উত্তরপ্রদেশে ২০০০ মসজিদ মাদ্রাসায় নজরদারি

উত্তরপ্রদেশে বিজনোর জেলা ও এর আশপাশের ২ হাজার মসজিদ-মাদ্রাসার ওপর নজর রাখা হচ্ছে। আগামী ছয় মাস ওই নজরদারি অব্যাহত থাকবে বলে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিজনোর জেলার মাদ্রাসা থেকে পাঁচ তরুণকে আটক করা হয়। তারা রাজধানী দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করছিল বলে দাবি পুলিশের। এদের মধ্যে মো. ফাইজান নামে স্থানীয় মসজিদের ইমামও রয়েছেন। পরে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। শুক্রবার জিজ্ঞাসাবাদের পর ওই চারজনকে মুক্তি দেয়া হয় এবং তাদের মা-বাবাকে সাবধান করা হয়। ওই ঘটনার পর পরই এ নজরদারি শুরু করা হল। বাবরি মসজিদ ভাঙার দায় স্বীকার বিজেপি নেতার : ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ভাঙার ঘটনায় ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) বর্ষীয়ান নেতা লালকৃষ্ণ আদভানি, মুরলিমনোহর যোশী ও উমা ভারতীসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিমকোর্ট। এ নিয়ে যখন বিজেপির অন্দরমহল আর রাজনীতির অঙ্গন উত্তপ্ত তখনই রাম বিলাস বেদান্তি নামে বিজেপির এক নেতার দাবি, বাবরি মসজিদ ভাঙার নির্দেশ তিনিই দিয়েছিলেন। শুক্রবার সাংবাদিকদের কাছে এমন দাবি করেন সাবেক এ বিধায়ক। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার বেদান্তি বলেন, ‘এ ঘটনায় তার (আদভানি) কোনো হাত নেই।
আমিই এটা ভেঙেছিলাম এবং নিশ্চিত করেছিলাম যেন এটা ধূলিসাৎ হয়ে যায়।’ ষোড়শ শতকে নির্মিত বাবরি মসজিদ ভাঙার জন্য জনরোষ নিজেই ছড়িয়েছিলেন বলেও দাবি করেন বেদান্তি। ১৯৯৮ সালে উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড় থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন তিনি। প্রয়াত অশোক সিংঘাল ও অবিদ্যানাথ নামে গোরাখনাথ মন্দিরের এক পুরোহিতকে সঙ্গে নিয়ে মসজিদ ভাঙতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কর্মীদের মাঝে অসন্তোষ ছড়ান বলে স্বীকার করেন বেদান্তি। জম্মু-কাশ্মীরে গো-রক্ষকদের রডের পিটুনিতে শিশুসহ আহত ৫ : ভারতের জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের রিয়াসি জেলায় একই পরিবারের পাঁচজনকে রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে কথিত গো-রক্ষকরা। আহতদের মধ্যে ৯ বছরের একটি শিশুও রয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলার তালওয়ারা এলাকার কাছ দিয়ে গরু ও অন্য গৃহপালিত প্রাণী নিয়ে যাওয়ার সময় এ হামলা চালানো হয়। হামলার শিকার ওই পরিবারের সদস্যরা জানায়, হামলাকারীরা তাদের সব গৃহপালিত পশু নিয়ে গেছে। জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশপ্রধান এসপি বেদ জানান, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে পাঁচ হামলাকারীকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। তবে তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। হামলায় আহত নাসিমা বেগম বলেন, ‘তারা আমাদের নির্মমভাবে রড দিয়ে মারে। আমরা কোনো রকমে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাই। ১০ বছর বয়সী আমাদের এক শিশুকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

No comments

Powered by Blogger.