পর্যাপ্ত অস্ত্র পাচ্ছে না কুর্দিরা

ইরাক ও সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) বিরোধী যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো পর্যাপ্ত অস্ত্র দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে কুর্দি পেশমার্গারা। ইরাকের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল কুর্দিস্তানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ বারজানি এ অভিযোগ করেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। আইএস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বড় ভূমিকা পালন করছে ইরাকি কুর্দি পেশমেরগা বাহিনী। আইএস নির্মূল করতে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও জার্মানি ছাড়াও আরও কয়েকটি পশ্চিমা দেশ কুর্দি যোদ্ধাদের অস্ত্র জোগান দিচ্ছে। তবে মাসুদ বলেন, আইএস মোকাবিলায় পশ্চিমা দেশগুলো আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী ভারি অস্ত্র জোগান দিচ্ছে না। কথিত ইসলামি ‘খেলাফত’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইরাক ও সিরিয়ার বেশ কয়েকটি অঞ্চল নিজেদের দখলে নিয়েছে আইএস বাহিনী।
ফ্রান্স টোয়েন্টিতে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বারজানি বলেন, ‘‘আইএসবিরোধী জোটের সদস্যরা আমাদের যে সহায়তা করছে সেজন্য আমি তাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা যে সহায়তা পেয়েছি তা প্রয়োজনের তুলনায় অপর্যাপ্ত।’
‘আইএস’কে পরাজিত করতে চূড়ান্ত লড়াইয়ের জন্য আমাদের এপিসিএস (সশস্ত্র সামরিক যান), হেলিকপ্টার ও কামানের মতো ভারি অস্ত্র প্রয়োজন। আমরা এখনও তাদের কাছ থেকে এ ধরনের অস্ত্র পাইনি।” ইরাকের কুর্দি বাহিনীকে মেশিনগানসহ বিভিন্ন সমরাস্ত্র দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ফ্রান্স। সেই সঙ্গে ‘সংবেদনশীল’ অস্ত্রের জোগান দেয়ার কথাও বলেছে দেশটি। এছাড়া ফ্রান্সের বিশেষ বাহিনীর প্রায় দুইশ’ সদস্য পেশমেরগা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। চার হাজার কুর্দি যোদ্ধার জন্য অস্ত্র পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে জার্মানি। যেগুলোর মধ্যে মেশিন গান, গ্রেনেড, অ্যান্টি ট্যাংক সিস্টেম, সাঁজোয়া যান রয়েছে। যুক্তরাজ্য ট্যাংকবিধ্বংসী অস্ত্র, অন্ধকারেও দেখা যায় এমন চশমা, রাডার ও যুদ্ধ পোশাক দেবে বলে জানিয়েছে।
৫০ ফরাসি নাগরিক নিহত : ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী ম্যানুয়েল ভ্যালস বলেছেন, সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে প্রায় ৫০ জন ফরাসি নাগরিক নিহত হয়েছেন। বুধবার রাজধানী প্যারিসের উত্তরে বিয়াউভাইস শহরে একটি নিরাপত্তা বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী ভ্যালস সাংবাদিকদের বলেন, এক হাজারেরও বেশি ফরাসি সিরিয়ার যুদ্ধে অংশ নিয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। সিরিয়ায় নিহত ফরাসি নাগরিকের সংখ্যা ৫০-এর কাছাকাছি।
তিনি বলেন, কাজেই আমরা বিপদের গভীরতা বুঝতে পেরেছি এবং বর্বরতার এ চক্রের সঙ্গে দুঃখজনকভাবে সিরিয়ার নাগরিক জড়িয়ে পড়ায় আমরা মোটেও বিস্মিত হয়নি। বরং এ বিষয়টি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আমাদের মনোবল আরও দৃঢ় করেছে।
এদিকে ফরাসি সরকার আইএস জঙ্গি গোষ্ঠীতে নাম লেখানো তার দ্বিতীয় নাগরিকের নাম প্রকাশ করেছে। ভিডিও ছবি দেখে ওই নাম প্রকাশ করা হয়। এ জঙ্গির নাম মাইকেল ডস সান্টোস। বয়স ২২।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, প্যারিসের পূর্বাঞ্চলের শহরতলিতে থাকতেন তিনি। এর আগে ফরাসি সরকার আইএসে নামে লেখানো তার দেশের প্রথম নাগরিক ম্যাক্সিম হকার্ডের নাম প্রকাশ করে।

No comments

Powered by Blogger.