গল্প- আকাশে ওড়ার ফর্মুলা by ইন্দ্রজিৎ সরকার
দুই-দু গুণে চার হয়—এটা আর কে না জানে।
ছোট মামাও সেটা জানেন বিলক্ষণ। কিন্তু তাঁর ব্যাপার-স্যাপারই আলাদা। তিনি
প্রশ্ন করবেন, ‘দুই-দু গুণে কেন পাঁচ বা তিন হয় না, বলতে পারিস?’ বুঝতেই
পারছ, আমাদের বলতে পারার কথা নয়।
আমরা দুটি ভাইবোন, আমি
ক্লাস সেভেনে, ছোটটি সবে ক্লাস টুতে পড়ে। বইয়ে সব সময় দুই-দু গুণে চার পড়ে
আসছি, তাই সেটাই সঠিক বলে জানি। অমন বিদঘুটে প্রশ্ন আমাদের মাথায় আসেও না।
অবশ্য মামার প্রশ্নের উত্তর সাধারণত তিনি নিজেই দেন। তাঁর ভাষায় ‘সহজ করে
বুঝিয়ে’ দেন। সেই সহজ ব্যাপারটা এতটাই জটিল হয় যে আমরা আরও বেশি অসহায়
অবস্থার মধ্যে পড়ে যাই।
ছোট মামা, যাঁর মাথায় বিস্তর ‘জ্ঞান’ থাকায় চুলগুলো আর তিষ্ঠোতে পারেনি—সোজা কথায় টাক পড়েছে; তিনি অধ্যবসায়ের এক বিরাট নমুনা। মাত্র তিনবারের চেষ্টায় তিনি এসএসসি ও চারবারের চেষ্টায় এইচএসসি পাস করেছেন! তারপর কয়েক বছর ডিগ্রি পাসের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করলেন। আমার ধারণা, সাফল্যের ধারাবাহিকতায় পঞ্চমবারের চেষ্টায় তিনি পাস করবেন। কিন্তু কোনো এক অদ্ভুত কারণে তিনবার চেষ্টার পর মামা হাল ছেড়ে দিলেন। আমাকে বললেন, ‘বুঝলি পোনা (মামা আমাকে এই নামেই ডাকেন), পুঁথিগত বিদ্যাটাই জীবনে আসল কথা নয়। জানার আসলে কোনো শেষ নেই। এ জন্য অনেক বই পড়তে হবে, অনেক জায়গায় ঘুরতে হবে।’
এরপর সেটাই মামার কাজ হয়ে দাঁড়াল। দিনমান ঘরে বসে নানা বিষয়ের বই পড়েন। আর সুযোগ পেলেই কিছুদিনের জন্য হাওয়া হয়ে যান, মানে বেড়াতে বের হন। বেশির ভাগ সময় কাউকে কিছু বলে যান না। প্রথম দিকে মা খুব চিন্তা করতেন তাঁর এই ‘আধা পাগল’ ভাইটার জন্য। পরে দেখা গেল, এটা মামার নিয়মিত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি হুট করে চলে যান এবং পকেটে টান পড়লে ফের সুবোধ বালকের মতো বাড়িতে ফিরে আসেন।
ছোট মামা আমাদের বাড়ির একটা ছোট্ট ঘরে থাকেন। তেমন কোনো কাজকর্ম করেন না। মাঝেমধ্যে মায়ের অনেক ঠেলাঠেলিতে হয়তো বাজারে যান। তা-ও ১০টি জিনিস আনতে বললে ছয়টি আনেন, বাকিগুলো কিনতে মনে থাকে না। তাই বাধ্য না হলে তাঁকে কোনো কাজের কথা বলা হয় না। এভাবে ভালোই চলছিল। হঠাৎ একদিন মামার মাথায় গবেষণার ভূত চাপল। তিনি গবেষণার জন্য রীতিমতো কিম্ভূতকিমাকার কিছু সরঞ্জামও কিনে আনলেন।
আমাকে বললেন, ‘বুঝলি পোনা, শুধু পড়লেই হবে না। গবেষণাগারে প্র্যাকটিক্যালি বিষয়টাকে বুঝতে হবে। তা ছাড়া দেশের জন্য তো কিছু করতে হবে। গবেষণা ছাড়া তো নতুন কিছু আবিষ্কার করা সম্ভব নয়।’
আমি হলাম মামার এক নম্বর ও একমাত্র শিষ্য। তিনি যা-ই করেন না কেন, আমাকে বলেন। আমিও বুঝে না-বুঝে তাঁকে সায় জানাই। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। শুধু জিজ্ঞেস করলাম, ‘কী আবিষ্কার করবে মামা?’
