ড্রাকুলা উপন্যাসের দুর্গগুলো এখন

ব্রান দুর্গ: ড্রাকুলার সঙ্গে যোগসূত্রের কারণে
এলাকার সবচেয়ে বিখ্যাত দুর্গ এটিই
আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের বিখ্যাত ভৌতিক উপন্যাস ড্রাকুলার কাহিনি যে দুর্গগুলোকে ঘিরে, সেগুলো একসময় হয়েছিল রোমাঞ্চপ্রিয় মানুষের আড্ডাখানা। তবে এখন আর ভয়ের সেই ব্যাপার-স্যাপার নেই। বরং দুর্গগুলো ধীরে ধীরে হয়ে উঠছে টাকা বানানোর উৎস। ১০০টির বেশি দুর্গ নিয়ে গড়ে ওঠা মধ্য রোমানিয়ার ট্রানসিলভানিয়া শতাব্দীর পর শতাব্দী অভিজাত ব্যক্তিদের পদচারণায় মুখরিত ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কমিউনিস্ট পার্টি ক্ষমতা দখল করলে দৃশ্যপট পাল্টে যায়। সরকার সব দুর্গ বাজেয়াপ্ত করে। ১৯৮৯ সালে কমিউনিস্ট শাসনের অবসান ঘটার পর দুর্গগুলো ফেরত পাওয়ার আশায় বুক বাঁধেন মালিকদের বংশধরেরা। ২০০৫ সালে আইনে পরিবর্তন এলে এর পথ প্রশস্ত হয়।
পারিবারিক দুর্গগুলো ফেরত পেতে আদালতের শরণাপন্নও হন অনেকে। মামলা করে কেউ কেউ সফলও হন। তবে মামলা আর সংস্কার মিলিয়ে বিপুল অর্থ খরচ হয়ে যায়। খরচের টাকা তুলতে অনেকেই দুর্গগুলো নিয়ে ব্যবসায়িক চিন্তাভাবনা শুরু করতে থাকেন। তেলেকি নামের পারিবারিক দুর্গ আছে ৬৭ বছর বয়সী কালমান তেলেকির। তিন বছর আগে দুর্গটি ২০ হাজার ইউরো খরচ করে ফেরত পান তিনি। কালমান তেলেকি বলেন, ‘বিভিন্ন ধরনের খেলা, বিয়ের অনুষ্ঠান, সংগীতানুষ্ঠান ও পর্যটকদের বড় দলগুলোর জন্য আমি এখন আমার দুর্গের ফটক খুলে দিই। এই একুশ শতকে এসেও যে দুর্গ রেখেছি, এর একটা উদ্দেশ্য আমাকে খুঁজতে হয়।’ ভাড়া হিসেবে ৫০০ থেকে আড়াই হাজার ইউরো পান তিনি। বাংলাদেশি বাবা আর রোমানিয়ান মায়ের সন্তান গ্রেগর রায় চৌধুরীও এ রকম একটি দুর্গের মালিক। ১০ বছর ধরে আইনি লড়াই করে তা ফেরত পেয়েছেন তিনি। তবে তাঁর মতে ট্রানসিলভানিয়াকে শুধু ড্রাকুলার নামে পরিচিত করা ঠিক নয়। সূত্র বিবিসি।

No comments

Powered by Blogger.