খিলগাঁওয়ে অপহরণের পর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা খুন

রাজধানীর খিলগাঁও ত্রিমোহনী এলাকায় নয়ন মিয়া (৩০) নামে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা খুন হয়েছেন। তাকে বুধবার অপহরণ করেছিল দুষ্কৃতকারীরা। অপহরণের দুই দিন পর হাত-পা বাঁধা ও গলায় লুঙ্গির কাপড় পেঁচানো অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, তাকে অপহরণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। নিহত নয়ন খিলগাঁও থানার নাসিরাবাদ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। নয়ন মিয়াকে খুনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, নয়নের বাবার নাম মোক্তার হোসেন। ত্রিমোহনীর পূর্বপাড়ায় রুস্তম মিয়ার বাড়িতে থাকত নয়ন। তিনি ড্রেজারে বালু তুলে ব্যবসা করতেন। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে খিলগাঁও থানার এসআই আরিফ হোসেন ত্রিমোহনী গুদারা ঘাটের কাছে মোহাম্মদ আলীর বাড়িসংলগ্ন খাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করেন। সুরতহাল প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতের গলায় লুঙ্গির কাপড় পেঁচানো ছিল। দুই পা বাঁধা ছিল খড় দিয়ে। আর দুই হাত বাঁধা ছিল ব্রেসলেট ও কাপড় দিয়ে। লাশের গলায় লালচে দাগ দেখা গেছে। নিহতের মায়ের নাম রাশিদা বেগম। নয়ন এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক। নিহতের চাচা এলেন মিয়া জানান, বুধবার অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা তাকে অপহরণ করেছে। স্থানীয় কেউ রাজনৈতিক শত্র“তার মাধ্যমে তার ভাতিজাকে হত্যা করে হাত-পা বেঁধে লাশ পানিতে ফেলে গেছে। তবে সুনির্দিষ্ট কাউকে তিনি অভিযুক্ত করেননি।
খিলগাঁও থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, নয়নের লাশ উদ্ধার হওয়ার স্থানটি অত্যন্ত নির্জন। ঘটনাস্থলে বেশ কিছু টুকরা ও ছড়ানো-ছিটানো তাস পাওয়া গেছে। এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে, তাস খেলে ঝগড়ার পর তাকে হত্যা করে হাত-পা বেঁধে লাশ খালে ফেলে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ধরে নেয়ার পর অন্যত্র হত্যা করেও লাশ ওই নির্জন স্থানে ফেলে দেয়া হতে পারে। গতরাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি।
বিএনপির মহাসচিবের নিন্দা : নয়ন মিয়াকে হত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এক বিবৃতিতে তিনি আরও খুন-অপহরণের বিবরণ তুলে ধরেন। নয়নের হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার দাবি করেন ফখরুল। অপর এক বিবৃতিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল বারী বাবু এ হত্যকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানান।

No comments

Powered by Blogger.