বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম- সরকারকে ধন্যবাদ

একটা ব্যাপার সবারই নজর কেড়েছে, তা হলো প্রতিবছরের মতো এবারও রমজান উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। অনেকে বলবেন, এই সেরেছে! তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। যা হচ্ছে, জনগণের ভালোর জন্যই হচ্ছে।


আপনি মানেন আর না মানেন, একটা কথা কি জানেন? জনগণের ক্ষতি হয়—এমন কিছু আমাদের সরকার কখনোই করে না, করতে পারে না। আলু, ডাল, ছোলা, চিনি (প্যাকেট অথবা খোলা) ইত্যাদি যা যা আমরা কিনি, প্রতিদিনই সেগুলোর দাম বেড়েছে বলে সমালোচনার মুখে পড়েছে সরকার। কিন্তু আসল কথাটা জানা দরকার। রমজান মাস সংযমের মাস। অনেকেই সেহির কিংবা ইফতারে বিপুল পরিমাণ খাবারের আয়োজন করেন। এতে সংযম পালন পূর্ণতা পায় না। কিন্তু আমাদের সরকার এমনটা চায় না। তাই দেশের জনগণকে কীভাবে প্রকৃত সংযম পালনে উদ্বুদ্ধ করা যায়, তা নিয়ে তারা ব্যাপক চিন্তাভাবনা করেছে। সবশেষে একটা আইডিয়া তাদের বেশ মনে ধরেছে, সেটা হলো আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেওয়া। সরকার বুঝতে পেরেছিল, দাম বাড়ালে জনগণের মধ্যে সংযমের চেতনা গড়ে উঠবেই। যে ব্যক্তি আগে ২০০ টাকা দিয়ে একটা আস্ত গ্রিল মুরগি কিনত, সে এখন ২০০ টাকা দিয়ে অর্ধেক গ্রিল মুরগি কিনবে। ফলে সংযমের মাসে আর হবে না ব্যাপক আহার। কী চমৎকার! আসলে আমাদের সরকার যে কত ভালো, কত দেশপ্রেমিক, এ ঘটনাই তা প্রমাণ করল। অন্যান্য দেশ হলে ঠিকই সবকিছুর দাম কমিয়ে দিত। কিন্তু আমাদের সরকার জিনিসপত্রের দাম কমায় না। আমরা এখন দামি জিনিসপত্র কিনি। আমাদের কোনোভাবেই আর গরিব দেশ বলা যায় না। সরকার এটাই চেয়েছিল, যাতে কূটকৌশলে আমাদের আর কেউ গরিব না বলে। তবে এত কিছুর পরও এ দেশের নিয়ম অনুযায়ী বাইরে এমনকি ঘরেও দাম বাড়ানোয় সরকারকেই দায়ী করছেন অনেকে। এটাই স্বাভাবিক। যত দিন সরকার থাকবে, তত দিনই থাকবে সরকারবিরোধীরা। তারা পজিটিভ দিকগুলো খোঁজে না। ভালো জিনিসের দাম যে একটু বেশি হবেই—এটাও তারা বোঝে না। যা-ই হোক, দাম বাড়ানো নিয়ে আর কথা বাড়িয়ে লাভ নেই। জনগণের জন্য এত চমৎকার একটা পদক্ষেপ নেওয়ায় সরকারকে অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা। বিদায়!

No comments

Powered by Blogger.