ইভাঙ্কা ট্রাম্পকে নিয়ে নতুন বিতর্ক

চীনে ব্যাবসা বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প কন্যা ইভাঙ্কা। যদিও অভিযোগ উঠেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের কন্যা হওয়ার সুবাদে বাড়তি সুবিধা আদায় করার চেষ্টা করেছেন ইভাঙ্কা। আর তা নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। রিপাবলিকান প্রার্থী হিসাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প পদপ্রার্থী হওয়ার পর থেকেই ধীরে ধীরে চীনে পোশাক ব্যাবসা বাড়াতে উদ্যোগী হয় ইভাঙ্কা ট্রাম্পের সংস্থা। চীনের ট্রেডমার্ক ডেটাবেস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে মার্চ মাস থেকে জুলাই মাসের মধ্যে চীন সরকারের কাছে তার সংস্থা মার্কস এলএলসি মোট ৩৬টি ট্রেডমার্কের জন্য আবেদন করেছে। সেখানে ২০০৮ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত এই আবেদনের সংখ্যা ছিল মাত্র ১৯। চলতি মাসের ৬ তারিখে মার-আ-লাগো’তে চীনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিংয়ের সাথে সাক্ষাত করেন ইভাঙ্কা ট্রাম্প। সূত্রের খবর, সেই দিনই ইভাঙ্কা ট্রাম্পের সংস্থার তিনটি আবেদন প্রাথমিকভাবে ছাড়পত্র পায়। যদিও চীনা বিদেশ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অন্য সংস্থাগুলোর আবেদন যেভাবে দেখা হয়,
ইভাঙ্কার সংস্থার করা ট্রেডমার্কের আবেদনও সেভাবেই দেখা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আসনে ডোনাল্ড ট্রাম্প বসার পরেই রাজনীতির দুনিয়ায় পা রেখেছেন ইভাঙ্কা। ট্রাম্প প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ স্থানও পেয়েছেন তিনি। ইতোমধ্যেই নিজের ব্যবসায়িক সংস্থার পরিচালন সমিতি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ইভাঙ্কা। কিন্তু সংস্থার মালিকানা রয়েছে তার হাতেই। এই সংস্থা থেকে যা আয় হয়, তা যায় ট্রাম্প পরিবারচালিত একটি ট্রাস্টে। এদিকে, চীনে ব্যাবসা বাড়ানোর ঘটনা নিয়ে শুরু হওয়া বিতর্কের মধ্যেই মুখ খুলেছেন আইনজীবী নরম্যান ইসেন। তিনি জানিয়েছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প বা তার মেয়ে যদি কোনোভাবে চীনের থেকে বাড়তি সুবিধা পান, তা সংবিধান পরিপন্থী। প্রসঙ্গত, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদে বসার পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে ইভাঙ্কার পোশাক ব্যবসা। এর পরেই চীনে ব্যাবসা বাড়াতে উদ্যোগী হন ট্রাম্প কন্যা।

No comments

Powered by Blogger.