সেনা মোতায়েন না হলে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে নাঃ তৈমুর

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি-সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার। তাঁর অভিযোগ, বিএনপির গণজোয়ারে ভীত হয়ে ক্ষমতাসীন দল তাদের প্রার্থীকে জয়ী করার ষড়যন্ত্র করছে। গতকাল শুক্রবার নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিনে সাধারণ নাগরিকদের কাছে ভোট চাওয়ার পাশাপাশি তৈমুর আলম তাঁর এই আশঙ্কার কথা বলেন সাংবাদিকদের।
গতকাল শহরের মাসদাইর, গলাচিপাসহ বিভিন্ন এলাকায় তৈমুর আলম প্রচারণা চালান। এ সময় তিনি বলেন, নির্বাচিত হলে ১০০ বছরের মহাপরিকল্পনা নিয়ে উন্নয়নে নামবেন। তৈমুর আলম শহরের মাসদাইর শেরেবাংলা সড়কের পৈতৃক বাড়ি থেকে বের হয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মাসদাইর ও গলাচিপাসহ আশপাশের এলাকায় প্রচারণা চালান। দুপুরে গলাচিপা জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন এবং ডিআইটি জামে মসজিদ-সংলগ্ন এলাকায় মুসল্লিদের সঙ্গে কুশলবিনিময় করে আনারস মার্কায় ভোট চান। ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আগে তিনি কখনো নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছিলেন না। তাই এবার সুযোগ চান।
জুমার নামাজের আগে তৈমুর আলম সেনা মোতায়েনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানতে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান। সেখানে তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন।
সেখানে তৈমুর সাংবাদিকদের বলেন, ‘সেনা মোতায়েন নিয়ে বারবার টালবাহানা হচ্ছে। এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও বাকি দুজন নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে আমি সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছিলাম। তাঁরা বলেছিলেন, ২৮ অক্টোবর (গতকাল শুক্রবার) সকাল ছয়টা থেকে সেনা মোতায়েন করা হবে। কিন্তু নারায়ণগঞ্জের কোথাও এখন পর্যন্ত সেনা মোতায়েন হয়নি।’
তৈমুর আলম বলেন, ‘সেনা মোতায়েন না হলে নারায়ণগঞ্জে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সেনা মোতায়েন না হওয়ায় আমার উদ্বেগের কথা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।’
তৈমুর বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন যদি সরকারের ফাঁদে পা দিয়ে সেনা মোতায়েন না করে, তাহলে জাতি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। কারণ এ নির্বাচন একটি জাতীয় ইস্যু।’
সেনা মোতায়েন না হলে কি নির্বাচন করবেন না—এমন প্রশ্নের জবাবে তৈমুর বলেন, ‘বারবার নির্বাচন বর্জনের কথা কেন আসছে? আমরা শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকতে চাই।’
শামীম ওসমানের জঙ্গি হামলার আশঙ্কা প্রসঙ্গে তৈমুর সাংবাদিকদের বলেন, ‘শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা করেছেন। তিনি নাকি এ ব্যাপারে শত ভাগ নিশ্চিত। কিন্তু তিনি কোন সূত্রে এ বিষয়টি জানতে পারলেন, তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো উচিত। আর পুলিশের উচিত হুমকির উৎস খুঁজে বের করা। এ জন্য শামীম ওসমানকে প্রয়োজনে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।’
ভোটারদের উদ্দেশে তৈমুর বলেন, নির্বাচিত হলে নারায়ণগঞ্জে সব শ্রেণীর লোকজনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সবার মতামতের ভিত্তিতে ১০০ বছরের জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করে সুশৃঙ্খলভাবে কাজ করবেন।
নির্বাচনী প্রচারকালে তৈমুরের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ নগর উন্নয়ন কমিটির আহ্বায়ক সাবেক সাংসদ আবুল কালাম, বিএনপির নেতা আনোয়ার হোসেন খান, আনিসুল ইসলাম, এ টি এম কামাল, জান্নাতুল ফেরদৌস প্রমুখ।

No comments

Powered by Blogger.