‘সেটা আগে থেকে বলা যাচ্ছে না। তবে ট্রাফিক জ্যাম, মানে যানজট দূর করার উপায় খুঁজব।’
‘খুব ভালো হবে।’
মুখে বললাম কথাটা, তবে আমার মাথায় কিছুই ঢুকল না। যানজট হলো রাস্তার বিষয়। সেটা নিয়ে এই ছোট্ট ঘরের ভেতর মামা কী গবেষণা করবেন, কে জানে!
পরদিন অবাক হয়ে লক্ষ করলাম, মামা তাঁর ছোট্ট ঘরকে রীতিমতো স্কুলের ল্যাবরেটরির মতো বানিয়ে ফেলেছেন। সারা দিন সেখানে খুটখাট করেন। সপ্তাহ খানেক পর আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘মামা, তোমার গবেষণার কী অবস্থা?’
মামা বেশ উৎফুল্ল গলায় বললেন, ‘দু-এক দিনের মধ্যেই সুখবর পাবি।’
ঠিক দুই দিন পর মামা আমাকে তাঁর ঘরে ডেকে নিলেন। উত্তেজনার সঙ্গে বললেন, ‘পোনা, আমি যানজট সমস্যার সমাধান করে ফেলেছি।’
‘তাই? কীভাবে?’ আমি বিস্মিত হলাম।
‘যানজট এড়াতে মানুষ উড়ে উড়ে চলাচল করবে।’
‘মানুষ উড়বে?’ আমার মাথায় যথারীতি কিছুই ঢুকছে না।
‘হ্যাঁ উড়বে! আমি একটা রাসায়নিক মিশ্রণ আবিষ্কার করেছি, যেটা খেলে মানুষের শরীর পাখির মতো হালকা হবে। এরপর হাত দুটোকে পাখার মতো ব্যবহার করে মানুষ উড়ে বেড়াবে।’ ছোট মামা সবিস্তারে জানান।
এই প্রথম মামার কোনো বিষয়ে সায় জানাতে আমার দ্বিধা হয়। এমন উদ্ভট কথা বিশ্বাস করাও মুশকিল।
মামা বুঝি আমার মনের কথা বুঝতে পেরেই বললেন, ‘বিশ্বাস হচ্ছে না তো? তুই আর আমি মিলেই প্রথম পরীক্ষাটা করব।’
আমতা-আমতা করে বললাম, ‘আমি কেন? আমি ছোট মানুষ।’
‘সে জন্যই তো সুবিধা। তোর ওজন কম, উড়তে সুবিধা হবে। আর ভয় নেই, আমি বিড়ালকে খাইয়ে পরীক্ষা করেছি।’
‘বিড়াল কি উড়েছিল?’
