জাপান সাগরে মোতায়েন হচ্ছে মার্কিন সুপার ক্যারিয়ার

কোরীয় উপদ্বীপের দিকে পাঠানো মার্কিন সপার ক্যারিয়ার কার্ল ভিনসন তার পথ পরিবর্তন করে জাপান সাগরের দিকে রওনা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া সফররত পেন্স শনিবার এ কথা জানান। তিনি বলেন, চলতি মাস শেষ হওয়ার আগেই এটি জাপান সাগরে এসে পৌঁছবে। আমাদের প্রত্যাশা, রণতরীটি জাপান সাগরে অবস্থান নেবে। বিমানবাহী রণতরীটি কোরীয় উপদ্বীপ থেকে এখন ৫ হাজার কিমি. দূরে। এদিকে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ‘নতুন সম্পর্কের’ সুবাদে কোরীয় উপদ্বীপকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে পরমাণু অস্ত্র থেকে সরিয়ে আনা এখনও সম্ভব বলে উল্লেখ করেছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যখন বাকযুদ্ধ চলছে এবং যে কোনো মুহূর্তে একটা যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, তখন এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুলের সঙ্গে শনিবার এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে পেন্স এসব কথা বলেন। রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। পেন্স বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের আঞ্চলিক মিত্ররা ও চীন চাপ প্রয়োগ করলে আমরা হয়তো শান্তিপূর্ণ উপায়ে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত কোরীয় উপদ্বীপের এক ঐতিহাসিক লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হব।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত চীন যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, তাতে আমরা খুবই উৎসাহিত হয়েছি।’ সংবাদ সম্মেলনে পেন্স ও টার্নবুল উত্তর কোরিয়ার ওপর চাপ প্রয়োগেরও আহ্বান জানান। পেন্স বলেন, পিয়ংইয়ংয়ের পরমাণু অস্ত্রের হুমকি মোকাবেলায় সামরিক পদক্ষেপসহ সব ধরনের ‘অপশন’ টেবিলে রয়েছে। তবে প্রেসিডেন্ট কিম জন উনের পরমাণু অস্ত্রের উচ্চাশা খর্ব করতে চীন তার প্রভাব আরও প্রয়োগ করবে, প্রত্যাশা করেন তিনি। পেন্স বলেন, ‘যদিও সব অপশন টেবিলে রয়েছে, আমি নিশ্চিত করে বলছি, যুক্তরাষ্ট্র অস্ট্রেলিয়া ও চীন এবং এ অঞ্চলের অন্য মিত্রদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে। যতক্ষণ পিয়ংইয়ং পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি ত্যাগ না করবে, উত্তর কোরিয়া সরকারের ওপর অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক চাপ অব্যাহত থাকবে।’ তিনি আরও বলেন, চীন যদি উত্তর কোরিয়া সমস্যা সমাধানে সক্ষম না হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা তা সমাধান করবে।’ টার্নবুলও পেন্সের বক্তব্যের প্রতিধ্বনি করেন। তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়ার ‘পেরোয়া ও ভয়ানক সরকার আমাদের এ অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা ঝুঁকির’ মধ্যে ফেলে দিয়েছে। তিনি বলেন, কিমের পরমাণু অস্ত্র সক্ষমতা অর্জনের উচ্চাশা খর্ব করার ক্ষেত্রে চীনের একটা দায়বদ্ধতা রয়েছে। এবং তিনি ‘সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাসী’ চীন তার দায়িত্ব পালন করবে। টার্নবুল বলেন, বিশ্বের নজর এখন চীনের দিকে।

No comments

Powered by Blogger.