁয়ের যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেনকে অপহরণের পর হত্যা ও লাশ গুমের ঘটনায় সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ অভিযুক্ত ১৬ জন জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে বুধবার এ নির্দেশনা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। অভিযুক্তরা হলেন- র‌্যাব-১১ এর সাবেক লে. কর্নেল তারেক সাঈদ, মেজর আরিফ হোসেন ও লে. কমান্ডার এমএম রানা, সাত খুন মামলার আসামি নূর হোসেন ও তার শ্যালক ছাত্রলীগ নেতা নুরে আলম খান ও অন্য ১১ জন।
ইসমাইল হোসেনের ভাই আবদুল মান্নানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন। ইসমাইলকে অপহরণের অভিযোগে আবদুল মান্নান বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ৯ ফেব্র“য়ারি যে মামলা করেন তা বর্তমানে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করছে। নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলায় র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তা বর্তমানে কারাগারে আটক আছেন। সাত খুন মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন কলকাতা কারাগারে আটক আছেন। মামলার বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন জানান, আদালত ইসমাইল অপহরণ ও হত্যার অভিযোগ তদন্তে আসামিদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাদের গ্রেফতারের জন্য জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। ব্যবসায়িক প্রতিপক্ষের কাছ থেকে মোটা অংকের আর্থিক সুবিধা নিয়ে চুক্তিতে ইসমাইলকে অপহরণ ও খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।৭ ফেব্রুয়ারি ইসমাইলকে সিদ্ধিরগঞ্জের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাইনাদী এলাকা থেকে র‌্যাব পরিচয় দিয়ে অপহরণ করে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে ১৯ ফেব্র“য়ারি ইসমাইলের হাতে লেখা একটি চিরকুট র‌্যাবের সোর্স তার ভাই আবদুল মান্নানের কাছে পৌঁছে দেয়। চিরকুটে লেখা ছিল- বন্ধু সালাউদ্দিন বন্ধু মতিনকে নিয়ে দেখা করবেন। পত্রবাহককে ৫ হাজার টাকা দিবেন। চায়ানা হার্ডওয়্যার খোরশেদকে জানাবেন এই জায়গায় তার লোক আছে। আর ফজলুল হক চেয়ারম্যানকে নিয়ে র‌্যাবের সিইও তারেক সাঈদের সঙ্গে দেখা করবেন। পরবর্তীতে আবদুল মান্নান র‌্যাব-১১ আদমজী কার্যালয়ে গিয়ে দেখা করলে সিইও তারেক সাঈদ জানান, তার লোক জীবিত আছে ২ কোটি টাকা দিলে ছেড়ে দেব। পরে এক কোটি টাকা নিয়ে গেলেও র‌্যাব তাদের কোনো কথা শোনেনি।

No comments

Powered by Blogger.