সড়ক দুর্ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নিহত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকের সামনে শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী নিহত হয়েছেন। তাঁর নাম সাবরিনা জাহান। তিনি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। সাবরিনার বাড়ি বগুড়ার কাহালু উপজেলায়। তাঁর বাবার নাম হামিদুর রহমান। এ ঘটনার পর বেলা একটা থেকে দুইটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা ফটকে শিক্ষার্থীরা গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা করলে পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেটে মঞ্জুর আহমেদ ও ইমরুল কায়েস নামের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দুই শিক্ষার্থী বিদ্ধ হন। বেলা দুইটার দিকে প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সকাল ১০টার দিকে সাবরিনা চারুকলা বিভাগের বান্ধবী জীবন নাহার সুমির সঙ্গে রিকশায় করে বিনোদপুর বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের কাছে পৌঁছালে রিকশার সামনের একটি অংশ ভেঙে গেলে তাঁরা দুজন রাস্তায় পড়ে যান। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি অটোরিকশা সাবরিনাকে চাপা দিলে তাঁর মাথায় আঘাত লাগে। স্থানীয়রা সাবরিনাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। সাবরিনার বান্ধবী সুমি সামান্য আহত হয়েছেন। রিকশা ও অটোরিকশা চালক পালিয়ে গেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ছাদেকুল আরেফিন প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, সাবরিনার লাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলে রাখা হয়েছে। তাঁর পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। বিকেলে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের ব্যবস্থা করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ছাদেকুল আরেফিন প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, সাবরিনার লাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলে রাখা হয়েছে। তাঁর পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। বিকেলে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের ব্যবস্থা করা হবে।
No comments