রাজনৈতিক আলোচনা- 'উন্মত্ত নৈরাজ্যের শক্তি বনাম সোনালি সম্ভাবনা' by শুভ রহমান

রতাল ব্যর্থ। তার পরও বিএনপির চৈতন্যোদয় হবে কি না কেউ জানে না। মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) ছিল এ আমলে বিএনপির তৃতীয় হরতাল। এ হরতালের প্রস্তুতিকালে আগের ধারায় রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে জ্বালাও-পোড়াও, ভাঙচুর করা হয়েছে। হরতালের দিন কার্যত পুলিশ অ্যাকশনই হরতাল করে দিয়েছে। আপাত শান্তিপূর্ণ এ হরতাল বাস্তবে জনগণ প্রত্যাখ্যানই করেছে। দেশ যখন স্পষ্টত উজ্জ্বল সম্ভাবনার দিকে দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন নৈরাজ্যের শক্তি উন্মত্ত ধ্বংসযজ্ঞে মেতে উঠেছে।
স্পষ্টত, বাড়ি কোনো ইস্যু ছিল না, হরতাল, মায়াকান্না_এসবও কিছু নয়, আসল কথা হচ্ছে একটি নৈরাজ্য সৃষ্টি করে এ সরকারকে টেনে নামাতে হবে। তার অর্জন ও সাফল্যকে ধ্বংস করে দিতে হবে। একটা ব্যর্থরাষ্ট্র প্রমাণ করে এ দেশকে আবার কার্যত পরাধীনতার শৃঙ্খলেই আবদ্ধ করতে হবে। সে জন্যই চোখ-কান বন্ধ করে মানুষের চরম দুর্গতি ঘটিয়ে ব্যর্থ করে দিতে হবে গণতন্ত্রকে। প্রতিবেশী দেশে যেখানে সাংসদরা সংসদে না গেলে ভাতা ইত্যাদি নেন না, সেখানে কোনো চক্ষুলজ্জা ও নৈতিকতার বালাই না রেখে একদিকে চলছে অযৌক্তিক সংসদ বর্জন, সেইসঙ্গে অন্যদিকে ভাতা, বিদেশ ভ্রমণসহ সব সুযোগ-সুবিধা নির্বিবাদে গ্রহণ করে চলার এক নির্লজ্জ সংস্কৃতি। একটা রেকর্ডই সৃষ্টি হচ্ছে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রধান অংশীদার বিরোধী দলের। ইতিহাস তো একদিন প্রশ্ন করবে, এ কেমন বিরোধী দল? সরকার হরতাল গণতান্ত্রিক অধিকার হিসেবে মেনে নেওয়ার পরও কি করে হরতালকে কেন্দ্র করে গাড়ির পর গাড়ি পোড়ানো চলতে পারে, মানুষ তা বুঝতে অক্ষম। ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত হলেও সরকার আটক করে তা থেকে নিবৃত্ত করার চেষ্টাটুকুও করবে না, এমন প্রত্যাশা কি কোনো গণতান্ত্রিক শক্তির থাকতে পারে!
হরতাল কি সময়-অসময় মানবে না! পরীক্ষার্থীদের কথা ভাবা হবে না, ব্যবসা-বাণিজ্যের কথা, খেটে খাওয়া মানুষের কথা, জাতীয় সম্পদের কথা, বিদেশি মেহমানের কথা, দেশে বিদেশি বিনিয়োগের স্বার্থের কথা_কিছুই ভাবা হবে না, শুধুই হরতাল করতে হবে? দেশ উন্নতির সড়ক ধরে ছুটে যাচ্ছে_তাকে সর্বশক্তি দিয়ে পেছনে টেনে ধরতে হবে? এর পরও কি দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না?