‘না, ঠিক ওড়েনি। তবে সামনের দুই পা উঁচিয়ে ওড়ার চেষ্টা করেছিল। সমস্যাটা হলো, ওর বা কোনো পশুরই আসলে শারীরিক গড়নটা ওড়ার উপযোগী নয়। সে ক্ষেত্রে মানুষ ঠিক আছে। আর জীব না হলেও জড়পদার্থ দিয়ে পরীক্ষা করে আমি সফল হয়েছি।’
‘সেটা কী রকম?’ জানতে চাইলাম।
‘একটা বোতলের মধ্যে ওই সব রাসায়নিকের বিক্রিয়া ঘটিয়ে মুখে বেলুন বেঁধে দিয়েছিলাম। সেটা আমার ঘরের ছাদ পর্যন্ত উঠেছে। অতএব তোর কোনো ভয় নেই। এখনই আমরা সেই ঐতিহাসিক ঘটনাটি ঘটাব। আমাদের নাম বিজ্ঞানের ইতিহাসে সোনার অক্ষরে লেখা থাকবে।’
মামা ছোট দুটি শিশি বের করে একটি আমাকে দিলেন, অন্যটি তিনি নিলেন। শিশির ভেতরে কিছুটা গাঢ় নীল রঙের তরল। মামা জানান, এটা পান করার দুই মিনিটের মধ্যে শরীর খুব হালকা বোধ হবে। তারপর চেষ্টা করলেই আকাশে ওড়া যাবে। মামার চাপাচাপিতে দুজনে মিলে সেই নীল তরল পান করলাম। কেমন ঝাঁজাল স্বাদ। কিন্তু দুই মিনিট পার হওয়ার পরও কারও মধ্যে ওড়ার লক্ষণ দেখা গেল না। প্রায় পাঁচ মিনিট এভাবে কাটার পর মামা বললেন, ‘আমার তো ওজন বেশি, এ জন্য মনে হয় হচ্ছে না। তুই পাখির ডানা ঝাপটানোর মতো তোর হাত দুটো দিয়ে বাতাস ঠেলে ওড়ার চেষ্টা কর।’
আমি করলাম, কিন্তু কিছুই হলো না। পরে মামা আমাকে আরও এক ডোজ নীল ওষুধ খাওয়ালেন। তারপর নানা কায়দায় আমার হাতকে পাখির পাখার মতো ব্যবহারের চেষ্টা করলেন এবং করতেই থাকলেন। তাঁর ধারণা, ওষুধটা কাজ করতে একটু সময় নিচ্ছে। একটু পর দুজনই ঠিক উড়তে পারব।
সে যাত্রায় আর মামা-ভাগনের ওড়া হয়নি। তবে আমাকে তিন দিন পেটের অসুখে ভুগতে হয়েছিল। ছোট মামা অবশ্য ফের গবেষণায় লেগেছেন। এবার তাঁর ওষুধ আর ব্যর্থ হবে না বলে ঘোষণাও দিয়ে রেখেছেন। দেখা যাক কী হয়!
ছোট মামা, যাঁর মাথায় বিস্তর ‘জ্ঞান’ থাকায় চুলগুলো আর তিষ্ঠোতে পারেনি—সোজা কথায় টাক পড়েছে; তিনি অধ্যবসায়ের এক বিরাট নমুনা। মাত্র তিনবারের চেষ্টায় তিনি এসএসসি ও চারবারের চেষ্টায় এইচএসসি পাস করেছেন! তারপর কয়েক বছর ডিগ্রি পাসের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করলেন। আমার ধারণা, সাফল্যের ধারাবাহিকতায় পঞ্চমবারের চেষ্টায় তিনি পাস করবেন। কিন্তু কোনো এক অদ্ভুত কারণে তিনবার চেষ্টার পর মামা হাল ছেড়ে দিলেন। আমাকে বললেন, ‘বুঝলি পোনা (মামা আমাকে এই নামেই ডাকেন), পুঁথিগত বিদ্যাটাই জীবনে আসল কথা নয়। জানার আসলে কোনো শেষ নেই। এ জন্য অনেক বই পড়তে হবে, অনেক জায়গায় ঘুরতে হবে।’
এরপর সেটাই মামার কাজ হয়ে দাঁড়াল। দিনমান ঘরে বসে নানা বিষয়ের বই পড়েন। আর সুযোগ পেলেই কিছুদিনের জন্য হাওয়া হয়ে যান, মানে বেড়াতে বের হন। বেশির ভাগ সময় কাউকে কিছু বলে যান না। প্রথম দিকে মা খুব চিন্তা করতেন তাঁর এই ‘আধা পাগল’ ভাইটার জন্য। পরে দেখা গেল, এটা মামার নিয়মিত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি হুট করে চলে যান এবং পকেটে টান পড়লে ফের সুবোধ বালকের মতো বাড়িতে ফিরে আসেন।
