মাশরুম পার্ক by এম এ করিম

সৈয়দপুরের লক্ষণপুরে মাশরুম পার্কের উদ্বোধন করা হয়েছে। পার্কে বেড়ানোর পাশাপাশি নিজস্ব ফার্মে উৎপাদিত কাঁচা মাশরুম, মাশরুম আটা, মাশরুম ট্যাবলেটসহ রকমারি সুস্বাদু খাবার মিলবে। গত ৬ই নভেম্বর এই পার্কের উদ্বোধন করেন লক্ষণপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল আজিজ। এ উপলক্ষে এক সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয় মাশরুম পার্কে। পার্কের উদ্যোক্তা ও মাশরুম উৎপাদনকারী হাফিজুর রহমান গামা জানান, মানুষের চিত্তবিনোদনের পাশাপাশি মাশরুমের রকমারি খাবার সরবরাহের জন্য এই মাশরুম পার্ক তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া ডায়াবেটিস, হৃদরোগসহ নানা রোগব্যাধি থেকে রক্ষার জন্য মাশরুমের ট্যাবলেটও তৈরি করা হয়েছে। এই মাশরুম পার্কটি নিজস্ব বিশাল দীঘির পাড় নিয়ে দৃষ্টিনন্দন করে তৈরি করা হয়েছে। সাধারণ মানুষও কৌতূহলবশত একবার নিয়মিত মাশরুম খেয়ে এর স্বাদ ও উপকারিতায় মুগ্ধ হয়ে মাশরুম গ্রহণ শুরু করেছে। উন্নতমানের সবজি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে মাশরুম। সব ধরনের পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ এ খাবারটি আজ সবার কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে ডায়াবেটিস, হৃদরোগসহ নানা জটিল ও কঠিন রোগীদের চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে ওষুধের পাশাপাশি উৎকৃষ্ট পথ্য হিসেবে মাশরুম খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এ কারণে মাশরুমের কার্যকারিতার বিষয়ে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। সৈয়দপুরে বাণিজ্যিকভিত্তিতে মাশরুম চাষ শুরু হয়েছে। ওই ইউনিয়নের বেকার যুবক হাফিজুর রহমান গামা মাশরুম চাষ শুরু করেন। তার বাসাতেই ছোট্ট পরিসরে মাশরুম চাষ শুরু করে সফলতা অর্জন করেছেন। তিনি দিনাজপুর ও রংপুর থেকে বীজ সংগ্রহ করে মিলকি মাশরুম সেন্টার গড়ে তুলেছেন। মাশরুম এমন একটি সবজি যা বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে রুচিকর রকমারি খাবার তৈরি করা যায়। এই মাশরুম থেকে সব ধরনের শাকসবজি, ভাজি, মাছ, মাংস ডিম অমলেট, চপ, সিঙ্গারা, সমুচা, নুডলস, মোগলাই, চটপটি, পেটিস, বার্গার, চাইনিজ, স্যুপ, পোলাও, বিরিয়ানি, রাইস ফ্রাই ইত্যাদি তৈরি হয়। এছাড়া ডায়াবেটিস রোগীদের এটি আদর্শ খাবার। শরীরের কোলেস্টরল ও মেদ ভুঁড়ি কমাতে সাহায্য করে। গর্ভবতী মা ও শিশুদের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। মাশরুম উচ্চ রক্তচাপ, রক্ত স্বল্পতা, চর্মরোগ, অ্যালার্জি, পেটের পীড়া, জন্ডিস, কোষ্ঠকাঠিন্য ও টিউমার রোগের নিরামক হিসেবে সর্বাধিক সমাদৃত। সম্ভবত সৈয়দপুরে এটিই প্রথম মাশরুম পার্ক।

No comments

Powered by Blogger.