আমরা দেখলাম, অন্ধ ও বধির সেজে মরিয়া হয়ে, প্রচণ্ড আক্রোশ নিয়ে আরো একটি হরতাল করে ফেলা হলো। সরকারকে বাহবাই দেব আমরা, তার পরও কী চমৎকারভাবেই, কী জাদুকরী কৃতিত্ব প্রদর্শন করেই বিদেশি বিনিয়োগ সরকার ধরে রাখতে সক্ষম হচ্ছে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতির সাফল্যকে ম্লান হতে দিচ্ছে না। অব্যাহতই রয়েছে, অন্তত তিনটি সুনির্দিষ্ট ক্ষেত্রে_পাট, জাহাজ নির্মাণ শিল্প আর পদ্মা সেতুর ক্ষেত্রে অর্জিত অগ্রগতি। তার ওপর, পদ্মা সেতুর ব্যাপারে তো জাপানের প্রতিশ্রুত ৩০ কোটি ডলারের সাহায্য বর্ধিত হয়েছে ৪০ কোটি ডলারে। এ অবস্থায় নৈরাজ্যের শক্তির উন্মত্ততার কারণটা দেশবাসীর বুঝতে কষ্ট হয় না।
এ তিনটি খাত নিয়ে আমরা নাতিবিস্তর আলোচনা করি।
পাট
প্রথমে আদমজী জুট মিল ও তারপর একের পর এক অনেক পাটকল বন্ধ করে লাখ লাখ শ্রমিককে বেকার করে পাট শিল্প ধ্বংস করে দিয়ে গেছে বিগত জোট সরকার। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বর্তমান মহাজোট সরকারই পাটের সুদিন ফিরিয়ে আনছে। পাট গবেষণায় সব রকম বাস্তব উৎসাহ জুগিয়ে বিজ্ঞানী মাকসুদুল আলমের নেতৃত্বে পাটের জেনম সিকোয়েন্স বা জন্মরহস্য উদ্ঘাটনের মাধ্যমে পাটের হৃতগৌরব পুনরুদ্ধারে ব্রতী হয়েছে এ সরকার। পরাধীন আমলে যে পাট শিল্প ছিল দেশের প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী শিল্প এবং যার আয় চলে যেত পশ্চিম পাকিস্তানে, আজ স্বাধীন দেশে তার আয় পুরোপুরি দেশের সমৃদ্ধিতে লাগানোর সুযোগ থাকার পরও তাকে অবহেলিত রাখা কোনো দেশপ্রেমিকের কাজ হতে পারে না। সে বোধ থেকেই সরকার পাট খাতকে চাঙ্গা করতে উঠেপড়ে লেগেছে। ভারত যেখানে পাটের বিশ্ববাজারে আমাদের চেয়ে পিছিয়ে ছিল, আমাদের নিজেদের উপেক্ষা-অবহেলায় আজ সে দেশ এগিয়ে গেছে। আজ আবার আমাদের আগের অবস্থায় ফিরে আসার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। গত জুন মাসে পাটের জন্মরহস্য আবিষ্কারের যুগান্তকারী তথ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে বলেছিলেন : এ আবিষ্কারের ফলে বাংলাদেশ বিশ্বের গুটিকয়েক দেশের কাতারে নাম লেখালো। উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে মালয়েশিয়ার পর বাংলাদেশই দ্বিতীয় দেশ, যারা জেনম সিকোয়েন্স উদ্ঘাটনে সক্ষম হয়েছে। তিনি ঘোষণা করেছিলেন : পাটের জন্মরহস্য পাটের আঁশকে উন্নত করতে সক্ষম হবে। আমরা পাটের হৃতগৌরব পুনরুদ্ধারে সক্ষম হব। এটা অর্থনীতিতে বিশাল অবদান রাখবে। (কালের কণ্ঠ, ১৭.৬.২০১০)।
ওই সময়ই পত্রিকান্তরে খবর দেওয়া হয় : বন্ধ পাঁচটি পাটকল চালু হচ্ছে। জুলাই মাসেই পাটকলের জন্য পাট কিনতে দেওয়া হচ্ছে ৩৫ কোটি টাকা। এসব পাটকল চালু হলে প্রত্যক্ষভাবে ১২ হাজার মানুষ কাজের সুযোগ পাবে। সে সময় তথ্য দেওয়া হয়েছিল, আন্তর্জাতিক অর্থলগি্নকারী সংস্থাগুলো বন্ধ পাটকলগুলো চালুর সরকারি উদ্যোগকে সাধুবাদ জানায়নি। সেগুলো চালু করতে হচ্ছে সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে। সচেতন অর্থনীতিবিদদের মতে, বিশ্বব্যাংক 'ষড়যন্ত্র' করে বাংলাদেশের পাটকলগুলো বন্ধ করতে পরামর্শ দিয়েছিল। তৎকালীন সরকারগুলো ধারাবাহিকভাবে বিশ্বব্যাংকের ফাঁদে পা দেয় এবং একের পর এক পাটকল বন্ধ করে দেয়।
আদমজীসহ বন্ধ পাঁচটি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল চালুর সরকারি উদ্যোগের খবর গত অক্টোবরেই কালের কণ্ঠে পরিবেশিত হয়। গত ১১ অক্টোবর এ পত্রিকার প্রতিবেদনে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর বরাত দিয়ে বলা হয় : বর্তমানে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে পাটের চাহিদা বেড়েছে বহু গুণ। এ বাড়তি চাহিদা সামাল দেওয়ার জন্যই বন্ধ হওয়া জুটমিলগুলো চালু করতে যাচ্ছে সরকার। পাশাপাশি কয়েক বছর ধরে পাটের দাম নিয়ে কৃষকের মধ্যে হতাশা ছিল। বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর