এবার চার বছরেই মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রিত কম্পিউটারের ঘোষণা দিলেন মাস্ক

মাইক্রন আকারের ডিভাইসের মাধ্যমে মানব মস্তিষ্কের সঙ্গে মেশিন ইন্টারফেস সংযুক্ত করার কাজ করছে মার্কিন প্রকৌশলী ইলন মাস্কের নতুন প্রতিষ্ঠান নিউরালিংক কর্পোরেশন। বৃহস্পতিবার প্রকাশ পাওয়া ‘ওয়েইট বাট হোয়াই’ ওয়েবসাইটের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে মাস্ক বলেন, চার বছরের মধ্যে নিউরালিংক এমন একটি ডিভাইস বাজারে আনতে যাচ্ছে যা স্ট্রোক বা ক্যান্সার লেজিওন-এর মতো রোগের কারণে মস্তিষ্কে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে সহায়তা করবে, বলা হয়েছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে। ‘আমি যদি যোগাযোগ করতে চাই এটি আপনার কাছে একটি ধারণা, এতে আপনি মূলত সম্মতিসূচক টেলিপ্যাথিতে আবদ্ধ হবেন,’ বলেন মাস্ক। আগের বছর এক সম্মেলনে মাস্ক বলেছিলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং মেশিন লার্নিং কম্পিউটারকে এতটাই বাস্তবধর্মী এবং সৃষ্টিকর্তাসুলভ বানাবে যে মানুষকে এর সঙ্গে তাল মেলাতে মস্তিষ্কে ‘নিউরাল লেইস’ পরতে হবে। সর্বশেষ সাক্ষাৎকারে মাস্ক বলেন, ‘আপনার মাথায় অনেক ধারণা রয়েছে যেগুলো আপনার মস্তিষ্ক সংকোচন করে অবিশ্বাস্যভাবে কম ডেটার বচন বা লেখার ভাষায় সেগুলো প্রকাশ করে।
আপনার যদি দুইটি মস্তিষ্ক ইন্টারফেইস থাকে তাহলে আপনি আসলে সরাসরি আরেকজন মানুষের সঙ্গে ‘ধারণাগত’ যোগাযোগ করতে পারেন।’ চলতি বছরের মার্চে নিউরালিংক প্রতিষ্ঠানটির খবর প্রকাশ করে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। পরে মাস্ক নিজেও টুইটের মাধ্যমে এ খবর নিশ্চিত করেন। মাস্ক জানান, প্রতিষ্ঠানটি খুবই প্রাথমিক পর্যায়ে আর ‘চিকিৎসা গবেষণা’ প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিবন্ধিত ছিল। এ প্রতিষ্ঠান কথিত ‘নিউরাল লেইস’ নামের প্রযুক্তি বানাতে কাজ করবে। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষের মস্তিষ্কে ক্ষুদ্র ইলেকট্রোড স্থাপন করা হবে। মানুষের স্মৃতি উন্নত করতে বা মানব মস্তিষ্কের সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যুক্ত করতে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হতে পারে বলে জানানো হয়। ৮ থেকে ১০ বছরের মধ্যে এ প্রযুক্তি সক্ষম মানুষের কাজে আসবে বলে ধারণা করছেন মাস্ক। এটি নির্ভর করছে অনুমোদনের জন্য কতটা সময় লাগে তার ওপর। আর অক্ষম ব্যক্তির ক্ষেত্রে এটি কীভাবে কাজ করে তা-ও পরীক্ষা করবে নিউরালিংক।

No comments

Powered by Blogger.