কড়া নিরাপত্তায় ফ্রান্সে ভোট শুরু

কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ফ্রান্সে রোববার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট হচ্ছে। সকাল ৮টায় (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা) ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হবে সন্ধ্যা ৭টায় (রাত ১১টা)। ভোট শুরুর মাত্র তিন দিন আগে বৃহস্পতিবার দেশটির রাজধানী প্যারিসে বন্দুকধারীর হামলায় পুলিশ সদস্য নিহত হন। এর ফলে নির্বাচনে বাড়তি সকর্তকা নেয়া হয়েছে। হামলার পর ফ্রান্সজুড়ে ৫০ হাজার পুলিশ এবং ৭ হাজার সেনাসদস্য মোতায়েন করা হয়। খবর এএফপি ও বিবিসির। দেশটির পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হবার জন্য নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১১ জন প্রার্থী লড়াই করছেন। পশ্চিমা বিশ্বে সম্প্রতি অনুষ্ঠেয় কয়েকটি নির্বাচনের মতো এই নির্বাচন ঘিরেও আলোচনা হচ্ছে। কারণ এখানেও উদারপন্থী নীতি এবং মূলধারার রাজনীতির প্রতি এক ধরনের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়া হয়েছে। শীর্ষ প্রার্থীদের মধ্যে উগ্রবামপন্থী থেকে উগ্রডানপন্থী মতবাদের প্রার্থী রয়েছেন। প্রথম ধাপের ফলাফলে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা দু'জন প্রার্থীকে নিয়ে আগামী ৭ মে আবারও ভোটাভুটি হবে। প্রায় ৪ কোটি ৭০ লাখ ভোটার এ নির্বাচনে ভোট দেয়ার জন্য নিবন্ধিত। এবার ১১ জন প্রার্থীর মধ্যে চারজনের প্রেসিডেন্ট হবার সম্ভাবনা আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরা হলেন- রক্ষণশীল প্রার্থী ফ্রাঁসোয়া ফিলোঁ, উগ্রডানপন্থী ম্যারিন লি পেন, উদার মধ্যপন্থী এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও উগ্রবামপন্থী জঁ-লাক মেলেচঁ। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সবচেয়ে আলোচিত ইস্যু ফ্রেক্সিট (ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ফ্রান্সের বের হয়ে যাওয়া)। এ ইস্যুতে প্রেসিডেন্ট প্রার্থীরা দু’ভাগে বিভক্ত।
নির্বাচনী প্রচারণায় ইইউ থেকে বের হয়ে যাওয়ার কথা সরাসরি ঘোষণা দেন চরম ডানপন্থী প্রার্থী ম্যারিন লি পেন। তবে তার প্রধান বিরোধী প্রার্থী এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ নির্বাচনী প্রচারণার সময় মঞ্চে ইইউয়ের পতাকা উড়িয়ে জোটের সঙ্গে থাকার ইঙ্গিত দেন। ফ্রান্সের নির্বাচন ৬০ বছর বয়সী ইইউ জোটকে ব্রেক্সিটের পর এবার ফ্রেক্সিটের মুখোমুখি হতে বাধ্য করতে পারে। ফ্রান্সের ১১ জন প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর মধ্যে চারজন ইউরোপে থাকার পক্ষে অনড়। তাদের দাবি, ইইউ হল সব শান্তি ও স্থায়িত্বের গ্যারান্টি। এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও রক্ষণশীল প্রার্থী ফ্রাঁসোয়া ফিলোঁ ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার ব্যাপারে আশাবাদী। উভয় নেতাই নির্বাচনী প্রচারণার সময় জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। অন্যদিকে, ন্যাশনাল ফ্রন্ট পার্টির নেত্রী লি পেন ফ্রান্সকে ইইউ ছাড়ার ব্যাপারে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। কঠোর বামপন্থী প্রার্থী জঁ-লাক মেলেচঁ চুক্তির প্রধান বিধানগুলো নিয়ে পুনরায় সমঝোতার দাবি জানিয়েছেন। ইউরোপীয় কাউন্সিলের বিদেশি সম্পর্ক বিভাগের প্রধান ম্যানুয়েল ল্যাফোন্ট রাপনোউল বলেন, ফ্রেক্সিট ইস্যুতে প্রার্থীদের অবস্থান বেশ অনড়। লি পেনকে সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে দেখছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনান্ড ট্রাম্প।

No comments

Powered by Blogger.