ছোট মামা আমাদের বাড়ির একটা ছোট্ট ঘরে থাকেন। তেমন কোনো কাজকর্ম করেন না। মাঝেমধ্যে মায়ের অনেক ঠেলাঠেলিতে হয়তো বাজারে যান। তা-ও ১০টি জিনিস আনতে বললে ছয়টি আনেন, বাকিগুলো কিনতে মনে থাকে না। তাই বাধ্য না হলে তাঁকে কোনো কাজের কথা বলা হয় না। এভাবে ভালোই চলছিল। হঠাৎ একদিন মামার মাথায় গবেষণার ভূত চাপল। তিনি গবেষণার জন্য রীতিমতো কিম্ভূতকিমাকার কিছু সরঞ্জামও কিনে আনলেন।
আমাকে বললেন, ‘বুঝলি পোনা, শুধু পড়লেই হবে না। গবেষণাগারে প্র্যাকটিক্যালি বিষয়টাকে বুঝতে হবে। তা ছাড়া দেশের জন্য তো কিছু করতে হবে। গবেষণা ছাড়া তো নতুন কিছু আবিষ্কার করা সম্ভব নয়।’
আমি হলাম মামার এক নম্বর ও একমাত্র শিষ্য। তিনি যা-ই করেন না কেন, আমাকে বলেন। আমিও বুঝে না-বুঝে তাঁকে সায় জানাই। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। শুধু জিজ্ঞেস করলাম, ‘কী আবিষ্কার করবে মামা?’
‘সেটা আগে থেকে বলা যাচ্ছে না। তবে ট্রাফিক জ্যাম, মানে যানজট দূর করার উপায় খুঁজব।’
‘খুব ভালো হবে।’
মুখে বললাম কথাটা, তবে আমার মাথায় কিছুই ঢুকল না। যানজট হলো রাস্তার বিষয়। সেটা নিয়ে এই ছোট্ট ঘরের ভেতর মামা কী গবেষণা করবেন, কে জানে!
পরদিন অবাক হয়ে লক্ষ করলাম, মামা তাঁর ছোট্ট ঘরকে রীতিমতো স্কুলের ল্যাবরেটরির মতো বানিয়ে ফেলেছেন। সারা দিন সেখানে খুটখাট করেন। সপ্তাহ খানেক পর আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘মামা, তোমার গবেষণার কী অবস্থা?’
মামা বেশ উৎফুল্ল গলায় বললেন, ‘দু-এক দিনের মধ্যেই সুখবর পাবি।’
ঠিক দুই দিন পর মামা আমাকে তাঁর ঘরে ডেকে নিলেন। উত্তেজনার সঙ্গে বললেন, ‘পোনা, আমি যানজট সমস্যার সমাধান করে ফেলেছি।’
‘তাই? কীভাবে?’ আমি বিস্মিত হলাম।
‘যানজট এড়াতে মানুষ উড়ে উড়ে চলাচল করবে।’
‘মানুষ উড়বে?’ আমার মাথায় যথারীতি কিছুই ঢুকছে না।
‘হ্যাঁ উড়বে! আমি একটা রাসায়নিক মিশ্রণ আবিষ্কার করেছি, যেটা খেলে মানুষের শরীর পাখির মতো হালকা হবে। এরপর হাত দুটোকে পাখার মতো ব্যবহার করে মানুষ উড়ে বেড়াবে।’ ছোট মামা সবিস্তারে জানান।
এই প্রথম মামার কোনো বিষয়ে সায় জানাতে আমার দ্বিধা হয়। এমন উদ্ভট কথা বিশ্বাস করাও মুশকিল।
মামা বুঝি আমার মনের কথা বুঝতে পেরেই বললেন, ‘বিশ্বাস হচ্ছে না তো? তুই আর আমি মিলেই প্রথম পরীক্ষাটা করব।’
আমতা-আমতা করে বললাম, ‘আমি কেন? আমি ছোট মানুষ।’
‘সে জন্যই তো সুবিধা। তোর ওজন কম, উড়তে সুবিধা হবে। আর ভয় নেই, আমি বিড়ালকে খাইয়ে পরীক্ষা করেছি।’
‘বিড়াল কি উড়েছিল?’
