অসৎ সঙ্গে প্রাণ হারালেন রাব্বী

গোলাম রাব্বী
কল্যাণপুরে এক চায়ের দোকানে দুই মাস আগে মো. সালাম নামের এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় বিবিএর শিক্ষার্থী গোলাম রাব্বীর। সালামের প্রভাবে এর পর থেকে মাদকে আসক্ত হয়ে পড়েন তিনি। এই সালামই কৌশলে মুক্তিপণের জন্য অপহরণ করে পাবনায় নিয়ে তিন সঙ্গীকে দিয়ে ১৯ সেপ্টেম্বর খুন করান রাব্বীকে।
আজ শুক্রবার দুপুরে র‌্যাব-৪-এর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের গণমাধাম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান এ তথ্য দেন। তিনি দাবি করেন, ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণের জন্য রাব্বীকে অপহরণ করা হয়।
সালামকে ধরতে না পারলেও ধানমন্ডির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইএসটির এই শিক্ষার্থী হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার সালামের তিন সঙ্গীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৪-এর একটি দল। গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন হলেন শাহানুর শেখ (২২), রাজা প্রামাণিক (৩৮) ও বিপ্লব মোল্লা (২৮)।
মাহমুদ খান বলেন, গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে ইয়াবার চালান দেওয়ার কথা বলে রাব্বীকে ১৯ নভেম্বর বিকেলে রাজধানীর কল্যাণপুর এলাকার ৭ নম্বর রোডের ৪ নম্বর বাসা থেকে কৌশলে ডেকে নিয়ে যান সালাম। সেদিন রাতে পাবনার সাঁথিয়া এলাকার একটি ডোবায় গলাটিপে হত্যা করা হয় রাব্বীকে। পরে লাশটি কচুরিপানায় ঢেকে রাখে হত্যাকারীরা। ২৫ নভেম্বর রাব্বীর মরদেহ উদ্ধার করে সাঁথিয়া থানার পুলিশ।
(ছবি:- ধানমন্ডির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র গোলাম রাব্বী হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছবি: প্রথম আলো) রাব্বীর বাবা বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের সাবেক কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন ছেলের সন্ধানে র‌্যাব-৪-এ অভিযোগ করেন। তিনি জানান, অপহরণের পরদিন মুঠোফোনে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘২৫ নভেম্বর লাশ শনাক্ত করার পরও আমার কাছে মুক্তিপণ চাওয়া হয়। বলা হয়, ছেলের লাশ নিয়া যাচ্ছিস। টাকা না দিলে দেইখ্যা নিমু।’
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের দেওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে মাহমুদ খান জানান, নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করিয়ে রাব্বীকে হত্যা করা হয়।
র‌্যাব-৪ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে গ্রেপ্তার হওয়া বিপ্লব বলেন, ‘ঝামেলা হইতাছিল, তাই বুকের ওপর বইস্যা শাহানুর আর আমি গলাটিপা মারছি। রাজা রাব্বীর পা চাইপ্যা ধরছিল।’

No comments

Powered by Blogger.