ভারতের পর এবার চীনের চন্দ্রাভিযান
ভারতের পর এবার চন্দ্র অভিযানের পথে নেমেছে চীন। বিশ্বশক্তি হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার অভিপ্রায়ে চীন আগামী মাসে প্রথমবারের মতো মনুষ্যবিহীন মহাকাশযান চাঁদে পাঠাবে। চাঁদে বসবাসকারী চীনা রূপকথার একটি চরিত্রের নামে মহাকাশযানটির নাম রাখা হয়েছে ‘উতু’। মঙ্গলবার চীনা কর্মকর্তারা এ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বলে বুধবার জানিয়েছে বিবিসি অনলাইন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনারা মহাশূন্য কর্মসূচিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখিয়েছে।
জুনে চীনের তিনজন নভোচারী পৃথিবীর চারদিকে কক্ষপথে ১৫ দিন ধরে অবস্থান করে। এ সময় তারা তাদের মহাশূন্যযানটি মহাশূন্যের একটি পরীক্ষামূলক গবেষণাগারের নোঙ্গর (ডকিং) করে। দেশটি ২০০৭ সালে চাঁদের চারদিকে প্রদক্ষিণ করার জন্য ‘চ্যাঙ্গি’ নামের একটি মহাশূন্যযান পাঠিয়েছিল। চাঁদের পৃষ্ঠে চ্যাঙ্গির পরিকল্পিত ধ্বংসের আগে এটি ১৬ মাস ধরে চাঁদকে প্রদক্ষিণ করে। উতুর উৎক্ষেপণ ডিসেম্বরের প্রথম দিকে করা হবে বলে জানিয়েছেন চীনা কর্মকর্তারা। তবে নির্দিষ্ট কোনো তারিখের ঘোষণা দেয়া হয়নি। সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোলে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি উতু চাঁদের বুকে নামবে বলে জানিয়েছেন তারা। উতু থেকে একটি অবতরণকারী যান একটি রোভারকে নিয়ে চাঁদের পৃষ্ঠে ঘুরে বেড়াবে। তিনমাস ধরে চাঁদের রঙধনু উপসাগর নামে পরিচিত এলাকায় নমুনা সংগ্রহ করবে রোভারটি। ইন্টারনেটে লাখ লাখ মানুষের মতামত নিয়ে উতু নামটি গ্রহণ করা হয় বলে জানিয়েছেন চীনা কর্মকর্তারা। রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের পর চীনই একমাত্র রাষ্ট্র যারা নিজ উদ্যোগে মহাশূন্যে মানুষ পাঠাতে পেরেছে।
No comments