যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় কমে যেতে পারে

সদ্য শেষ হওয়া ২০০৯-১০ অর্থবছরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি আগের অর্থবছরের চেয়ে কমে যেতে পারে। খবর ইউএনবির।
২০০৯-১০ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ২৮০ কোটি ২৮ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে।
আর ২০০৮-০৯ অর্থবছরে মোট রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৪০৫ কোটি ২০ লাখ ডলার।
তাই সদ্য শেষ হওয়া অর্থবছরের শেষ তিন মাসে ১২৫ কোটি ডলারের সমপরিমাণ পণ্য রপ্তানি অসম্ভব বলেই মনে করা হচ্ছে।
২০০৯-১০ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে যুক্তরাষ্ট্রে যে পরিমাণ পণ্য রপ্তানি হয়েছে, তা ওই সময়ে দেশের মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ২৫ শতাংশ।
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি বাজার।
২০০০-০১ অর্থবছর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ে উত্থান ও পতন দুই-ই দেখা গেছে।
পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০০০-০১ অর্থবছরে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে ২৫০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করে, যা ২০০১-০২ অর্থবছরে কমে ২২৮ কোটি ৯০ লাখ ডলারে দাঁড়ায়।
২০০২-০৩ অর্থবছরে এই রপ্তানি আরেক দফা কমে নেমে আসে ২১৫ কোটি ৫০ লাখ ডলারে।
আর ২০০৩-০৪ অর্থবছরে আরও কমে দাঁড়ায় ১৯৬ কোটি ৬৫ লাখ ডলারে।
তবে ২০০৪-০৫ অর্থবছরে তা লাফিয়ে উঠে যায় ২৪১ কোটি ২০ লাখ ডলারে।
এবং ২০০৫-০৬ অর্থবছরে তা আরও বেড়ে হয় ৩০৩ কোটি ডলার।
২০০৬-০৭ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ৩৪৪ কোটি ১০ লাখ ডলারে, যা ২০০৭-০৮ অর্থবছরে আরেকটু বেড়ে হয়েছে ৩৫৯ কোটি ডলার।
যুক্তরাষ্ট্রের পর জার্মানি হলো বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির দ্বিতীয় বৃহত্তম গন্তব্য।
২০০৯-১০ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে বাংলাদেশি পণ্য জার্মানিতে রপ্তানির বিপরীতে আয় হয়েছে ১৫৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার।
একই সময়ে ১০৯ কোটি ৪৪ লাখ ডলারের সমপরিমাণ পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে যুক্তরাজ্যে, যা বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির তৃতীয় বৃহত্তম গন্তব্য।

No comments

Powered by Blogger.