‘ডিয়েগো, থেকে যাও!

বিমানবন্দরে আসার মহাসড়কে দুই মাইল এলাকা ধরে সাধারণ লোকের চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পুরো এলাকা ঘিরে ফেলেছিল পুলিশ। উদ্দেশ্য, সমর্থকদের ঠেকানো। কিন্তু ঠেকানো গেল না। ঠিকই খেলোয়াড়দের দেখতে ভিড় জমিয়ে ফেলল হাজার হাজার মানুষ।
না, কর্তৃপক্ষের ভয় সত্যি হয়নি। আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের ওপর বা কোচ ডিয়েগো ম্যারাডোনার ওপর কোনো ক্ষোভ প্রকাশ করতে জড়ো হননি সমর্থকেরা। বরং নিদারুণ এই পরাজয়ের পরও হাজার সমর্থক এসেছিলেন গায়ে আকাশি-সাদা জার্সি পরে। মুখে স্লোগান ছিল, ‘আর্হেন্তিনা, আর্হেন্তিনা’ কিংবা ‘ডিয়েগো, ডিয়েগো’।
মেসি-তেভেজদের দল নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে চার গোল হজম করে বাড়ি ফিরতে হয়েছে আর্জেন্টিনাকে। আগের দিন দেশে ফিরে সমর্থকদের কাছ থেকে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পেয়েছে ব্রাজিল। আর্জেন্টিনার ক্ষেত্রেও সেটা হতে পারত। হতে পারত ডিয়েগো ম্যারাডোনার ওপর ক্ষোভ প্রকাশের একটা সুযোগ।
কিন্তু কোলে ছেলেকে নিয়ে হাজারো সমর্থকের ভিড়ে দাঁড়ানো একজন বললেন, ‘আমরা এতেই খুশি। আমি চাই ডিয়েগো থেকে যাক।’ ম্যারাডোনাকে আর্জেন্টিনার দায়িত্বে থেকে যেতে অনুরোধ করাই যেন এদিন জমাট ভিড়ের মূল লক্ষ্য ছিল।
এক ভদ্রলোক বলছিলেন, ‘আমি সেই ১৪০০ কিলোমিটার দূরের টাকুমান থেকে এসেছি শুধু ডিয়েগোকে একবার দেখব বলে। আমি আমৃত্যু তাঁকে ভালোবেসে যাব। আর প্রতিশোধ তো আমরা এই কোপা আমেরিকাতেই নিতে পারব।’
দেশের মাটিতে আগামী বছরের কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনা ‘প্রতিশোধ’ নিতে পারবে কি না সেটা সময় বলবে। সেই প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ম্যারাডোনা থাকবেন কি না, সেটাও বলা যায় না। কিন্তু আবেদনটা চলছেই। সমর্থকদের ভিড়ে বিশাল একটা ব্যানার টানানো, ‘ডিয়েগো থেকে যাও! আমরা তোমাকে সমর্থন করি।’
এই আবেদন ম্যারাডোনার জন্য ফেরানো তো কঠিন!

No comments

Powered by Blogger.