বাণিজ্যিকীকরণের থাবায় ইস্ট বেঙ্গল ইনস্টিটিউশন বিপর্যস্ত by আপেল মাহমুদ

বাণিজ্যিক আগ্রাসনের থাবায় পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইস্ট বেঙ্গল ইনস্টিটিউশনের অস্তিত্ব এখন হুমকির মুখে। প্রায় দুই বিঘা আয়তনের খেলার মাঠে গড়ে তোলা ১৩ তলা বিপণিবিতানের আয়-ব্যয়, দখল-পাল্টাদখল, মামলা-মোকদ্দমা_এসবের খেসারত দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা। আর এ ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষকই 'নাটের গুরু' হয়ে সমস্যা জিইয়ে রেখেছেন বলে অভিযোগ তোলা হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন মহল থেকে। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন এভিনিউয়ের ইস্ট বেঙ্গল স্কুলের শিক্ষার মান নিয়েও অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন। গত কয়েক বছরে মাধ্যমিক পরীক্ষাগুলোয় একজন শিক্ষার্থীও জিপিও ৫ পায়নি।

স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শত বছর বয়সী এ প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ ছিল এলাকাবাসীর নিঃশ্বাস নেওয়ার একমাত্র খোলা জায়গা। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও সদরঘাট এলাকার ছেলেমেয়েরা এ মাঠে খেলাধুলা করত। বয়স্করা সকাল-বিকেল হাঁটাহাঁটি করতেন। ২০০০ সালের মাঝামাঝি মাঠে বিপণিবিতান নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হলে সে সুবিধা থেকে সবাই বঞ্চিত হয়। স্কুলটির অস্তিত্বও হুমকির মুখে পড়ে। এখন বিপণিবিতান আর দোকানপাটের কারণে বিদ্যালয় ভবনটি চোখে পড়ে না। পুরো বিদ্যালয় ক্যাম্পাসটি একরকম হাটবাজারে পরিণত হয়েছে।
বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ জালালউদ্দিন মিয়া তা স্বীকার করে বলেন, অতীতে পরিচালনা পর্যদের সহযোগিতায়ই বিদ্যালয়ের ২০০ কোটি টাকার জমি সুমনা প্রাইভেট লিমিটেডকে উন্নয়নের জন্য দেওয়া হয়। কিন্তু অভ্যন্তরীণ নানা কোন্দলের কারণে ২০১১ সালেও বিপণিবিতানটি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বুঝে পায়নি।
এ ব্যাপারে সুমনার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. সিরাজুল ইসলাম বলেন, তিনি যেকোনো সময় বিপণিবিতানটি বিদ্যালয়কে বুঝিয়ে দিতে প্রস্তুত। কিন্তু বিদ্যালয়ে বারবার অ্যাডহক কমিটি সৃষ্টি করে সে পথ বন্ধ করা হচ্ছে। কারণ কোনো অ্যাডহক কমিটির কাছে বিদ্যালয়ের এত বড় সম্পদ বুঝিয়ে দেওয়া আইনসিদ্ধ নয়।
দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ এভিনিউয়ের বর্ষীয়ান বাসিন্দা হেমায়েত উদ্দীন ভুঁইয়া বলেন, দুই দলের কোন্দলের কারণে ১৯১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী এ বিদ্যাপীঠে লেখাপড়ার কোনো পরিবেশ আর অবশিষ্ট নেই। নেই বিদ্যালয় পরিচালনার জন্য নিয়মিত কোনো পর্ষদ। আইন অমান্য করে গত পাঁচ বছরে পাঁচবার অ্যাডহক কমিটি গঠন করে সমস্যা আরো বাড়ানো হয়েছে। স্বয়ং প্রধান শিক্ষক এসব সমস্যার মূল হোতা বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঢাকা ব্রাহ্ম সমাজের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত ইস্ট বেঙ্গল ইনস্টিটিউশনের (উচ্চ বিদ্যালয়) জন্য সাড়ে তিন বিঘা জমি দান করেছিলেন বাংলাবাজারের জমিদার সুধীরচন্দ্র দাস। আর আসবাবপত্র ও আলমিরা নির্মাণ করে দেন বাংলার গভর্নর লর্ড কার্জন। প্রতিষ্ঠার দুই বছরের মাথায় ১৯১৮ সালেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনুমোদন ও মঞ্জুরিপ্রাপ্ত হয় প্রতিষ্ঠানটি। তখন থেকেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত মেট্রিক পরীক্ষায় ইস্ট বেঙ্গল ইনস্টিটিউশন বেশ ভালো ফল করে আসছিল। সেই সোনালি সাফল্য আজ আর ধরা দেয় না।
কোন্দলের শুরু যেখান থেকে : অনুসন্ধানে জানা যায়, ১৩ তলা বিপণিবিতান ও বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের জন্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ডেভেলপার কম্পানি সুমনা প্রাইভেট লিমিটেডের চুক্তি হয়। দোকান বিক্রি করে যে লাভ হবে তার ৬০ ভাগ টাকা সুমনা ডেভেলপার আর ৪০ ভাগ টাকা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পাবে। কিন্তু ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে বিদ্যালয়ের জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এমনকি জমির মালিকানা নিয়ে আদালতে মামলা দায়েরের ঘটনাও ঘটে। তখন তিন কোটি টাকা দিয়ে সে বিরোধ নিষ্পত্তি করা হয়। এ টাকা দেয় সুমনা ডেভেলপার কম্পানি। ফলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সুমনার লাভের অংশ ১০ ভাগ বাড়িয়ে ৭০ করে দেয়। এ ব্যাপারে সুমনা ডেভেলপার কম্পানির চেয়ারম্যান ডা. সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ ক্ষেত্রে সুপরিকল্পিতভাবে সমস্যা সৃষ্টি করে একটি মহল আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার চেষ্টা করছে। এ মহলের সঙ্গে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সাবেক সদস্য এবং বর্তমান প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ জালালউদ্দিন মিয়া জড়িত রয়েছেন।
