লিবিয়ার বিদ্রোহীদের অর্থ দেওয়ার অঙ্গীকার

লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির ওপর চাপ সৃষ্টি করতে বিদ্রোহীদের আরও অর্থ দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে পশ্চিমা ও আরব বিশ্বের কয়েকটি দেশ। এর আগে লিবিয়ার বিদ্রোহীরা জানায়, আগামী চার মাসে তাদের ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার প্রয়োজন।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস গতকাল শুক্রবার সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, সামরিক জোট ন্যাটোর সব সদস্যরাষ্ট্র সামরিক সহায়তা না দেওয়ায় লিবিয়া অভিযান বিপদগ্রস্ত হয়ে উঠতে পারে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ গতকাল বলেছেন, লিবিয়া-সংকট সমাধানে প্রাথমিক ‘রূপরেখা’ নিয়ে ত্রিপোলি যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে বৈঠকের পর লিবিয়ার বিদ্রোহীদের সহায়তা দেওয়ার অঙ্গীকার করা হয়। এ ছাড়া গাদ্দাফি-পরবর্তী লিবিয়ায় সহায়তা দেওয়ার বিষয়েও আলোচনা করা হয়। বৈঠকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনসহ যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইতালি, জর্ডান, কুয়েত ও কাতারের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
হিলারি বলেন, ‘সময় যত পার হচ্ছে, আমাদের ঐক্যের গুরুত্বও তত বেড়ে যাচ্ছে। এখন আমাদের সময়। গাদ্দাফির ওপর চাপ অব্যাহত রাখার বিষয়টি আমাদের মনে রাখতে হবে।’
ইতালি লিবিয়ার বিদ্রোহীদের ৫৮ কোটি ৬০ লাখ, ফ্রান্স ৪২ কোটি ও কুয়েত ১৮ কোটি মার্কিন ডলার দেওয়ার অঙ্গীকার করে।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী গেটস গতকাল ব্রাসেলসে বলেন, ন্যাটোর সব দেশ লিবিয়া অভিযানে অংশ নিচ্ছে না। কারণ তারা অংশ নিতে চায় না। তাই ন্যাটো লিবিয়া অভিযানে বিপদগ্রস্ত হতে পারে। ২৮টি সদস্যরাষ্ট্রের জোট ন্যাটোর অর্ধেকই এই অভিযানে অংশ নিচ্ছে না।
লিবিয়ার বিদ্রোহীদের দখলে থাকা বেনগাজি সফর শেষে ত্রিপোলি যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট মেদভেদেভের বিশেষ দূত মিখাইল মার্গেলভ। তিনি জানান, একটি রূপরেখা নিয়ে ত্রিপোলিতে যাচ্ছেন। এই রূপরেখা দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনার পথ তৈরির সুযোগ থাকছে।

No comments

Powered by Blogger.