‘না, ঠিক ওড়েনি। তবে সামনের দুই পা উঁচিয়ে ওড়ার চেষ্টা করেছিল। সমস্যাটা হলো, ওর বা কোনো পশুরই আসলে শারীরিক গড়নটা ওড়ার উপযোগী নয়। সে ক্ষেত্রে মানুষ ঠিক আছে। আর জীব না হলেও জড়পদার্থ দিয়ে পরীক্ষা করে আমি সফল হয়েছি।’
‘সেটা কী রকম?’ জানতে চাইলাম।
‘একটা বোতলের মধ্যে ওই সব রাসায়নিকের বিক্রিয়া ঘটিয়ে মুখে বেলুন বেঁধে দিয়েছিলাম। সেটা আমার ঘরের ছাদ পর্যন্ত উঠেছে। অতএব তোর কোনো ভয় নেই। এখনই আমরা সেই ঐতিহাসিক ঘটনাটি ঘটাব। আমাদের নাম বিজ্ঞানের ইতিহাসে সোনার অক্ষরে লেখা থাকবে।’
মামা ছোট দুটি শিশি বের করে একটি আমাকে দিলেন, অন্যটি তিনি নিলেন। শিশির ভেতরে কিছুটা গাঢ় নীল রঙের তরল। মামা জানান, এটা পান করার দুই মিনিটের মধ্যে শরীর খুব হালকা বোধ হবে। তারপর চেষ্টা করলেই আকাশে ওড়া যাবে। মামার চাপাচাপিতে দুজনে মিলে সেই নীল তরল পান করলাম। কেমন ঝাঁজাল স্বাদ। কিন্তু দুই মিনিট পার হওয়ার পরও কারও মধ্যে ওড়ার লক্ষণ দেখা গেল না। প্রায় পাঁচ মিনিট এভাবে কাটার পর মামা বললেন, ‘আমার তো ওজন বেশি, এ জন্য মনে হয় হচ্ছে না। তুই পাখির ডানা ঝাপটানোর মতো তোর হাত দুটো দিয়ে বাতাস ঠেলে ওড়ার চেষ্টা কর।’
আমি করলাম, কিন্তু কিছুই হলো না। পরে মামা আমাকে আরও এক ডোজ নীল ওষুধ খাওয়ালেন। তারপর নানা কায়দায় আমার হাতকে পাখির পাখার মতো ব্যবহারের চেষ্টা করলেন এবং করতেই থাকলেন। তাঁর ধারণা, ওষুধটা কাজ করতে একটু সময় নিচ্ছে। একটু পর দুজনই ঠিক উড়তে পারব।
সে যাত্রায় আর মামা-ভাগনের ওড়া হয়নি। তবে আমাকে তিন দিন পেটের অসুখে ভুগতে হয়েছিল। ছোট মামা অবশ্য ফের গবেষণায় লেগেছেন। এবার তাঁর ওষুধ আর ব্যর্থ হবে না বলে ঘোষণাও দিয়ে রেখেছেন। দেখা যাক কী হয়!
No comments