কৃষকরা পাট চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। সর্বশেষ গত ২৯ নভেম্বর সোমবার কালের কণ্ঠের প্রতিবেদনে বলা হয় : চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়েছে। আবার গত এক বছরে স্থানীয় বাজারে পাটপণ্য বিক্রি বেড়েছে ১৭৬ শতাংশ বলেও প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে। আরো বলা হয়েছে, তুলার মতো পরিবেশবান্ধব হওয়ার কারণে একদিন পাটও বিশ্বদখল করবে। আন্তর্জাতিক বাজারে এ দেশের পাটের প্রতি আগ্রহও বাড়ছে। আবার দেশে কৃষকদের ভর্তুকি দেওয়ার পাশাপাশি উন্নতমানের বীজ সরবরাহ করে পাট উৎপাদন বৃদ্ধিতে সরকার উৎসাহ জোগাচ্ছে। পাটের সোনালি দিন ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সরকারের আন্তরিকতা ও চেষ্টার কোনো ত্রুটি নেই।
জাহাজ নির্মাণ শিল্প
পাটের মতো আরেকটি সোনালি সম্ভাবনার দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে জাহাজ নির্মাণ শিল্পের। প্রায় চমকে দেওয়ার মতো অতিসাম্প্রতিক একটি খবর হচ্ছে, গত ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড (ডবি্লউএমএস) আনুষ্ঠানিকভাবে দুটি আন্তর্জাতিক মানের জাহাজ জার্মান মালিকের কাছে হস্তান্তর করেছে। 'গ্রোনা অ্যামারসাম' ও 'গ্রোনা বিয়েসসাম' নামের এ দুটি জাহাজ 'মেড ইন বাংলাদেশ' লেখা ফলক ধারণ করে ছুটে চলবে বিশ্বের বন্দর থেকে বন্দরে। জাহাজ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে জার্মান কর্মকর্তা মার্টিন বিয়েসাল বলেন, এই বিরাট কারিগরি ও প্রকৌশল-সাফল্য দেখিয়ে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) গ্রুপ থেকে তার উত্তরণ ঘটিয়েছে। এটা সম্ভাবনাপূর্ণ জার্মান বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহী করে তুলবে। ডবি্লউএমএসের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন : জাহাজ নির্মাণ খাত দেশের বৃহত্তম বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। আগামী ছয় বছরের মধ্যে এ খাত দেশের জিডিপি অন্তত ৩ শতাংশ বৃদ্ধি করতে পারে।
আমাদের দেশের ভারী শিল্পে পিছিয়ে থাকার মধ্যে এ জাহাজ নির্মাণ শিল্পের বিশাল সম্ভাবনার প্রকাশ অবশ্যই এক হঠাৎ আলোর ঝলকানি।
পদ্মা সেতু
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বর্তমান জাপান সফর পদ্মা সেতুর জন্য প্রতিশ্রুত সাহায্যের পরিমাণ বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাহায্য-সহযোগিতার নবদিগন্ত উন্মোচন করে দিয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি ব্যাপকভাবে কমিয়ে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপানি প্রধানমন্ত্রী নাওতো কানকে জাপানের সঙ্গে একটি সমন্বিত অর্থনৈতিক চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাবও দিয়েছেন।
পদ্মা সেতু হবে বাংলাদেশের আরেক স্বপ্নের সেতু। যমুনা বঙ্গবন্ধু সেতু দেশের উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানী ঢাকা ও দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ ঘটিয়ে দেশের দুই অংশের মধ্যে বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক ও মানবিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে যুগান্তরের সূচনা করেছে। এবার পদ্মা সেতু তেমনি রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দেশের পূর্ব ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করে দেশের দারিদ্র্য বিমোচন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। সবচাইতে আশাব্যঞ্জক ব্যাপার, বাংলাদেশে বিরাজমান পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎ, অবকাঠামোগত দুরূহ সমস্যা সত্ত্বেও জাপানি প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিবেশ অত্যন্ত ভালো বলে মন্তব্য করেছেন এবং বলেছেন, ঢাকা আরো বেশি জাপানি বিনিয়োগ চাইতে পারে।
