নির্বাহী আদেশে ৫০ লাখ অভিবাসীর বৈধতা দিচ্ছেন ওবামা

যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসরত ৫০ লাখ অভিবাসীর বৈধতার ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় (বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টা) টেলিভিশন ভাষণে ওবামার এ ঘোষণা দেয়ার কথা রয়েছে। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের।
ওবামা তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেশটির জনগণের উদ্দেশে অভিবাসন ব্যবস্থার সংস্কারের বিষয়টি তুলে ধরেছেন। দেশটির ইতিহাসে এবারই প্রথম কোনো প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রীয় কোনো সম্প্রচার মাধ্যম ব্যবহার না করে নীতিনির্ধারণী বিষয় নিয়ে ঘোষণা দিলেন। ওবামা তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিও পোস্টে জানান, প্রত্যেকেই সম্মত হয়েছেন যে আমাদের অভিবাসী ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। দুর্ভাগ্যবশত, ওয়াশিংটন এ সমস্যাটিকে দীর্ঘদিন ধরেই বাড়তে দিয়েছে। আমি আমার কর্তৃপক্ষ এবং কংগ্রেসের সঙ্গে একাত্ম হয়ে এ সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। বুধবার হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জজ আর্নেস্ট জানিয়েছেন, বুধবার রাতে হোয়াইট হাউসের এক নৈশভোজে ১৮ জন ডেমোক্রেট প্রতিনিধির সঙ্গে ইমিগ্রেশন নীতিমালা নিয়ে আলোচনা করেন ওবামা। যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ ৫ মিলিয়ন ( ৫০ লাখ) অভিবাসীর ডিপোর্টেশন বন্ধ এবং তাদের অধিকাংশই ওয়ার্ক পারমিট পেতে যাচ্ছে এই নির্বাহী আদেশে। তবে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি কর্তৃপক্ষ এ খবরে আশংকা প্রকাশ করেছে।
তারা বলছে, এতে করে অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা আবারও বেড়ে যেতে পারে। অনেকে নানা পথে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের পর বিয়ে করেছেন, লিভ টুগেদার করেছেন, সন্তান জন্ম দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেয়া এসব লোকজনের সন্তানরা জন্মসূত্রেই এ দেশের নাগরিক। এসব সন্তানের বাবা-মারা প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশে বৈধতার সুযোগ পাবেন। অন্যদের সঙ্গে ব্যাপকসংখ্যক অবৈধ বাংলাদেশী এ দলটিতে রয়েছেন। অভিবাসন সংস্কার নিয়ে ওবামার নির্বাহী আদেশের দিকে উন্মুখ হয়ে তাকিয়ে এমন লাখো অবৈধ অভিবাসী অবশেষে বৈধতা পাচ্ছেন। অবৈধ অভিবাসনের সময় যারা গুরুতর অপরাধে জড়িয়ে পড়েছিলেন, তাদের দ্রুত দেশ থেকে বিতাড়ন করা হবে। সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ানো হবে। সীমান্তরক্ষীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে নিরাপত্তাব্যবস্থাকে জোরদার করার উদ্যোগ নেয়া হবে।
বৈধতার জন্য উৎসাহ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে অভিবাসন আবেদনের ফি কমানো হবে। বর্তমানে প্রতি আবেদনের জন্য ৬৮০ ডলার ফি দেয়া হয়। নির্বাহী আদেশে প্রথম ১০ হাজার আবেদনকারীর জন্য ফি অর্ধেক করা হতে পারে। মধ্যবর্তী নির্বাচনের পর কংগ্রেসের পুরো নিয়ন্ত্রণ এখন রিপাবলিকানদের হাতে।

No comments

Powered by Blogger.