সুমনার সঙ্গে চুক্তির পর আরেকটি ডেভেলপার কম্পানি থেকে ৭০ লাখ টাকা নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। জানা যায়, বিদ্যালয়ের প্রবেশপথ এবং আশপাশের প্রায় আধা বিঘা খালি জমিতে বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের চেষ্টা চলছে। বর্তমান অ্যাডহক কমিটি যাতে এ চুক্তির বিরোধিতা না করে, তার জন্য নিজস্ব লোকজন দিয়ে প্রধান শিক্ষক কমিটি গঠন করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
পাঁচ বছরে পাঁচ অ্যাডহক কমিটি : পূর্ণাঙ্গ কমিটি না করে বারবার অ্যাডহক কমিটির মাধ্যমে ইস্ট বেঙ্গল ইনস্টিটিউশন পরিচালনা করা হচ্ছে। আইনগতভাবে অবৈধ হলেও দীর্ঘ পাঁচ বছরেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হয়নি। এর পেছনে একটি মহলের স্বার্থ কাজ করছে বলে বিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষক ও ছাত্ররা মনে করছে। বিশেষ করে বিপণিবিতানের সমস্যাটি জিইয়ে রাখা, নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ, পুরনো শিক্ষকদের চাকরিচ্যুত করা, ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখা এবং ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে তহবিল তছরুপ করার জন্য প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ জালালউদ্দিন মিয়া কৌশলে এ 'অ্যাডহক কমিটি-কমিটি' খেলা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক কালের কণ্ঠকে বলেন, সব কিছু স্বচ্ছতার ভিত্তিতে করা হচ্ছে।
শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিদ্যালয় পরিচালনার জন্য একটি নিয়মিত কমিটি করার জন্য তাঁরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, স্থানীয় এমপি, জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করে আসছেন অনেক দিন ধরে। কিন্তু সম্প্রতি পরিচালনা পর্ষদ না করে একইভাবে আরেকটি অ্যাডহক কমিটি করা হয়েছে এডিসিকে (শিক্ষা) সভাপতি করে। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কিরণ শংকর সাহা বলেন, একটি নিয়মিত পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হলে বিদ্যালয়ের কোনো সমস্যাই থাকবে না। এমনকি বিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরে আসবে। তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে ওই বিদ্যালয়ে চাকরি করার পরও তাঁকে ছয় হাজার টাকা বেতন দেওয়া হচ্ছে। সহকারী প্রধান শিক্ষকের বেতন সাড়ে চার হাজার টাকা। অথচ প্রধান শিক্ষক বেতন নিচ্ছেন ৩৫ হাজার টাকা।
সহকারী শিক্ষক জিল্লুর রহমান জানান, বর্তমানে বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রী মাত্র ৬৫০ জন। অথচ শিক্ষক রয়েছে ৪৬ জন। সম্প্রতি কিছুদিনের ব্যবধানে ২৩ জন নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এখন প্রতি ১৩ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন শিক্ষক আছেন। সহকারী শিক্ষক নাছির উদ্দিন বলেন, একদিকে নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, অপর দিকে বিনা নোটিশে চারজন শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তা ছাড়া কয়েকজন শিক্ষকের বেতন রহস্যজনকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। মূলত এসব বিতর্কিত কর্মকাণ্ড নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে অ্যাডহক কমিটি।
তিনি একাধারে চেয়ারম্যান : প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ জালালউদ্দিন মিয়া বর্তমানে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর থানার বীরতারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। তবে দুই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তাঁর পক্ষে কোনোটিই আর করা হয়ে ওঠে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