বাংলাদেশের সোনালি সম্ভাবনার মাত্র তিনটি সুনির্দিষ্ট ক্ষেত্রের উল্লেখ করা হলেও মহাজোট সরকারের বর্তমান মেয়াদে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের বিরল সম্মান ও সুনাম অর্জনের আরো ঘটনা ঘটে চলেছে। এশিয়ান গেমসে ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের স্বর্ণপদক জয় তার মধ্যে অনন্য।
দেখা গেছে, দেশে একটি সত্যিকার গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতাসীন থাকলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে, বিশেষ করে, খেলাধুলার আসরে, ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় দেশের ক্রীড়াবিদরা বিরল সাফল্য ও সম্মান নিয়ে ঘরে ফেরেন। ১৯৯৬-এ শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ই বাংলাদেশ প্রায় মুক্তিযুদ্ধে সাফল্য অর্জনের মতো আইসিসি টেস্ট স্ট্যাটাস অর্জন করে।
এখন আবার ক্ষমতায় একটি গণতান্ত্রিক সরকার থাকাতেই দেশ-বিদেশে খেলাধুলা, বিজ্ঞান, বাণিজ্য-অর্থনীতি প্রভৃতি ক্ষেত্রে যুগান্তকারী সব সাফল্য অর্জিত হয়ে চলেছে। মানুষ তার সুফল পাচ্ছে বা পাওয়ার সুস্পষ্ট আশ্বাস পাচ্ছে। একে তাই অব্যাহত রাখার মধ্য দিয়েই নৈরাজ্যিক ও জনবিচ্ছিন্ন সব ধ্বংসাত্মক প্রবণতাকে শুধু প্রতিহত নয়, গণতন্ত্রপ্রিয় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিশ্চিহ্ন করাও সম্ভব হবে। সংসদীয় গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ বিরোধী দলও বাধ্য হবে বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে গঠনমূলক ও দায়িত্বশীল বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে, অভিন্ন জাতীয় প্রশ্নে, জাতীয় উন্নয়নে সাহায্য-সহযোগিতার নীতি অনুসরণ করতে। বিশ্বের সব প্রকৃত গণতান্ত্রিক দেশ সেভাবেই এগিয়ে চলেছে। আমাদেরও এখন দরকার শুধু দেশপ্রেমের পতাকা সমুন্নত রেখে দেশ ও মানুষের সর্বোচ্চ কল্যাণসাধনের লক্ষ্যে ভ্রূক্ষেপহীনভাবে দৃঢ় পদক্ষেপে সামনে এগিয়ে যাওয়া। এর কোনো বিকল্প নেই।
==============================
আলোচনা- ''ট্রানজিট' না 'করিডোর' না 'কানেকটিভিটি'  আলোচনা- 'ওরাও মানুষ আছে ওদের অধিকার'  আন্তর্জাতিক- অং সান সু চির মুক্তি ও গণতন্ত্রের পথ  শিল্প-অর্থনীতি 'আঞ্চলিক রফতানি বাণিজ্য এবং বাংলাদেশ  স্মরণ- 'সিদ্ধার্থকে মনে পড়ে' by খুশবন্ত সিং  আলোচনা- প্রসঙ্গ:বেসরকারী চ্যানেলে বিটিভি'র খবর  আলোচনা- 'আজও পাহাড় অশান্ত'  আন্তর্জাতিক- 'চীনের দৃষ্টিতে এক হবে দুই কোরিয়া ইরাকে গণতন্ত্র চাননি মুবারক'  আন্তর্জাতিক- 'তরুণদের ভবিষ্যৎ মানে দেশের ভবিষ্যৎ'  রাজনৈতিক আলোচনা- 'খালেদা জিয়ার লিখিত অনাস্থা, আপিল বিভাগের নীরবতা'  রাজনৈতিক আলোচনা- 'কেউ কথা রাখেনি এবং গণতন্ত্রের বিকট চেহারা'  বক্তব্য- তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসাবে খায়রুল হককে প্রশ্নবিদ্ধ করাই তাদের উদ্দেশ্য  শিল্প-অর্থনীতি 'করমুক্ত থাকার নানা চেষ্টা নোবেল বিজয়ীর  অনাস্থা নয়, খালেদার আশঙ্কা ছিল ন্যায়বিচার না পাওয়ার  খেলা- 'বাংলাদেশ তো আসলে জিততেই চায়নি!'  আলোচনা- 'ড. ইউনূসের কেলেঙ্কারি!'  খেলা- 'বাংলাদেশকে মাটিতে নামাল জিম্বাবুয়ে'  'ধরিত্রীকে বাঁচাতে কানকুনে সফল হতেই হবে'  স্মরণ- 'চিত্রা ভট্টাচার্যের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি'  রাজনৈতিক আলোচনা- 'আওয়ামী লীগে মিলন ও বিচ্ছেদের নাটকখবর- উইকিলিকসের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র  রাজনৈতিক আলোচনা- 'প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ সমাজের প্রত্যাশা আলোচনা- 'পায়ে পড়ি বাঘ মামা, বেঁচে থাকো'  আন্তর্জাতিক- 'পুরনো বন্ধুকে ত্যাগ করতে প্রস্তুত চীন  আমরাই পারি 'দ্বিতীয় রাজধানী' গড়তে  খবর- পুলিশি হরতাল



দৈনিক কালের কন্ঠ এর সৌজন্যে
লেখকঃ শুভ রহমান


এই আলোচনা'টি পড়া হয়েছে...
free counters

No comments

Powered by Blogger.