বর্তমানে বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকদের মধ্যে কোন্দল প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে বলে বিদ্যালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই স্বীকার করেন। একটি হলো প্রধান শিক্ষক জালালউদ্দিন গ্রুপ, আরেকটি হলো সহকারী শিক্ষক শহীদুল্লাহ গ্রুপ। সহকারী শিক্ষক শহীদুল্লাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বর্তমান প্রধান শিক্ষকের অযোগ্যতার কারণেই বিদ্যালয়ের বিপণিবিতানের সমস্যাটা দীর্ঘদিন ধরে জিইয়ে আছে। তিনি চেয়ারম্যানগিরি করবেন না প্রধান শিক্ষকের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবেন_সেটা আগে ঠিক করতে হবে।' তা ছাড়া শিক্ষা অধিদপ্তরের আইন অনুযায়ী একজন প্রধান শিক্ষক কখনো ইউপি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করতে পারেন না। এ ক্ষেত্রে তিনি প্রচলিত আইনও মানছেন না, যা একজন শিক্ষকের জন্য নীতিবহির্ভূত কাজ। তিনি অভিযোগ করেন, তাঁর এসব অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করার কারণে গত এক বছর ধরে তাঁর বেতন আটকিয়ে রাখা হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক হিসেবে ইস্ট বেঙ্গল ইনস্টিটিউশনে মোহাম্মদ জালালউদ্দিন মিয়ার নিয়োগ বৈধ নয় বলে মতামত দেওয়া হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর থেকে। যার কারণে গত ২০০৯ সালের ১৫ এপ্রিল এক চিঠিতে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা পরিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর মাহফুজা খাতুন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান। তা ছাড়া ওই অধিদপ্তরের শিক্ষা পরিদর্শক মো. জসিমউদ্দিন, সহকারী শিক্ষা পরিদর্শক শফি মাহমুদ এবং অডিট অফিসার মো. আবদুল গফুর যৌথভাবে একটি তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করেন। সে তদন্ত প্রতিবেদনে তাঁর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বেতন-ভাতার সরকারি অংশ স্থগিত করার সুপারিশ করা হয়। কিন্তু এ সুপারিশ এখনো পর্যন্ত কার্যকর হয়নি।
বিদ্যালয় পরিদর্শক শাহেদ খবিরুল চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, বিদ্যালয়টির সমস্যার কোনো শেষ নেই। প্রধান শিক্ষক একই সঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন না। তবে তিনি উচ্চ আদালত থেকে নির্দেশনা নিয়ে নির্বাচন করেছেন বলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি। খবিরুল চৌধুরী বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন পরিপত্র অনুযায়ী কোনো অ্যাডহক কমিটি বিদ্যালয়ের নীতিনির্ধারণী কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। তারা শুধু নির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদ গঠন এবং বিদ্যালয়ের দৈনন্দিন কার্যপ্রণালী দেখভাল করার ক্ষমতা পায়। বারবার অ্যাডহক কমিটির বিষয়টিও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিতে বৈধ নয়। এরপর নানা কারণে কিছু শর্তের বিনিময়ে একাধিকবার অ্যাডহক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
আরেক কম্পানির সঙ্গে চুক্তি : সম্প্রতি স্কুলে গিয়ে ফটক দিয়ে প্রবেশ করার পর সামান্য খালি জাগয়ার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়। কয়েকজন শিক্ষার্থী কালের কণ্ঠকে বলে, এখানে লেখাপড়া করতে এসে দম বন্ধ হয়ে যায়। এখন শোনা যাচ্ছে, এ খালি জায়গায় আরেকটি বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ করার জন্য প্রধান শিক্ষক এবং অ্যাডহক কমিটি নানাভাবে চেষ্টা-তদবির করছে।
জানা যায়, সুমনা ডেভেলপারের সঙ্গে চুক্তিপত্র অনুযায়ী বিদ্যালয়ের ফটকের বা পাশের খালি জায়গায় প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ করে দেওয়ার কথা। কিন্তু সে চুক্তি লঙ্ঘন করে বিদ্যালয়ের বর্তমান অ্যাডহক কমিটি আর্থ প্রপার্টি নামে একটি ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের চুক্তি করেছে। চুক্তির পর ও কম্পানির কাছ থেকে 'সালামি' বাবদ ৭০ লাখ টাকা নেওয়া হয়েছে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে। বিষয়টি স্বীকার করে প্রধান শিক্ষক কালের কণ্ঠকে বলেন, বিদ্যালয়ের স্বার্থে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা জানান, ফটকে এবং খালি জমিতে বাণিজ্যিক ভবন করা হলে বিদ্যালয়টি একটি গোডাউনে পরিণত হবে। এমনিতেই বিরূপ পরিবেশের কারণে দিনের পর দিন শিক্ষার্থী কমে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করার জন্য তখন আর শিক্ষার্থী পাওয়া যাবে না।
এ অভিযোগ সম্পর্কে প্রধান শিক্ষক বলেন, বিদ্যালয়ের ফটকের পাশে বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের চুক্তি করা হলেও খালি জমিতে স্থাপনা নির্মাণের কোনো পরিকল্পনা তাঁদের নেই।
এদিকে বর্তমানে বিদ্যালয়ের ফটকের অধিকাংশ জায়গা বন্ধ করে সেখানে একটি হোটেল গড়ে তোলা হয়েছে। শিক্ষকদের অভিযোগ, এ খাত থেকে মাসে ১৫ হাজার টাকা ভাড়া তোলা হলেও বিদ্যালয় তহবিলে জমা দেওয়া হচ্ছে মাত্র পাঁচ হাজার টাকা।

No comments

Powered by Blogger.